# ছায়াপথের পারে
নিভে যাওয়া প্রদীপের ধোঁয়ায়
আমি একবার শুনেছিলাম—
কেউ যেন ডাকছে আমাকে,
অচেনা অথচ অন্তরের মতোই আপন তাঁর সুর।
কণ্ঠস্বরটি শান্ত, অথচ বজ্রের মতোই তীক্ষ্ণ,
চোখ মেলতেই দেখি—
আলো নয়, ছায়াও নয়,
বরং ছায়ার ভেতর জন্ম নেওয়া এক আলোকিত বিস্ময়!
তাঁর নাম কেউ জানে না,
কেউ তাঁকে সন্ন্যাসী বলে, কেউ বলে ছায়া,
আমি বলি—
তিনি আমার হারিয়ে যাওয়া সত্যের আয়না।
তিনি কিছুই দেন না, কেবল ছুঁয়ে যান,
একটা প্রশ্ন রেখে যান বুকের ভেতর—
“শেষ কি সত্যিই শেষ ?
নাকি এখানেই নতুন ভোরের শুরু ?”
যতই হারিয়ে যাই, তবুও তাঁর ছায়াই আমার সঙ্গী।
ভেবেছি কতবার সব শেষ—
কিন্তু প্রতিবারই দেখেছি,
ছায়ার ভেতর থেকে আলো ফুটে ওঠে।
সেই প্রশ্নের আলোয় আমি হেঁটে চলেছি,
অন্ধকারের গলি পেরিয়ে—
কোথায় যাচ্ছি জানি না,
শুধুই শুনি তাঁর নীরব পদধ্বনি।
আর আজও মনে হয়—
জীবন আসলে এক যাত্রা,
যার অপর পারে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি—
স্বামী আত্মজ্ঞানানন্দ মহারাজ।