Jongoler Prohori - 13 in Bengali Thriller by Srabanti Ghosh books and stories PDF | জঙ্গলের প্রহরী - 13

Featured Books
  • The Omniverse - Part 5

    (Destruction Cube) அழித்த பிறகு,ஆதியன் (Aethion) பேய்கள் மற்...

  • The Omniverse - Part 4

    தீமையின் எழுச்சி – படையெடுப்பு தொடங்குகிறதுதற்போது, டீமன்களு...

  • அக்னியை ஆளும் மலரவள் - 12

     மலரியின் அக்கா, ஸ்வேதா வருவதைப் பார்த்து, “நீயே வந்துட்ட, எ...

  • அக்னியை ஆளும் மலரவள் - 11

    “நீ கோபப்படுற அளவுக்கு இந்த ஃபைலில் அப்படி என்ன இருக்கு?” என...

  • The Omniverse - Part 3

    வெற்றிட சோதனை - ஒரு தகுதியான வாரிசைக் கண்டுபிடிக்கபல டிரில்ல...

Categories
Share

জঙ্গলের প্রহরী - 13

জঙ্গলের প্রহরী

পর্ব - ১৩

💟💞💟💞💟💞💟

- "একটু অসুবিধা করুন দুদিন। আমরা চেষ্টা করছি কি করা যায়। আজ আসি। ম্যাডামের খবর নিতে এসেছিলাম, শি ইজ ফাইন, খুব ভাল লাগছে। আপনারা সবাই ভাল করে ঘুরবেন, তবে সাবধানে। মিঃ গোস্বামীর কথা শুনে চলবেন।" সিদ্ধার্থ আর ঋষি উঠে দাঁড়িয়েছে। 

শাক্য হাঁ হাঁ করে ওঠে, ওর মা আর বাবাও বেরিয়ে এসেছেন, মা আর পিছনে একটি আদিবাসী মহিলা, দুজনের হাতেই খাবারের প্লেট। 

সিদ্ধার্থদের সামনের টেবিলে খাবার রেখে ওর মা চোখ পাকান, "রোজ রোজ এভাবে চলে গেলে হবে না। বোসো, আজ খেয়ে তবে যেতে পারবে।" 

ছেলেমেয়েরাও হৈচৈ করে ওঠে, "সিদ্ধার্থদা বসুন, ঋষিদা বসুন। আমরা দাদা ডাকতে পারি তো?" বসতেই হয় ওদের আন্তরিকতায়।

রাজীব মতামত দিতে যায়, "হ্যাঁ, উনি আমাদের সবার থেকেই অনেকটা বড়ই হবেন যে পোস্টে আছেন। আমি দুহাজার পনেরোর ব্যাচ, আপনি?"

নিজেই জানে না কেন, কাল থেকেই রাজীবের উপর রাগে গা রি রি করছিল সিদ্ধার্থর। সুযোগ পেয়ে বেমালুম বলে বসে, "কিসের ব্যাচ? আই পি এসের? আমি দুহাজার উনিশের।"

সিদ্ধার্থর এমন খোঁচায় রাজীব হতভম্ব, ঋষি হাসি চাপতে পারছে না। দু চারজন খুক খুক কাশি শুরু করেছে। 

মণীষা বলে, "সিদ্ধার্থদা, আপনি প্রথম থেকেই পুলিশ সার্ভিস বেছেছিলেন?"

- "হ্যাঁ, আমার এটাই পছন্দ ছিল।" সিদ্ধার্থ খাওয়ায় মন দেয়। 

- "আমারও। আমারও শখ ছিল ইনটেলিজেন্সে আসার। আমি দুহাজার একুশের ব্যাচ।" ঋষি টপ করে মাঝখানে বলে।

- "সত্যি আপনারা কত ব্রেভ ! আপনাদের যত গল্প শুক্লা কাল সারারাত বলল, আপনাদের স্টকে নিশ্চয়ই আরও দারুণ সব গল্প আছে। সঁব গঁল্প শুঁনব আঁমরা।" মণীষা আরও গলে যায়। 

রাজীব জল টল খেয়ে একটু সামলেছে। এবার বলে, "আমি আমার এম এস সি র ব্যাচের কথা বলেছিলাম। আপনার এম এ কোন ইয়ারে?"

- "আমি এম এ করিনি।" সিদ্ধার্থর সাফ জবাব। 

রাজীবের মুখে এতক্ষণে হাসি ফোটে। মণীষার দিকে তাকিয়ে নিয়ে বলে, "এই আপনারা পুলিশরা পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করেন না। এম এ টা অন্ততঃ করতে পারতেন।"

- "আমার এম এ করার কোনো ইচ্ছে ছিল না।" সিদ্ধার্থর কাঠখোট্টা জবাব।

- "তাই তো বলছি ভাই। আপনারা একটুও এ্যাকাডেমিক না। গ্র্যাজুয়েশনে কি মানে অনার্স?"

