Mermaid Lover - 1 in Bengali Love Stories by Queen Of Hell Sania books and stories PDF | Mermaid Lover - 1

Featured Books
  • स्वयंवधू - 31

    विनाशकारी जन्मदिन भाग 4दाहिने हाथ ज़ंजीर ने वो काली तरल महाश...

  • प्रेम और युद्ध - 5

    अध्याय 5: आर्या और अर्जुन की यात्रा में एक नए मोड़ की शुरुआत...

  • Krick और Nakchadi - 2

    " कहानी मे अब क्रिक और नकचडी की दोस्ती प्रेम मे बदल गई थी। क...

  • Devil I Hate You - 21

    जिसे सून मिहींर,,,,,,,,रूही को ऊपर से नीचे देखते हुए,,,,,अपन...

  • शोहरत का घमंड - 102

    अपनी मॉम की बाते सुन कर आर्यन को बहुत ही गुस्सा आता है और वो...

Categories
Share

Mermaid Lover - 1

রাতের সময়
একটা খুবই সুন্দর সোসাইটি আর ওই সোসাইটির ভিতর গেলে সবথেকে বড় যে ম্যানশনটা ওই ম্যানশন এর মধ্যেই একটা রুম

রুমের মধ্যিখানে একটা খুবই সুন্দর মিনি সুইমিং পুল ছিলো যার ধারে ধারে অনেক সুন্দর সুন্দর সাদা ফুল লাগানো ছিল। আর ওই মিনি সুইমিংপুলে অনেক সাদা পদ্মফুল ছিলো। আর ওই সুইমিং পুলের মধ্যেখানে একটা খুবই সুন্দর বেড ছিল। আর ওই সাদা সুন্দর বেডের ধারে ধারে পর্দা লাগানো ছিল সাদা পর্দা, যেটা ওই বেডের সৌন্দর্য আরো বাড়াচ্ছে।

আর পুরো রুমে সাদা লাইটিং জ্বলছে । এই রুমটা পুরো গার্ডেনের মতন ছিলো। রুমে নানান রকমের সুন্দর সুন্দর প্রজাপতি হচ্ছে। আর নানান রকমের ফুল গাছ লাগানো আর ওই ফুলের মধ্যে থেকে হালকা গোলাপী আলো জ্বলছে।

যার জন্যে রুমটাকে যেন স্বর্গ মনে হচ্ছে। চারিদিকটা খুবই সুন্দর ছিল। আর পুরো রুমে সাদা পর্দা লাগানো ছিল হাওয়া এসে ওই পর্দা গুলিকে উড়িয়ে দিচ্ছে।

আর তখনই রুমের মধ্যে সাদা স্যুট পরা তিনটে লোক ঢুকলো ।এরা বডিগার্ড ছিল।


আর ওই মিনি সুইমিংপুলের মধ্যেখানে থাকা বেডেতে একটা খুবই আকর্ষণীয় পুরুষ শুয়েছিল ওর মুখটা ও এমন বানিয়ে রেখেছে যেন ও খুবই বোর হয়ে যাচ্ছে।

ওর চোখের পলক থেকে শুরু করে ওর চোখের পলক আই ব্রো চুল পুরো সিলভার কালারের ছিল আর ফর্সা ধবধবে শরীর। যেটা ওকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে চোখের মনি একদম নীল ছিল। ঠোঁট রক্তের মতন লাল হয়েছিল যেন কারোর রক্ত চুষে এসেছে। ওর গাল ও হালকা লাল হয়েছিল। আর ওর সার্ভ আইব্রোজ ওর সৌন্দর্য আরো বাড়াচ্ছে। ওর চুল যেটা কাধ অব্দি লম্বা ছিল যেটা ওকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে। আর ওর পরনে ছিল হোয়াইট শার্ট আর হোয়াইট প্যান্ট।হাইট ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি । সব মিলিয়ে সব মেয়েদের স্বপ্নের পুরুষ একেই বলে।যে কোন মেয়ে পাগল হয়ে যাবে একবার এই আকর্ষণীয় পুরুষ কে দেখলে।
কিন্তু পুরুষ খুবই অদ্ভুতভাবে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে আর মুখটা বোরিং বানিয়ে রেখেছে। ওর সুন্দর মুখে কোনো খুশি ছিল না।

