Catagory-(Romantic🙈+Thriller😈 ☠️+Psycho🔪+Toxic🥵+Crime🦹♀️+Foreign plot🥀+Sad ending😭💔)
Episode-7
(এই অংশে কিছু ভায়োলেন্স মিশ্রিত শব্দ আছে তাই ১৮ বছরের নিচে সবাই সাবধান । মূলত প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য প্রযোজ্য🔞⛔🚫)
"এই মেয়ে চোখ কি মাথায় নিয়ে হাঁটো?😠 এখনই তো পড়ে যাচ্ছিলে"
"আমি না হয় চোখ মাথায় নিয়ে হাঁটছিলাম কিন্তু আপনি? আপনি কেন আমার সাথে ধাক্কা খেলেন?" ক্ষিপ্ত হয়ে বেলা বলল😠😠😤
রিক চোখ ছোট ছোট করে বলল, "আই সি বাট ইউ নো হোয়াট বার্বি ডল আমি কোনো কথার কৈফিয়ত দেওয়া পছন্দ করি না"😤😤বলেই বড় বড় পা ফেলে সিঁড়ি দিয়ে উপরে চলে গেল
"বয়েই গেছে ওনার কাছে কৈফিয়ত চাইতে" ,বলেই ভেঙচি কাটে বেলা😝
—
চীনে এই পর্যন্ত প্রায় ৩৭০০০ হাজার ধর্ষণ ও নারীর অঙ্গপাচারের মতো ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত আশানুরূপ কোনো ফল পাওয়া যায়নি সরকারকে সমস্ত ঘটনা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কয়েকবার ব্যাপারটা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও করা হয়েছিল কিন্তু কয়েকদিন দিন পরপরই এমন ঘটনা ঘটায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা সরকারের প্রতি আশা হারাচ্ছেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
প্রতিটি ধর্ষণের সবচেয়ে কমন ব্যাপার হচ্ছে শুধু সুন্দরী নারীরাই এর শিকার হচ্ছে এবং তা ভিডিও করে পুরো দেশে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব কারণে অনেক বাবা-মা আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে কিন্তু কোনোভাবেই এর কুলকিনারা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ধর্ষণকারী অত্যন্ত চতুর ও সূক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন সে যেনো কোনো এক মরণ খেলায় মেতে উঠেছে কিন্তু বোঝায় উপায় নেই কবে এবং কখন এই ঘটনার সমাপ্তি ঘটবে।
এই সিরিয়াল কিলারকে ধরতে হলে একটি গোপন টিম দরকার যেটা ইতোমধ্যেই গঠিত হয়েছে আর তারা ছদ্মবেশে গোপনে নিজেদের কাজ করছে।
—
গ্ৰীষ্মের তাপদাহে যেন জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছিল তারই মাঝে জনমনে প্রশান্তির বার্তা দিতে যেন বৃষ্টির আগমন। ইদানিং যেন হুট করেই আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে এইতো কিছুক্ষণ আগেও কি সুন্দর আকাশ পরিষ্কার ছিল আর এখনই আকাশে ঘন কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে☁️☁️
বৃষ্টি হচ্ছে ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ উপহার বৃষ্টি কেই না ভালোবাসে বেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। বৃষ্টিতে ভিজতে বেলার খুব ভালো লাগে 🌧️🌧️ তাই তো লোভ সামলাতে না পেরে সে সোজা এডউইনের বাগানে চলে যায়।🏞️
