মুম্বাইতে নতুন অফিসে জয়েন করার পর প্রথম দিনই আমায় নিজের ঘরে ডেকে পাঠালেন কুলকার্নি ম্যাডাম। আপাতত তাঁর অধীনেই কাজ করব আমি। ম্যাডামের বয়স আমার থেকে বেশি নয়। কথাবার্তায় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে একটা সারল্য মিশে ছিল তাঁর। সাধারণ পরিচিতি পর্ব শেষ করে তিনি দু'একটা কাজের কথা বললেন। তাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময় মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে গিয়েছিল। প্রথম দিনেই তরুণী সুন্দরী উর্দ্ধতন অফিসারের কাছ থেকে ভাল ব্যবহার পেলে ভাল লাগারই কথা।
অফিসে আমার বেশ ভালোভাবেই দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল। কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। কোনও প্রয়োজন থাকলে ডেকে পাঠাতেন মিস শ্রদ্ধা কুলকার্নি। হয়তো আমার কর্মদক্ষতার উপর একটা ভরসা তৈরি হচ্ছিল তাঁর।
(@পরাগরেণু)
কর্পোরেট সংস্থার একটা সমস্যা হল, সকলেই কর্তৃপক্ষের সুনজরে থাকতে চায়। কুলকার্নি ম্যাডাম আমাকে একটু বেশি গুরুত্ব দিতেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার সঙ্গে আলোচনা করে নিতেন এটা অনেকের ভাল লাগছিল না।
তাই আমি একদিন ম্যাডামকে বললাম, – আপনি কিন্তু আমাকে সহকর্মীদের মধ্যে থেকে আলাদা করে দেখে আমারই বিপদ বাড়াচ্ছেন। সিনিয়র কেউ কেউ ভাবছে আমি হয়তো ব্যক্তিগত কোনও প্রভাব খাটিয়ে প্রমোশন পেতে চাইছি। কাজের পরিবেশটা বদলে যাচ্ছে, ভাল লাগছে না ম্যাডাম।
তাতে মিস কুলকার্নি প্রথমে একটু হাসলেন। ওঁর হাসি আগেও দেখেছি, কিন্তু আজ যেন তাতে একটা অন্য প্রত্যয় দেখতে পেলাম। উনি বললেন, আমি কাকে আমার কাজের জন্য যোগ্য মনে করব সেট আমিই তো ভাল বুঝব, তাই না? আমি ঘাড় নেড়ে চলে যাচ্ছিলাম, উনি আবার বললেন, আচ্ছা বাসু আপনার নিজের কোনও অসুবিধে নেই তো আমি আপনার উপর বেশি দায়িত্ব দিচ্ছি এবং বারবার ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করছি বলে?
সত্যি বলতে কী ম্যাডাম কুলকার্নি ডাকলে আমার ভালোই লাগে। সেটা বলার নয় বলেই বললাম না। একটু হেসে চলে এলাম।
দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু একদিন একটা অন্যরকম ঘটনা ঘটল।
সেদিন একটু তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেরিয়ে যাব ভেবেছিলাম, কারণ শরীরটা ভাল ছিল না। আগেরদিন বৃষ্টিতে ভেজার ফলে হালকা জ্বর ছিল। তাই বিকাল চারটে নাগাদ ম্যাডাম কুলকার্নির চেম্বারে যাচ্ছিলাম অনুমতি নেওয়ার জন্য, কিন্তু যা দেখলাম সেটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। দেখি সামনের সিঁড়ি দিয়ে ম্যাডাম রুমালে চোখ মুছতে মুছতে নামছেন, আমাকে দেখেই প্রায় দৌড়ে নিজের চেম্বারে ঢুকে গেলেন।
আমি কারণ বুঝলাম না। আমার দরকার ছিল ম্যাডামের কাছে কিন্তু এই সময় যাব কিনা সেটাই ভাবছিলাম। যাইহোক, কান্না ম্যাডামের ব্যক্তিগত বিষয় হলেও একইসঙ্গে কাজ করার সুবাদে যেটুকু আলাপ হয়েছে তাতে মনে হল যদি কোনও প্রয়োজন থাকে একবার গিয়ে মিস কুলকার্নির পাশে দাঁড়াই। কিছুটা দ্বিধা নিয়েই তাঁর কাছে গেলাম।
ততক্ষণে নিজেকে অনেকটা সামলে নিয়েছেন ম্যাডাম। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিছু দরকার ছিল বাসু?
