আজ থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম মহামন্ত্রের সার্ধশত বর্ষ উদযাপন। এই দুটি শব্দ শুধু গান নয়, শুধু সাহিত্য নয়, এটি ভারতের আত্মার শাশ্বত আহ্বান। একটা জাতির মহাজাগরণের গভীরে যে আগুন প্রথম জ্বলে উঠেছিল — সেই আগুনের নাম ছিল বন্দে মাতরম।
যখন দেশ স্বাধীন ছিল না, যখন আশা ছিল না, যখন মানুষের বুকের মধ্যে কেবল ক্ষোভ আর অন্ধকার, তখন এই দুটি শব্দ কোটি কোটি ভারতবাসীর কণ্ঠে পরিণত হয়েছিল মুক্তি যুদ্ধের ধ্বনি হিসেবে। এই গান ছিল সাহস, আত্মমর্যাদা, আর বীরত্ব নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর এক অদম্য শক্তির নাম।
বন্দে মাতরম — মা মাটির প্রতি এক অনড় অর্পণ। মাটি মানে শুধু ভূমি নয়, মাটি মানে স্মৃতি, ইতিহাস, সভ্যতা, শিকড়, অস্তিত্ব, স্বর। যে গান গত দেড় শতাব্দী ধরে ভারতকে বাঁচিয়ে রেখেছে — আজ সেই গানের ১৫০ তম জন্মদিন। এই গান আমাদের নতুন প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেয়: স্বাধীনতা কখনো তৈরি জিনিস ছিল না — এটা অর্জিত জিনিস। এটা বিলাস নয় — এটা কর্তব্য।
আজকের দিনে আমরা যখন বিভক্ত, ক্লান্ত, দিশাহারা; তখন আবারও এই মহামন্ত্র আমাদের মনে করিয়ে দেয়— আমরা এক অদ্বৈত চেতনার সন্তান। আমরা সেই মাটির মানুষ, যে মাটি একদিন পৃথিবীর মানচিত্র পাল্টে দিয়েছিল। বন্দে মাতরম শুধু অতীত নয়, আগামীকেও তৈরি করার শপথ।
আজ এই সার্ধশত বর্ষ উদযাপনের লগ্নে আমরা প্রণাম জানাই বঙ্কিমচন্দ্রকে — যিনি এই মন্ত্রের মধ্য দিয়ে ভারতকে চিরজাগরণের শপথ দিয়েছিলেন। আজ আমরা সবাই অন্তর থেকে একবার অন্তত বলি— বন্দে মাতরম। 🙏🌼🙏