অফিস করে ফ্ল্যাটে ফিরে শুয়েছিলাম একটা ওয়েব সিরিজ চালিয়ে। কলিং বেল শুনে দরজা খুললাম। তুমি এসেছ।
অনেকদিন পর এলে। মাঝেমাঝে সিনেমাহল বা রেস্টুরেন্টে দেখা হয়েছে, তবে সেই ঘটনার পর বাড়িতে এলে এই প্রথম। এসেই ব্যাগটা ছুঁড়ে ফেলে দিলে ডাইনিংয়ের এক কোণে। চুল থেকে ক্লিপটা খুলতে খুলতে বললে , বাথরুম যাচ্ছি। একটু কফি খাওয়াবে প্লিজ?
আমি কফি করতে গেলাম। বাথরুমের ভিতর থেকে তোমার গুনগুন করে গানের আওয়াজ পাচ্ছি। 'যমুনা কিনারে মোরা গাঁও...'। আগে এরকমই কত গান শোনা যেত তোমার। এখন শুনিনা।
গানটার শব্দ চাপা পড়ে গেল কলের জলের শব্দে।
তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলে তুমি।
শীত পড়েছে খুব, তোমার হাতের কফির টানে চলে এলাম – বলে তোমার চিরাচরিত মোহিনী হাসি টেনে বসলে আমার পাশে।
দু'জনে বসলাম কফিকাপ হাতে নিয়ে।
কী মনে হল, উঠে গিয়ে টিভিটা চালিয়ে দিলে। একটা মিউজিক চ্যানেল খুলে রেখে দিলে।
আমি জিগ্যেস করলাম, এখন কফি খাচ্ছ, রাতে ফিরবে কখন? এখান থেকে ডিনার করে যেও।
তুমি অবাক হয়ে বললে, এত বেরসিক লোক দেখিনি আমি আর। একটা একা সুন্দরী মহিলাকে বাগে পেয়ে বলছ রাতে চলে যেতে?
আমি বললাম, থাকবে আজ? কিন্তু.. আমাদের তো ডিভোর্স হয়ে গেছে কবেই!
–তো কী হল? সংসার করব না, তাই বলে আগুন আর ঘি পাশাপাশি থাকবে না এটা কে বলেছে?
– আমার সঙ্গে রাত কাটালে অসুবিধে নেই তাহলে?
– ধুস। আজ তুমিই আমার ডিনার, মাই এক্স-হাজব্যান্ড।
উঠে দাঁড়িয়ে নিজের সাদা টপের বোতামগুলো খুলতে লাগলে। আমি দেখতে লাগলাম। তোমার পুষ্ট শরীরের আভাস দেখা যাচ্ছে এখন। টপ খুলে ফেলে আমার দিকে ছুঁড়ে দিলে, ঘরের বাতাসে উড়ছে তোমার সারাদিনের ঘাম মাখা সকালের পারফিউমের গন্ধাবশেষ। দুহাতে মাথার চুল উঁচু করে তুলে কোমরে হিল্লোল তুলে নাচতে লাগলে তুমি। মসৃণ তোমার বাহুমূল আমার সামনে মাখনের মত লোভনীয় লাগছে।
ইনারটা তুলে ধরছ, আবার নামিয়ে দিচ্ছ। আমাকে প্রলুব্ধ করা তোমার বাঁ হাতের খেল, আমি জানি।
কোমর নাড়িয়ে নাড়িয়ে আমার দিকে এসে আমার শরীরে কামিনীর মত হাত বোলাতে লাগলে তুমি। আমার টি-শার্ট খুলতে শুরু করলে। বাকিটা আমিই খুলে ফেললাম।
আমার নামানো ট্রাউজার টেনে খুলে দিয়ে মুঠো করে ধরলে আমার পুরুষাঙ্গ। আমাকে চিৎ করে বিছানায় ফেলে চামড়ার আবরণ টেনে সরিয়ে জিভ দিলে আমার অঙ্গের লাল আগায়। হাতে করে আমার পুরুষাঙ্গ ওপর-নীচ করতে থাকলে। আমার শক্ত হয়ে যাওয়া জাদুর লাঠিতে মুখ লাগিয়ে চটি বইয়ের নায়িকার ভঙ্গীতে চুষতে থাকলে।
কতক্ষণ ধরে চুষেছ জানিনা। আমার জ্ঞান লোপ
পাচ্ছিল তোমার জিভ আর ঠোঁটের স্পর্শে।
আমাকে বললে, ভোগ করবে নিজের পুরনো বউকে?
আমি বললাম, এখুনি।
বললে, আমাকে বাজারের মেয়েমানুষ মনে করে ভোগ করতে পারবে আজ?
উত্তর দিলাম, তাহলে তুমি নয়, তুইতোকারি হোক।
তুমি সর্বনেশে হাসি দিয়ে আমার গায়ে উঠে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলে আমার ঠোঁটে।
পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে চটকে চটকে আর খ্যাপার মত আঁচড় কেটেও সুখ হলনা পুরোপুরি।
আমি তোমার স্তনের বোঁটা চুষে চুষে রক্তাভ করে তুলেছিলাম। তুমি যত ব্যথা পাচ্ছিলে , তত উত্তেজিত হয়ে তোমার বোঁটা চাটছিলাম আমি।
সেই পুরনো স্বাদ! নোনতা মিষ্টি বোঁটাদুটো!