আমি বলতে পারলাম না যে আমি অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি চাইতে এসেছি। বললাম, আপনি কি কোনও সমস্যায় আছেন ম্যাডাম? হয়তো আপনার ব্যক্তিগত বিষয় তাও জানতে চাইছি।
কুলকার্নি আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। মুখে হাসি ফুটিয়ে সব স্বভাবিক আছে বোঝাতে চাইলেন হয়তো। আমিও কিছু না বলেই চেয়ে রইলাম তাঁর মুখের দিকে। ওঁর চশমার মধ্যে দিয়ে উজ্জ্বল দুটি চোখের দিকে আগেও বহুবার দেখেছি। কিন্তু আজকের দেখাটা হয়তো অন্যরকম ছিল। তাই বোধহয় উনি একটু ইতস্তত করে শেষে বলে ফেললেন, একদম ভাল লাগছেনা জানেন । কর্পোরেট জগতের প্রেশার মনে হয় মানবিকতা কেড়ে নেয় মানুষের থেকে।
আমি ওঁর টেবিলের সামনে রাখা চেয়ারে এসে বসলাম। জানতে চাইলাম কী হয়েছে।
উনি বললেন, – এখন যিনি আমাদের ব্রাঞ্চের জেনারেল ম্যানেজার তাঁর সঙ্গে একবার একটা কোম্পানি পলিসি সংক্রান্ত তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলাম আমি। আমার কথাই উপস্থিত বড় বড় ব্যক্তিদের সবার কাছে ঠিক মনে হয়েছিল। আর তার পর থেকেই জিএম একটু রূঢ় ব্যবহার করে চলেন আমার প্রতি। অকারণে কথা শোনানো, ভুল ধরা এসব লেগেই থাকে। এর মধ্যে হয়তো সেকশনের কেউ একটি নতুন স্টাফের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে কথা তুলে দিয়েছে জিএমের কানে, সঙ্গে আরও কিছু হয়তো বলে থাকবে। আজ তাই জিএম কাজের সূত্রে ঘরে ডেকে যা নয় তাই বলে অপমান করেছেন। জবাবে আমিও দু'কথা শুনিয়ে এসেছি কিন্তু এগুলো আমাকে হার্ট করে খুবই।
এতটা একটানা বলে গলা শুকিয়ে এসেছিল মিস কুলকার্নির। জল খেলেন একটু।
আমি বললাম, ওই নতুন স্টাফ কি আমি?
কুলকার্নি সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়লেন।
আমি বললাম, এতে কাঁদার কী আছে, উনি যখন সন্দেহ করছেন তখন করতে দিন। কেউ অফিসের কাজের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বললে দোষটা তার। আপনার নয়। এসব ভাবনা ছাড়ুন।
মিস কুলকার্নি বললেন, আপনি কেন এদিকে আসছিলেন বললেন না তো।
আমি বললাম, তেমন কিছু না , আজ একটু আগে চলে যেতাম।
উনি বললেন, যান।
আমি গেলাম না। বললাম, আপনাকে এরকম মুখ গোমড়া করে থাকতে দেখতে ভাল লাগছে না ম্যাডাম।
উনি হাসলেন, তাহলে কী করব বলুন মি: বাসু?
আমি বললাম, একটা কথা বলি কিছু মনে করবেন না ম্যাডাম। আমি অধস্তন কর্মী। ভুল বললে মাফ করবেন...
উনি বললেন, আরে বলুন না...
বললাম, জিএমের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে বেরিয়ে আসবেন?
– কীকরে?
বললাম, আমি তো বেরোব এখন। আপনিও বেরিয়ে আসুন। চলুন দু'জনে কোথাও একটু ঘুরে আসি বিকালটা। সন্ধের দিকে নাহয় যার যার বাড়ি ফিরে যাব। জিএমের কানে খবরটা যাবেই। উনি মাথার চুল ছিঁড়বেন রাগে।
হা হা করে হেসে উঠলেন মিস কুলকার্নি। বললেন, আপনি একদম কলেজে পড়া ছেলেদের মত কথা বলছেন বাসু। চলুন আমারও একটু বেরোনো হবে। আর বুড়োটাকে রাগানোও যাবে।
দু'জনে বেরিয়ে এসেছিলাম । আমাদের অফিস থেকে সমুদ্র বেশি দূর নয়। একটা ক্যাব নিয়ে মেরিন ড্রাইভে এসে দুজনে অনেকক্ষণ খোলা আকাশ আর সমুদ্র দেখলাম। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের শব্দ শুনলাম।
কাছের একটা ক্যাফেতে বসলাম দুজনে।
জিগ্যেস করলাম, কেমন লাগছে ম্যাডাম?