ও একটা দীর্ঘশ্বাস নিলো আর মুখটাকে বালিশের মধ্যে গেঁথে নিলো। আর মুখ না চাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটে বডিগার্ড দের নিজের খুবই আকর্ষণীয় কন্ঠে বলল"কোনো ব্যাড নিউজ হলে তোদের সবাইকে কেটে আমি আমার ব্ল্যাক লেবারদের খাইয়ে দেবো নিজের হাতে তোদের কাটব। পিস পিস করে।"

এটা শুনে বডিগার্ড তিনটে নিজের কপালে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম একসাথেই মুছে নিলো আর বলল"হ্যাঁ বস আমরা ভালো খবরই নিয়ে এসেছি আপনি যেটা বলেছিলেন আমরা সেটাই করেছি। ওই বিরাজ শর্মার পরিবারকে সমেত ওকে ওর পুরো ম্যানশন কে আমরা বম দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছি আর ওদের হারগড্ডি ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি।"

এটা শুনে ছেলেটার মুখে কোনো খুশি আসলো না ও ওই বোরিং ফেস বানিয়েই বলল"((Very good)) এবার তোরা সবাই এখান থেকে চলে যা"

এই বলে ছেলেটা বালিশের মধ্যে মুখ আরো গেঁথে নিলোও কিন্তু তখনই আর একটা বডিগার্ড একটু ভয়ের সাথে বলল"ছোট্ট বস আপনাকে বড় বস ডিনারের জন্য ডাকছে উনি আপনার জন্য আধঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছে উনি আপনার সাথেই ডিনার করতে চান"

পরক্ষণেই ছেলেটা রাগেতে দাঁত পিষে নিলো।আর হাত জাগালো ওর হাতে একটা ধারালো ছুড়ি ছিল ও ওই ছুড়িটাকে পিছনে না ঘুরেই ছুড়ে দিলো আর সাথে সাথে ওই বডিগার্ড টার চোখে ওই ছুড়িটা খেতে গেলো।

কিন্তু বডিগার্ডটা এক হাত দিয়ে ছুরিটাকে টেনে বার করলো। তারপর সবকটা বডিগার্ড ওখান থেকে চলে গেলো।

এদিকে ছেলেটা বিরক্তি সাথে নিজেই নিজেকে বলল"একটুখানি শান্তি চাই কোথায় পাবো আমি শান্তি! এখানে কি করতে হবে একটুও শান্তি নেই? বিরক্তিকর অসহ্য"

এই বলে ছেলেটা রাগের সাথে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করল কিন্তু ঘুম তো ওর চোখ থেকে অনেক দূরে।

আর তখনই রুমের মধ্যে একটা বয়স্ক কিন্তু খুবই হ্যান্ডসাম লোক ইন্টার করলো, আর আকর্ষণীয় কন্ঠে বলল"বাচ্ছা তুই এখানে ডিনার করবি না?"

ছেলেটা রাগের সাথে আবার বালিশের তলা থেকে ছুরি বার করে নিজের ড্যাডির দিকে ছুড়ে দিলো। কিন্তু ড্যাডি এক পাও নড়ল না ওখানে দাঁড়িয়ে থাকলো আর দুটো আঙ্গুল দিয়ে ছুড়িটাকে ধরে নিলো।

ছেলেটার নিশানা টা এতটা ঠিক ছিল যে তার ড্যাডি যদি না ওটাকে ধরে নিত তাহলে আজ ওনার প্রাণ চলে যেতো ওনার। কিন্তু ড্যাডি ওটাকে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে ধরে নিয়েছে এটা দেখে বোঝা যায় যে দু বাপ-বেটা কতটা এক্সপার্ট।



এবার ছেলেটা বিরক্তির সাথে বলল"মাম্মাকে তো তাড়িয়ে দিয়েছো আর কি চাই। আর নিজের মাশুকাকে নিয়ে আছো তো, ওকে নিয়ে হ্যাপি থাকো। আমি থাকি বা না থাকি তাতে কি যায় আসে তোমার?"