- "আমি ম্যাথামেটিক্সের স্টুডেন্ট। তাই এম এ করিনি আমি, এম এস সি করেছি, দুহাজার আঠেরোতে।" সিদ্ধার্থর খাওয়া শেষ, জলের গ্লাস তুলে নেয়।

রাজীবের মুখ বন্ধ। ছেলেমেয়েরা ঠেলাঠেলি করছে নিঃশব্দে। শুক্লার বাবা বলেন, "এটাই তো ভাল। অঙ্কের লোকের পক্ষেই তো ইনভেস্টিগেশন, ডিডাকশন, এসব স্যুটেবল। রিজনিং পাওয়ারটাই আলাদা হয় এদের।" সিদ্ধার্থ হাসিমুখে নড করে। 

ঋষি বলে, "আমিও ম্যাথমেটিক্সের। তাই তো আমাদের দুজনের এত ভাব হয়ে গেছে।"

- "আচ্ছা আচ্ছা, সবার খাওয়া দাওয়া যখন শেষ, আবার আমাদের গানের আসর শুরু হোক। এবার আরও সিদ্ধার্থদা আর ঋষিদা আমাদের সঙ্গে আছে।" শমীক আর দিয়া পরিস্থিতি হালকা করতে চায়। 

- "বেশতো, গান বাজনা হোক। আমরা পরে একদিন শুনব। আজ অনেকগুলো কাজ আছে।" সিদ্ধার্থ হাসিমুখেই বলে। 

- "তা বললে হয়? আমি অন্ততঃ ঋষিদাকে চিনতে পেরে গেছি। গানের বাড়ি ইউ টিউব চ্যানেল ঋষিদার, তাই না?" এতক্ষণে মুখ খোলে শ্রীতমা। আবার হৈহৈ পড়ে যায়। অনুরোধ শুরু হয় গান গাওয়ার। 

রাজীব তাড়াতাড়ি বলে, "ঠিক আছে, আমাদের প্ল্যানমতো আমার গানটা এবার করে নিই, তারপর তোমাদের ইউ টিউব স্টার গাইবেন নাহয়।" 

রাজীব গান ধরে -

ভালবেসে সখী নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো
তোমার মনের মন্দিরে

বেশ ভাল, সাধা গলা রাজীবের, একটু ভারীর দিকে। সবাই মাথা দুলিয়ে শুনছে। ঋষি সঙ্গে সঙ্গে চোখ বুজে অস্ফুটে গাইছে। সিদ্ধার্থ সবার মুখে চোখ বোলাচ্ছিল, মণীষার সঙ্গে চোখাচোখি হতে তাড়াতাড়ি মুখ ফিরিয়ে নেয়। মণীষা সোজা ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। 

গান শেষে প্রবল হাততালি। সিদ্ধার্থও খুব ভাল, খুব ভাল বলে উঠে পড়তে চায়। কেউ কি ছাড়ে ঋষিকে? 

শেষে ঋষি ধরে সিদ্ধার্থকে, ওকেও গাইতে হবে। সিদ্ধার্থ জানে না, আবার ওর কেন কিচ্ছু ভাল লাগছে না। তাও যদি গান গাইলে এখান থেকে বেরোনো যায়, ঋষির সঙ্গে গলা মিলিয়ে গায় -

হাম যো চলনে লাগে 
তো চলনে লাগে হ্যায় ইয়ে রাস্তে
আ হা হা
মনজিল সে বেহতর লাগনে লাগে
হ্যায় ইয়ে রাস্তে

এবার গানের শেষে পিনড্রপ সাইলেন্স প্রথমে, তারপর হাততালি আর থামে না ছেলেমেয়েদের। শাক্যর বাবা মাও খুব প্রশংসা করেন। সবার এক কথা, ঋষির গান সামনাসামনি এই প্রথম শুনল ওরা। তবে সিদ্ধার্থও মুগ্ধ করেছে। এরপর নিশ্চয়ই ইউ টিউবেও দুজনেরই গান শোনা যাবে। 

- "আচ্ছা আমরা আসছি আজ। আপনারা যখন এখানে আছেন, ছোট জায়গা আবার দেখা হবে। আসি মাসিমা, মেসোমশাই।" ডবল হতভম্ব রাজীবকে পিছনে ফেলে এত প্রশংসায় কিছুটা লজ্জিত সিদ্ধার্থ বেরিয়ে আসে ঋষির সঙ্গে। 

পিছনে শাক্য, "সিদ্ধার্থ, প্লিজ, এক মিনিট দাঁড়ান।" গাড়ির পাশে থেমে যায় ওরা দুজন। 

[ ❤ সামনাসামনি বাকযুদ্ধ সিদ্ধার্থ - রাজীবের। তারপর শাক্য কি বলতে চায়? 

❤ জানা যাবে পরের পর্বে। অনেক ধন্যবাদ এই পর্বটি পড়ার জন্য। আপনার মতামতের অপেক্ষা করছি। দয়া করে মন্তব্য করে জানাবেন। ]

চলবে