মিস কুলকার্নি আমাকে অবাক করে দিয়ে বললেন, আজ ম্যাডাম থাক। ওটা অফিসের জন্যে। আমাকে শ্রদ্ধা বলুন এখানে। আর ধন্যবাদ আমাকে একটা সুন্দর বিকেল উপহার দেওয়ার জন্যে।
আমি কিছু না বলে চা খেতে লাগলাম। উনি কফি।
হঠাৎ উনি বলে বসলেন, আচ্ছা বাসু যদি আমি এখান থেকে ট্রান্সফার নিয়ে পুনে চলে যাই ?
আমি একটু চমকে গেলাম, আপনি চলে যাবেন বলছেন? কেন?
- না মানে ধরুন যদি যাই, আপনি কী করবেন?
– কী করব তা তো জানিনা। তবে কথাটা আমার পছন্দ হলনা। মিস করব আপনাকে।
– মিস করবেন?
আমি হঠাৎ করেই যেন সাহস পেয়ে গেলাম, বললাম, আমি চাইনা এত তাড়াতাড়ি আপনাকে হারিয়ে ফেলতে। এত অল্প দিনে আমি আপনার প্রতি... স্যরি মিস কুলকার্নি ....
মিস কুলকার্নি আমার দিক থেকে একটুও চোখ সরাননি এতক্ষণ। ওঁর সেই মিষ্টি হাসিটা দিয়ে বললেন, – শ্রদ্ধা বলে ডাকতে বলেছি আপনাকে সাত্যকি। আপনি এত লজ্জা পাচ্ছেন কেন, যেখানে আমি একটা মেয়ে হয়ে আপনার বন্ধুত্ব চাইছি।
আমি ওঁর দিকে তাকালাম। মিস কুলকার্নি আমার হাতটা ওঁর হাত দিয়ে ধরে ফেললেন আলতো করে।
বললেন, আজ শুক্রবার। কাল ছুটি। আজ রাতে আমার বাড়ি থেকে ডিনার করে ফিরবেন সাত্যকি। আমি কোনো কথা শুনবনা।
একরকম জোর করে বাড়ি নিয়ে এলেন আমাকে। ওঁর ফ্ল্যাটটা এই বিল্ডিংয়ের ছয় তলায়। একটি বেডরুম, একটি ডাইনিং, একটি স্টোররুম, কিচেন, বাথরুম আর বারান্দা। আমাকে বসিয়ে উনি বাইরের ড্রেস চেঞ্জ করতে চলে গেলেন। আমার যে ভালোই লাগছিল সেটা বলা বাহুল্য।
সঙ্কোচও হচ্ছিল একটু । বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজে স্বতঃস্ফূর্ত মেলামেশা এখনও তেমন প্রচলিত নয়। আমি জানি মিস কুলকার্নির সমাজেও সেটা চলেনা, কিন্তু বাড়ি থেকে দূরে একাকী জীবনে কর্পোরেট কালচারে এগুলো হয়েই থাকে। আসলে মানুষ নিজের পাশে মানুষকে চায়। বন্ধনহীন বন্ধুত্ব, মেলামেশা এগুলো দোষের কিছু নয় যেখানে দুজনেই পূর্ণবয়স্ক। সাতপাঁচ ভাবছিলাম, তার মধ্যেই সামনে এসে দাঁড়ালেন মিস শ্রদ্ধা কুলকার্নি। পরনে গোলাপি সালোয়ার কামিজ, একটি ম্যাচিং টিপ – চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না। আমি হাঁ করে দেখছিলাম অফিসে আমার ইমিডিয়েট বসকে । সেখানে দেখি ফর্মাল ড্রেসে, এখানে একদম অন্যরকম। ইনি এক পরিপূর্ণা নারী। বহুদিন পর যেন চোখের সামনে একটা আলো ঝলমল করছিল।
মিস কুলকার্নির কিচেনটা বেশ গোছানো। একাই থাকেন, তাই খুব বেশি রান্না হয়না। উনি বলছিলেন, নিজে রান্না করে কাউকে খাওয়ানোর ইচ্ছে বা সুযোগ ওঁর হয়নি কোনোদিন। কাজের পরে দিনের শেষে কাজ চালানোর মতো রান্নাই উনি করেন। আমার জন্যে বানালেন জিরা রাইস আর চিকেন। সঙ্গে স্যালাড। দেখলাম উনি খুব দ্রুত রান্না সারতে জানেন। বললেন, সপ্তাহে একদিন চিকেন ম্যারিনেট করে ফ্রিজে রেখে দিই। রান্না করতে সুবিধে হয়।
আসলে আমরা যারা একা থাকি তাদের ওটাই সিস্টেম। ডিম, মাছ, চিকেন, আনাজপাতি যেমন যা দরকার সব ধুয়ে কেটে মশলা মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দেওয়া সপ্তাহে একবার। দরকার মত ফ্রিজ থেকে নিয়ে রান্না করে নেওয়া যায়।
ডিনার সুস্বাদু হয়েছিল খুবই। প্রশংসা না করে থাকা যাচ্ছিল না।
ডিনারের পর কুলকার্নি বললেন, বাঙালিদের টেস্টবাড খুব উন্নতমানের হয়। আপনাদের রান্নার খুব সুখ্যাতিও আছে। এটা কি তার ধারেকাছেও এসেছে?