মুহুর্তের মধ্যেই আকাশ জুড়ে বৃষ্টির স্নিগ্ধ জল ঝরে পড়ে।🌧️ বেলা দুহাত বাড়িয়ে সেটা স্পর্শ করে এবং ভিজতে থাকে।
অনেকক্ষণ কাজ করার পর রিক হাঁপিয়ে পড়ে তাই জানালার কাছে এসে দাঁড়ায় আর তখনই বেলাকে দেখতে পায়। একপলক বেলাকে দেখেই যেন সে থমকে যায় কিন্তু পরক্ষণেই একটা দৃশ্য দেখে তার কপালের রগগুলো রাগে ফুলে উঠে। সে তাড়াতাড়ি করে নেমে আসে। আসলে বেলা যখন মনের আনন্দে ভিজচ্ছিল তখন সেখানে ঐশ্বর্যের আগমন ঘটে মূলত রিককে নোটস দেওয়ার জন্যই সে এসেছিল কিন্তু এসেই যে এরকম দৃশ্যের সম্মুখীন হতে হবে তা কোনোদিন কল্পনা ও করেনি। বৃষ্টিতে ভেজার সময় হঠাৎ করেই প্রচন্ড আওয়াজ করে বজ্রপাত পড়ে আর তখন দ্বিকবিদ্বিক বিবেচনা না করেই বেলা ঐশ্বর্যকে জড়িয়ে ধরে।
ঐশ্বর্য তো প্রথমে হতভম্ব হলেও পরবর্তীতে সে কিছু একটা ভেবে চিন্তিত হয় ও তার মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকাতেই তাদের দিকে রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে থাকা এডউইনকে দেখে ভয়ে তার অন্তরাত্মা শুকিয়ে যায়।😰
"বেলাকে ছেড়ে দে ঐশ্বর্য" ,হুংকার দিয়ে বলল 🤬🤬
"কিন্তু ব্রো আমি তো ধরিই নি" আমতা আমতা করে বলল ঐশ্বর্য 😅
তার হুংকার শুনে বেলা ভরকে গেল এবং ঐশ্বর্যেকে ছেড়ে দেয়।
"রিক আসলে আমি" ,বেলাকে থামিয়ে দিয়ে✋
রিক বলে, "ঘরে যাও"🤬
তারপরও বেলা না যাওয়ায় আগের চেয়ে বেশি হুংকার দিয়ে বলল, "I said just get out" 🤬🤬🤬🤬
ছলছল চোখ নিয়ে বেলা দৌড়ে ভেতরে চলে গেল
—
রিক রাগ করার পর বেলা রূমে এসে পড়ে এবং বিছানার এক কোনায় বসে কাঁদতে থাকে😭😭
অন্যদিকে ঐশ্বর্য কিছু বলার আগেই রিক সোজা উপরে বেলার ঘরের দিকে চলে যায় এবং বেলার সামনে গিয়ে এক ঝটকায় তাকে টেনে তুলে গালে থাপ্পর বসায়🤬
অকস্মাৎ থাপ্পড় খাওয়ায় বেলা স্তব্ধ হয়ে যায় কারণ সে কখনো কল্পনায়ও ভাবেনি যে রিক তাকে মারবে
"পরপুরুষকে নিজের শরীর দেখানোর খুব শখ তাই না ?"বলেই ফুঁসতে থাকে রিক🤬🤬
এতক্ষণ ধরে রিকের সবকিছু সহ্য করলেও এবার নিজের চরিত্র নিয়ে কথা বলায় বেলা ক্ষেপে যায় এবং রিকের কলার টেনে ধরে বলে, "আর একটাও বাজে কথা আমার চরিত্র নিয়ে বললে আই সোয়ার আই উইল কিল ইউ বাস্টার্ড" 🤬
এই প্রথম বেলার কণ্ঠে এতো তেজ দেখে রিক বিস্মিত হয় এবং সেই সাথে তার কলার টেনে ধরায় আরো ক্ষেপে যায়।
"How dare you to touch my collar?'🤬
"সবে তো কলার ধরেছি আর একটাও খারাপ কথা বললে না গলা চেপে ধরবো"
বেলার কথা শুনে রিক রাগের মাত্রা ছাড়িয়ে যায় কিন্তু এবার বেলাকে আঘাত করার বদলে ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে শুরু করে দিয়েছে। টেবিলের উপর রাখা ফ্লাওয়ার ভাজটা এক আঘাতে ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। ফ্লাওয়ার ভাজটা কাঁচের তৈরি হওয়ায় রিকের হাত কেটে রক্ত বের হতে শুরু করে কিন্তু এই দিকে রিকের কোনো খেয়ালই নেই বরং সে যেন ধ্বংস করতে মত্ত হয়ে আছে।
