THE TALE OF LOVE - 12 in Bengali Thriller by Sujit Sarker books and stories PDF | THE TALE OF LOVE - 12

Featured Books
Categories
Share

THE TALE OF LOVE - 12

Catagory-(Romantic🙈+Thriller😈☠️+Psycho🔪+Toxic🥵+Crime🦹‍♀️+Foreign plot🥀+Sad ending😭💔)

Episode-13

রাত ১২:৪৫ আজকেও রিক দেরি করে বাসায় এসেছে এদিকে বেলা তার জন্য না খেয়ে বসে আছে। ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং টেবিলে খাবার খাচ্ছে রিক আর বেলা।

"আজকে তো সানডে সবকিছু বন্ধ ছিল তারপরও আপনার এতো লেট কেন হলো"?

বেলার প্রশ্নে রিক খাবার খেতে খেতে বলে, "কাজ ছিল তাই দেরি হয়েছে"

"তাই বুঝি?তা সানডেতে আপনার জন্য কোন ভার্সিটি খোলা ছিল?

"আরে আমি অফিসের একটা জরুরী কাজে গিয়েছিলাম সামনে মাসে বিদেশি ক্লাইন্ট আসবে। আর তাদের ওয়েলকামের ব্যাপারেই ডিসকাস করতে গিয়েছিলাম। এই ডিলটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বুঝলে বার্বি ডল"? বলেই বেলার ফোলা ফোলা গাল টেনে দেয় 

বেলা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করে "অফিস? 😱 আপনি অফিসেও যান আমিতো ভেবেছিলাম যে শুধুই স্টুডেন্ট আপনি"

"হ্যাঁ আমি অফিসেও যাই ইভেন আমার কোম্পানি এই দেশের একটা নামকরা ব্রান্ড। তুমি 'ED International Industrial group' এর নাম শুনেছ?"

"হুম ঐ ব্রান্ডের নাম কে না জানে ঐ কোম্পানির কসমেটিক গুলো খুব ভালো মানের। আমিও ব্যবহার করেছি"☺️

"আমি ঐ কোম্পানির ওনার বুঝলে বার্বি ডল? তাই আমার হাতে সব সময় অনেক কাজ থাকে আর তাছাড়া আমার মত বয়সী অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা আমার কোম্পানিতে কাজ করছে। যদিও এতো কম বয়সে একটা কোম্পানির ওনার হওয়া অতটাও সহজ নয় কিন্তু তবুও কি করব বলো আমাকেই তো সবটা সামলাতে হবে বলেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে রিক।"

"কি তারমানে আপনিই Mr. ED"?😱 যার নাম শুনলে মেয়েরা হুমরি খেয়ে পড়ে" 

"Hmmm "☺️

"আপনাকে সবটা সামলাতে হবে কেন আপনার বাবা কোথায়? উনি কি বিজনেসটা সামলাতে পারেন না? উনি কি অসুস্থ?"

"আমার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই বার্বি ডল। আমি ছোট থাকতেই তারা মারা গিয়েছে আমি কখনো তাদেরকে দেখিনি। ভারতে থাকাকালীন আমার বাবার বন্ধু এককথায় বলতে পারো বিজনেস পার্টনার উনি আমাকে মানুষ করেছে আর তারপরে চায়নাতে এসেছি আমি। ভারতেও আমাদের কোম্পানির একটা শাখা রয়েছে মূলত আমাদের বিজনেসের সূত্রপাত ভারতে কিন্তু আমি ওটাকে ট্রান্সফার করে চায়নাতে নিয়ে এসেছি যেহেতু আমি এখানেই থাকি।"

বেলা মনোযোগ দিয়ে শুনছে, "আপনি কি ইন্ডিয়ান?"

"হুম জন্মসূত্রে আমি ইন্ডিয়ান আমার বাবা ছিলেন বাঙালি আর মা চাইনিজ। তা আজকে আমার ব্যাপারে জানার এত আগ্ৰহ কেনো হলো সুইটহার্ট? আবার খোঁজখবরও নিচ্ছ রাত করে ফিরছি বলে ইদানিং কি বেশি মিস করছ আমাকে?" বলেই চোখ টিপ দেয় 😉

রিকের কথায় বেলা থতমত খায়, "না.. মা.. নে মিস করার কি আছে আজকাল তো পরিস্থিতি বেশি সুবিধার না তাই বলছিলাম আরকি।"

"হুম বুঝলাম"🙂

"আচ্ছা একটা রিকুয়েস্ট করবো রাখবেন?"