আমি বললাম, আপনার মত রাঁধুনির কাছে নিমন্ত্রিত হিসাবে এসে আমি গর্ববোধ করছি। আমি এর চেয়ে ভাল বানাতে পারবনা।
কিছুক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইলাম। দুজনেই বুঝতে পারছিলাম যে সময়টা থেমে গেছে। বিকাল থেকে দুজনে দুজনের সঙ্গে এত আনন্দে সময় কাটিয়েছি যেন আমরা কতকাল ধরে বন্ধু। মিস কুলকার্নি সত্যিই একা। উনি আমার সঙ্গে কোনদিনই অধস্তন কর্মচারীর মত ব্যবহার করেননি। তবু অফিসের বাইরে ওঁর একদম অন্য রূপ দেখতে পাচ্ছি মনে হচ্ছে।
আমি বললাম, ম্যাডাম এবার যেতে হবে আমাকে।
মিস কুলকার্নি বললেন, সারাদিন কেটে গেল এখনও আমাকে শ্রদ্ধা বললেন না?
আমি আর আবেগ ধরে রাখতে পারছিলাম না। তবু বললাম, ভয় হয় আমার শ্রদ্ধা। যদি আমি আপনার যোগ্য হতে না পারি?
শ্রদ্ধা কুলকার্নি সহসা আমার দিকে ঘন হয়ে এলেন। বললেন, এসব কথার কোনও মানে নেই সাত্যকি। আমি তোমাকে ছাড়া এই মুহূর্তে কিছু জানিনা আর। প্লিজ সাত্যকি, প্লিজ।
আমার অফিসের ম্যাডাম মিস শ্রদ্ধা কুলকার্নি আমাকে দেওয়ালে ঠেসে ধরে চেপে ধরে রাখলেন আমাকে। মুখ ঘষতে লাগলেন আমার জামার ওপর দিয়ে। বলতে লাগলেন, সাত্যকি আমাকে একটু আদর দাও।
কেঁপে কেঁপে উঠছিলেন মিস কুলকার্নি, আমি আর থাকতে না পেরে দুহাতে জড়িয়ে ধরলাম ওঁকে।
উনি এত নরম মনে হচ্ছিল পিষে ফেলি ওঁকে আমার বুকের মধ্যে নিয়ে।
বেডরুমে এনে বিছানায় শুইয়ে দিলাম ওঁকে। দু'চোখ বন্ধ করে ফেলেছেন মিস কুলকার্নি।
আমি ডাকলাম, শ্রদ্ধা আজ অবধি বুঝতে পারিনি তুমি এত সুন্দর!
নেশা ধরানো গলায় উত্তর এল, আমাকে আজ তুমি নাও সাত্যকি। সব দেব তোমায়।
আমি ধীরে ধীরে শ্রদ্ধার গা থেকে পোশাক খুলে নিচ্ছিলাম। লজ্জায় চোখ বন্ধ ছিল শ্রদ্ধার। চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছিলাম শরীরের এক একটি জায়গা আর উন্মুক্ত করে চলেছিলাম তাঁকে, যাঁর সঙ্গে আজ বিকালের আগে অবধি আমার একটিও ব্যক্তিগত কথা পর্যন্ত বিনিময় হয়নি। এখন আমি তাঁর সবচেয়ে ব্যক্তিগত সম্পদ অধিকার করতে চলেছি।
একসময় আমার সামনে শ্রদ্ধা শুধু ব্রা আর প্যান্টি পরা অবস্থায় শুয়ে রইলেন। চোখ তখনও বন্ধ ।
বললাম, নিজেকে দেখো শ্রদ্ধা তুমি কত মোহময়ী!