রিকের এই উন্মাদনা দেখে বেলা ঘাবড়ে যায় এবং তাড়াতাড়ি রিকের হাত টেনে ধরে কিন্তু রাগে দিশেহারা হয়ে রিক এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নিয়ে বলে, "একদম ছুঁবি না আমায় তোর ছোঁয়ায় বিষ আছে যা সবকিছু ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। তুই গিয়ে ঐ ঐ ঐ ঐশ্বর্যকে ধর" বলেই হাঁপাতে থাকে 🤬🤬
রিকের এই দশা দেখে বেলা জোরে কান্না করতে থাকে আর বলে, "আ.মি.মি..তো শুধু বজ্রপাতের শব্দে আচমকা ভয় পেয়েছিলাম তাই জরিয়ে ধরেছিলাম আমি জানতাম না যে ঐটা ঐশ্বর্য ভাইয়া "বলেই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো 😭😭
"বজ্রপাতের শব্দে ভয় পেয়েছিস তো মরে যেতিস কিন্তু ঐশ্বর্যকে জড়িয়ে ধরলি ক্যান"? 🤬
"তারমানে আপনি চান যে আমি মরে যাই "বলেই ছলছল চোখে রিকের দিকে তাকায়।
বেলার এমন খামখেয়ালী উত্তর যেন রিকের রাগের আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করে। রাগে আত্নহারা হয়ে সে বেলাকে এক টানে নিজের কাছে নিয়ে বলে, "তুই কেন বুঝিস না তোকে অন্যকেউ স্পর্শ করলে আমি তা সহ্য করতে পারি না। কারণ আমি তোকে..."/ বলেই থেমে যায়।
হৃদয়ের গভীর টানাপোড়েনের কারণে সে বুঝতে পারে না যে বেলার প্রতি তার রাগের কারণটা কি।শুধুই কি দায়িত্ববোধ নাকি এর আড়ালে অন্য কেনো অনুভূতি এডউইনের হৃদয়ে জন্মেছে?
রিকের কথা শুনে বেলা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে প্রশ্ন করে, "কারণ কি বলুন থামলেন কেন? কোনো কথা বললে তার দায়িত্ব নিতে শিখুন এডউইন।"
নএই প্রথম বেলার মুখে এডউইন ডাকটা শুনে বেশ ভালো লাগে। তার রাগ একটু কমে আসে কিন্তু মুখে গাম্ভীর্য বজায় রেখে বলে, "আমার কথা আমাকেই ফিরিয়ে দিচ্ছ বার্বি ডল কিন্তু তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছ যে আমি কোনো কথার কৈফিয়ত দিতে পছন্দ করি না" বলেই গটগট পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
এদিকে বেলা রিকের অসম্পূর্ণ কথার উত্তর খুঁজতে মগ্ন।
—
উপর থেকে এতো চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঐশ্বর্যের আর বুঝতে বাকি নেই যে উপরে কি ঘটছে। নিচে নামতে নামতে রিক ঐশ্বর্যকে এখনো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলে, "কি রে এখনো এখানে যে ? আজকাল কি নিজের বাড়ি বেঁচে অন্যের বাড়িতে থাকার প্লেন করছিস নাকি?"
"ব্রো তুই আমাকে ভুল বুঝছিস আমি তো এখানে শুধু তোকে নোটস দেওয়ার জন্যই এসেছিলাম কিন্তু এসেই যে..."
ঐশ্বর্যকে থামিয়ে দিয়ে বলল, "এই সম্পর্কে আর কিছু আমি শুনতে চাই না এখন।"
"কিন্তু ব্রো ..."✋🏻
"নোটসগুলো টেবিলে রেখে যা "রিকের কথামতো ঐশ্বর্য সব নোটস টেবিলে রেখে চলে যায় কিন্তু যাওয়ার আগে সে পেছন ঘুরে বাঁকা হাসি দেয়। তার এই হাসির অন্তরালে যে কি রহস্য লুকিয়ে আছে তা কেউ জানে না... চলবে🥀🥀