আমি চাটলাম তোমার বাহুমূল।
তুমি পাগল হয়ে বলতে লাগলে, খা আমার সব খা। কতদিন পরে ল্যাংটো হয়েছি তোর কাছে। আমার শরীরে ব্যথা করে দে।
আমিও মাতালের মত খেলছিলাম তোমাকে নিয়ে।
চেঁচিয়ে উঠলাম, ওরে মাগী আজ তুই আমার হাতে শেষ হবি। অনেক রাগ তোর ওপর।
– রাগ তো দেখছিস কী? আমার গু**দটা ফাটিয়ে দে তোর বাঁ*ড়া দিয়ে।
– এখনই কী? আগে তোর গু*দের দম দেখি কতক্ষণ জল না খসিয়ে ধরে রাখতে পারিস !
আমি নেমে এসেছিলাম তোমার যোনির মুখে, তোমার লোনা স্বাদের কামরস আমায় পাগল করে দেয়।
তুমি শরীর মোচড়াতে মোচড়াতে শিউরে উঠছিলে, – আমার জল খসছে, চেটে চেটে খা আমাকে। তোর জন্য জমিয়ে রেখেছি আমার রস। আমাকে তোর খা*কি মনে করে লাগা।
আমি কোনো উত্তর না দিয়ে তোমার যো*নি থেকে মুখ সরিয়ে আঙুল গুঁজে দিলাম। ভিজে জবজব করছে তোমার লজ্জাস্থান। নরম চেরা জায়গা দিয়ে পিছলে ঢুকে গেল আমার আঙুল।
তুমি আহ করে উঠলে। আমি আরেকটা আঙুলও ঢুকিয়ে দিলাম। দু'আঙুলে বিঁধতে লাগলাম তোমার যো*নি। চপচপ আওয়াজ শুরু হয়েছে তোমার ভিতরে।
আমি আঙুল বার করে মুখে নিলাম। স্বর্গীয় লোনা জলের মাদকতাময় সুবাস ।
মুখে তোমার জল নিয়ে তোমার ঠোঁট কামড়ে ধরে তোমার মুখে মাখিয়ে দিলাম তোমার কা*মরস।
তুমি নির্লজ্জের মত জিভে চেটে নিলে সবটা।
চোখ উল্টে আসছে তোমার। অস্ফুটে বললে, চিৎ হয়ে শো'। তোর মুখে বসব। আমার হবে এইবার!
তারপরেই আমার মুখের ওপর বসে তীব্র শীৎকার করে মদন জল ঝরালে তুমি। চাতকের মত পিপাসার্ত আমি জিভ ঢুকিয়ে চেটে চেটে খেলাম তোমার অ*র্গ্যাজম।
এবার আমার দাঁড়ানো অহংকারের ওপর চেপে বসলে তুমি । নিজের হাতে নিজের যো*নির পাপড়ি খুলে টুপির মত পরিয়ে দিলে আমার মিনারে। পিচ্ছিল উষ্ণ পথে ঢুকে গেল আমার পুরুষাঙ্গ। যৌবনের আগুনভরা তোমার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে আমার আঙুল আর জিভের আঁকিবুঁকি তোমাকে আকুল করে তুলছে । আমার দন্ডের ওপর ওঠানামা করতে শুরু করলে নিপুণ যন্ত্রীর মত। তোমার ভিতরে শব্দ তীব্র হচ্ছিল ক্রমশ। রসে ভিজে যাওয়া তোমার আর আমার যৌ*নাঙ্গ তখন ঝালা বাজিয়ে চলেছে।
আমার মুখের সামনে দুলছে তোমার ভরাট দুটো স্তন। ঈষৎ বাদামী চূড়ায় আমার আকাঙ্ক্ষা আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে। তোমার সঙ্গমের তালে তালে স্তনদুটো দুলে দুলে আসছে আমার দিকে। আমি চুষে দিচ্ছি, চেটে দিচ্ছি। কখনও বা টিপে রাখছি ময়দার তালের মত।
চৌত্রিশ বছরের পূর্ণা নারীর চৌত্রিশ সাইজের স্তনের মোহে আমার হাতে তখন অসুর ভর করেছে। কামুকীর সুডৌল স্তন হাতের মুঠিতে নিলেও সুখ হয়না, ছিঁ*ড়ে নিয়ে উল্লাস করতে ইচ্ছে করে। তুমিও এই অত্যাচার উপভোগ করছ।
আমি বলে উঠলাম, আমাকে ডিভোর্স দিস, এত সাহস তোর?
তুমি হিসহিস করে উত্তর দিলে, রোজকার সংসার তো ডালভাত। ডিভোর্স না করলে এই বিরিয়ানি পেতিস তুই?
– কথা বলিস না এত। দে আরো জোরে জোরে দে।
– নীচ থেকে কেমন মেশি*নগান চালাই দ্যাখ তুই।
তোমার যোনির ভিতর আদিম জঙ্গুলে শব্দ তুলে দুজনেই যেন পুরনো গায়ের ঝাল মিটিয়ে রিপুর খেলায় মেতেছিলাম।
একসময় তুমি জানান দিলে, এবার ঢাল তোর যা আছে।
আমরা দুজন দুজনকে আঁকড়ে ধরে কয়েকবার কেঁপে উঠলাম। ঘামে ভেজা দুটি শরীর তোমার অন্দরে প্রায় একই সময়ে রাগমোচন করল।
কিছুক্ষণ সময় লাগল শান্ত হতে।
নগ্ন হয়ে শুয়ে রইলে তুমি আমার পাশে, সেই বিছানায় যেটা কয়েকমাস আগেও দুজনের ছিল।
তোমার বেনারসি কাজ করা শরীর এখন আমার সামনে ছড়িয়ে পড়ে আছে।
বউ প্রাক্তন হলে কি আরও কামাগ্নি জ্বালিয়ে রেখে ফিরে আসে ? যদি তাই হয়, আপত্তি নেই আমার। যতবার আসবে আমি আগুন নেভাব।