"রিকুয়েস্ট মানে তুমি কি আবার আমার সাথে ঘুমাতে চাইছো নাকি দেখো আমি কিন্তু কোনো মেয়ের সাথে এক ঘরে ঘুমাতে পারবো না। ইউ নো না আমি কতো লাজুক একটা ছেলে"🙈🙈

বেলা মনে মনে বলে এই বজ্জাত লম্পট লোকটা আর কখনো ভালো হবে না। 
"আরে বাবা আপনাকে আমার সাথে ঘুমাতে হবে না। বলছিলাম কি একটু বাইরে নিয়ে যেতে পারবেন? আসলে আজকে আকাশে কত বড় একটা চাঁদ উঠেছে দেখছেন? আজকের আবহাওয়াটাও ভীষণ সুন্দর তাই একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে মন চাইলো। আপনার অসুবিধা হলে দরকার নেই"🙂

"ওও তারমানে ম্যাডাম চন্দ্রবিলাস করতে চাইছে তাই তো?"

"What কি বললেন চান..ড.বিলাশ মানে কি "🙄

"বললাম বাইরে চাঁদ দেখতে চাইছো তাই তো?" জবাবে বেলা মাথা নাড়ায়

"ঠিক আছে চলো একটু ঘুরে আসা যাক মনটা ফুরফুরে হয়ে যাবে।"
চারিদিকে পিনপিন নিরবতা। রিকের ম্যানশন থেকে সামনে এগোতেই একটা সরু সুন্দর রাস্তা আছে যেটা মেইন রোডের দিকে চলে যায়। পূর্ণিমা হওয়ায় আকাশে পূর্ণ চাঁদ উঠেছে সেই চাঁদের মৃদু আলো যেন পরিবেশটাকে আরো রোমাঞ্চকর করে তুলেছে। চাঁদের আলোয় রাস্তা বেশ পরিস্কার বোঝা যাচ্ছিল তাই অন্ধকারেও বেলাদের কোনো অসুবিধা হয় নি।
রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল আর রিক গুনগুন করে গান গাইছিল বেলা তা শুনতে পেয়ে বলে "গুন গুন করে না গেয়ে পুরো গানই তো গাইতে পারেন। আর আপনি সবসময় কোন ভাষায় গান শুনেন বলেন তো কিছুই তো বুঝি না যদিও গানের সুর গুলো খুব সুন্দর" 

"এগুলো হলো বাংলা গান,হিন্দি গানও শুনি। এগুলো ভারতের সংস্কৃতি। আমি এই দেশে থেকে এখানকার মতো চলাফেরা করতে পছন্দ করলেও আমার সংস্কৃতি ভুলিনি যথেষ্ট রেসপেক্ট করি"☺️

তাদের কথার মাঝে তিনজন ছেলে ঢুলতে ঢুলতে আসছে বোঝাই যাচ্ছে যে তারা ড্রাঙ্ক। তাদের মধ্যে একজন বেলাকে উদ্দেশ্য করে বলল , "Hey sex*y lady do you wanna to spend a night with me? Tension not I will pay you for that" 😉😏বলেই বিকৃত কণ্ঠে হাসতে থাকে।

ওদের কথাবার্তা শুনে বেলা ভয় পেয়ে রিকের বাহু আঁকড়ে ধরে।আর তখনই একটা ছেলে তাকে ধরতে এগিয়ে আসে।

"Leave this girl" হুংকার দিয়ে বলল এডউইন তার চোখের মণি লাল হয়ে ওঠে।

"কে হস তুই ওর যে আমাদের শিকার করা থেকে আটকাচ্ছিস?"

এই প্রশ্ন শুনে রিকের রাগের মাত্রা ছাড়িয়ে যায় হেচকা টান দিয়ে বেলাকে নিজের কাছে নিয়ে আসে এবং বেলার নরম ওষ্ঠ দখল করে নেয়। আকস্মিক এই কাজে বেলার কোটর থেকে চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম সে বরফের ন্যায় জমে গেছে।

প্রায় ৫ মিনিট পর রিক বেলাকে ছেড়ে দেয় আর তীব্র গর্জন করে বলে "She is my girl you bastardddd 🤬🤬 বলেই বেলাকে বাজে কথা বলা ছেলেটাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত চলে আসে ছেলেটার। 
অবস্থা বেগতিক দেখে বেলা দৌড়ে গিয়ে রিকার্ডো কে ঝাপটে ধরে আর তখনই বাকি বন্ধুগুলো এসে ওকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
একটা বেঞ্চের মধ্যে পাশাপাশি বসে আছে রিক আর বেলা। বেলার কানে এখনো ভাসছে রিকের বলা সেই কথাটা বারবার বিড়বিড় করে আওড়াচ্ছে," she is my girl."

"তখন মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল আর তাই কোনো কিছু বিবেচনা না করে তোমার পারমিশন ছাড়াই তোমাকে টাচ করেছি সরিইই"🥺 বলেই বাচ্চাদের মত কানে হাত দেয়।

রিকের এই বেবি ফেস দেখে বেলার হাসি পায় তবু নিজেকে দমিয়ে বলে "ইটস ওকে আমি জানি যে আপনি এটা ইচ্ছে করে করেন নি।"
খানিকক্ষণ নিরবতার পর রিক বেলার কোলে শুয়ে পড়ে... চলবে🥀🥀