শ্রদ্ধা চোখ খুললেন। আমি ওঁর নাভিতে জিভ ছোঁয়ালাম। শিউরে উঠে আমাকে টেনে আনলেন নিজের উপরে।
আমি শ্রদ্ধার গলায় ঘাড়ে কানের লতিতে বারবার চুমু দিলাম। স্বাদ নিলাম শ্রদ্ধার ফুলের মতো ঠোঁটের। মুখ তুলে বললাম, শ্রদ্ধা আমাকে কেমন লাগছে এখন ?
কোনো উত্তর না দিয়ে আমার ঠোঁট কামড়ে মুখের ভিতরে জিভ ঢুকিয়ে দিলেন শ্রদ্ধা। চুষতে লাগলেন পাগলের মতো। আমার হাত দুটো টেনে নিলেন নিজের নরম বুকের উপর। আমি ব্রায়ের উপর থেকে চাপ দিয়ে দিয়ে ওঁকে সুখ দিচ্ছিলাম।
কিছুক্ষণ পর উনি শান্ত হলে আমি ওঁর বুক থেকে ব্রা খুলে নিতে গেলাম। উনি উপুড় হয়ে গেলেন আমার হাত থেকে বাঁচতে। আমি ওঁর পিঠের উপর শিরদাঁড়ার উপর দিয়ে জিভ বুলোতে লাগলাম। উনি কেঁপে কেঁপে উঠে আর থাকতে না পেরে বললেন, খুলে নাও হুক। ছিঁড়ে খাও আমাকে।
এটা তো আমি করতামই। তাও একটু উত্তেজিত করছিলাম ওঁকে। আমার নিজের অবস্থাও সেরকমই। প্যান্ট তো আগেই খুলেছি, এখন অন্তর্বাসও ছিঁড়ে যাওয়ার অবস্থা।
পিছন থেকে ব্রায়ের হুক খুলে ঝাঁপিয়ে পড়লাম শ্রদ্ধার উপরে। উল্টে দিলাম পাখির মতো নরম ফর্সা শরীরটাকে। পিষতে লাগলাম বুক দিয়ে শ্রদ্ধার দুটি স্তন। জিভ দিয়ে চেটে ভিজিয়ে ফেললাম দুটি স্তনের বৃন্তের চারপাশের হালকা বাদামি অংশ। মুখ দিলাম বাহুমূলে। কোমরের চারপাশে গন্ডি কেটে দিলাম জিভ দিয়ে।
একটানে খুলে নিলাম প্যান্টি। শ্রদ্ধা দুটো পা জোড়া করে নিজের যোনিটুকু ঢেকে রাখার একটা অক্ষম চেষ্টা করছিল। এখন সেদিকে গেলাম না। ওঁর যোনি এখনো আমার জন্য প্রস্তুত নয়, যোনি লজ্জা পাচ্ছে। আমি ক্ষুধার্ত মানুষের মত তলপেটের সবটুকু কামড়ে কামড়ে লাল করলাম।
শ্রদ্ধা মুখ দিয়ে আরামের শব্দ করে যাচ্ছিলেন। মাঝে মাঝে ব্যথা পেয়ে কঁকিয়ে উঠছিলেন। আমি চমকে গিয়ে থেমে যাচ্ছিলাম। তখনই আবার আদর চাইছিলেন আমার অফিসের ম্যাডাম।
একসময় ওঁর স্তনের বৃন্তে মুখ লাগিয়ে চুষতে শুরু করলাম। আহ আহ করে উঠলেন শ্রদ্ধা। দুটি স্তন চুষে চুষে যখন ছাড়লাম তখন বুকের চূড়াদুটো লাল হয়ে গেছে।
বুক থেকে পেট হয়ে মুখ নামিয়ে আনলাম শ্রদ্ধার লজ্জাস্থানে। মাতাল করা গন্ধ উঠছে যোনি থেকে। আমার মুখ রাখলাম কালো হালকা মখমলি যৌনকেশে ঢাকা যোনির উপর। দুটি পা ফাঁক করে দিলেন মিস শ্রদ্ধা কুলকার্নি। আমি জিভ দিলাম যোনির ঠিক মাঝখানে। ভিজে গেছে অনেকখানি।
শুনতে পেলাম, তুমি বুঝি ওটাও মুখে নেবে?
উত্তর দিলাম, তুমি তো সব নিতে বলেছ। লজ্জা কী?
আর সময় দিলাম না। জিভ ঢুকিয়ে দিলাম ওই কৃষ্ণগহ্বরে। শুষে নিতে হবে ম্যাডাম কুলকার্নির লজ্জা। জিভ দিয়ে চাটতে চাটতেই হড়হড় করে গ্লেসিয়ার এসে পড়ল আমার জিভে। বরফ গলার আরামে চিৎকার করে উঠলেন শ্রদ্ধা। আমি সবটা পান করে নিলাম।
নিজেকে স্থাপিত করলাম শ্রদ্ধার শরীরের গর্ভগৃহে। বর্ষণসিক্ত পিচ্ছিল পথে আমার সমস্ত অস্তিত্ব যেন দুর্বার আকর্ষণে এগিয়ে যাচ্ছে, আবার ধাক্কা খেয়ে ফিরে এসে নতুন উদ্যমে ছুটে যাচ্ছে সামনে যা আছে সব ভেঙে ফেলার জন্য। গোঙানির শব্দ উঠে আসছে শ্রদ্ধার গলা থেকে। মাঝে মাঝে ওঁর গলায় চিবুকে কামড়ে দিচ্ছি, বিনিময়ে আঁচড় পড়ছে আমার ঘাড়ে পিঠে গালে।
শ্রদ্ধা বলতে লাগলেন, মেরে ফেলো আমাকে , প্লিজ মেরে ফেলো।
ক্রমাগত আঘাত সহ্য করতে করতে প্রায় পাঁচ-ছয়বার অমৃতধারা উঠে এল শ্রদ্ধার অতল থেকে।
প্রতিবারই কেঁপে উঠে আমাকে জাপটে ধরে সেই উদ্গীরণ উপভোগ করেছিলেন মিস শ্রদ্ধা কুলকার্নি। আমি ধন্য হয়েছিলাম তাঁকে খুশি দেখে। একসময় লুটিয়ে পড়েছিলাম ওঁর দুই স্তনের উপত্যকায়।
দীর্ঘ সময় ওই নরম ফুলের মতো মানুষটাকে সবরকমভাবে আদর করে লাল করে দিয়েছিলাম। দুজনে বহুক্ষণ ঘামে ভিজে জড়িয়ে শুয়েছিলাম , মিস শ্রদ্ধা আমার গায়ে আস্তে আস্তে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন। ওঁর চোখে জল ছিল। আনন্দের অশ্রু।
সে রাতে আর ফিরিনি আমি নিজের ফ্ল্যাটে।
পরদিন ছিল শনিবার। দিনটা কাটিয়েছিলাম এদিক ওদিক একসঙ্গে ঘুরে আর রাতে নিজের ফ্ল্যাটে ফিরেছিলাম আরো একবার মিলনের পর।
এরপর অফিস যেমন চলার চলছিল। দরকার হলেই অফিসে মিস কুলকার্নি আমাকে ডেকে পাঠাতেন, আমি যেতাম। কোনো কোনো সন্ধ্যায় বসতাম দুজনে কফিশপে বা কখনো সিনেমায়। অফিসে আমরা ছিলাম কুলকার্নি আর বাসু, কারণ অফিসের ওই নামদুটোই আমাদের কাছাকাছি এনেছিল। অফিসের বাইরে আমরা ছিলাম শ্রদ্ধা ও সাত্যকি। আমাদের বন্ধুত্ব এতটাই ছিল যে বিয়ের চিন্তা করতে হয়নি। যা স্বভাবিক, একটি নাম ছাড়া সম্পর্ক , কখনো বন্ধু, কখনো বস ও কর্মী – সেটাই স্বচ্ছন্দে বহন করছিলাম মনের মধ্যে।
কিন্তু মুম্বাইয়ের পাট চুকল একসময়। কয়েক মাসের মধ্যেই অফিস রাজনীতির চাপে আমাকে ট্রান্সফার হতে হল ইন্দোরে। মন খারাপ হয়েছিল খুবই। কিন্তু শ্রদ্ধা বুঝিয়েছিলেন তিনি চেষ্টা করবেন ইন্দোরে চলে আসার। মুম্বাই থেকে ইন্দোর আসার ট্রেনে আমাকে তুলে দিয়েছিলেন মিস শ্রদ্ধা , ট্রেন ছাড়ার আগে চুম্বনে ভরিয়ে দিয়েছিলেন আমাকে।