লোকটা এবার রুড হয়ে বলল" আয়ুস দিনকে দিন তুই আরো অভদ্র হয়ে যাচ্ছিস। এই বয়স তোর এরকম ভাবে কথা বলা !!!২৩ বছরের হয়ে গেছিস বাচ্চাদের মতন বিহেভ করিস এখনও"

কথাটা শুনে আয়ুস বিরক্তি সাথে বলল"ড্যাডি গেট আউট ফ্রম মাই রুম।"


আয়ুস এর এরকম কথা শুনে ড্যাডি ভীষণ রেগে গেলো আর বলল_"নিজের ড্যাডির সাথে কেউ এরকম ভাবে কথা বলে‌। আয়ুস দিনকে দিন তুই তোর ম্যারেজ ভুলে যাচ্ছিস। আর তোর মাম্মা নিজে থেকে চলে গেছে আমি ওকে যেতে বলিনি। আমি নিজে ওকে এখানে আসার জন্য বারবার বলছি কিন্তু ও আসতে চাইছে না, তাতে আমি কি করবো"

আবারো বালিশের তলা থেকে আর একটা চাকু বার করল আর ছুড়ে দিল ড্যাডির দিকে, আর ড্যাডি ওটাকে আবারো ধোরে নিলো আর বিরক্তির সাথে বলল"আয়ুস এবার কিন্তু লিমিট ক্রস হয়ে যাচ্ছে। তোর এতই যদি প্রবলেম হয় এতই যদি মাম্মা করিস আমি ওকে আবারো তুলে নিয়ে আসছি আমার কোনো প্রবলেম নেই এতে।"

কথাটা শুনে আয়ুস দুহাত মুঠো করে নিল আর রাগের সাথে ওর সুন্দর বিছানাতে উঠে বসলো আর বলল"ড্যাডি তোমার প্রবলেমটা কি কেনো বারবার মাম্মিকে জ্বালাতন করো। আর কবে নিজের প্লে বয় নেশাচার টা পাল্টাবে ভুলে যাও না তোমার একটা ২৩ বছরের ছেলেও আছে। বিরক্ত লাগে আমার"

এটা শুনে ড্যাডি বাঁকা হেসে বলল" আমার যা ভালো লাগে আমি তাই করি তোকে আমি বারণ করিনি। তোরও যা ভালো লাগে তুই তাই কর! পরবর্তী রাজা তুই এই পুরু ম্যানশন আমার সমস্ত প্রপার্টির সবকিছুর একমাত্র তুই উত্তর অধিকারী ইনজয় কর!"


আয়ুস রাগের সাথে বলল"প্রথমত আমার প্রপার্টি ফ্রপার্টি কিচ্ছু চাইনা। আমার শুধু মাম্মি চাই। আর তুমি তোমার প্লে বয় নেচারটা পাল্টাও এটা চাই। কারণ আমার একদমই পছন্দ না যে আমার মাম্মি তোমার জন্য বারবার হার্ট হয়।"

কথাটা শুনে ড্যাডি বিরক্তির সাথে বলল"উফ শাট আপ আয়ু । বারবার এই কথাটা বলার প্রয়োজন নেই"

আয়ুস ও রাগের সাথে বলল"আমি মাম্মির কাছে যাবো।"

ড্যাডি একটা দীর্ঘশ্বাস নিলেন আর বললেন"তুই ওই গ্রামেতে থাকতে পারবি! কিছুদিন ওয়েট কর আমি ওখানে, তোর জন্য একটা ম্যানশন তৈরি করাই। কারণ ওই গ্রামেতে ওই নোংরা ওয়াটার এর নোংরা জিনিস এ তোর হেলথ খারাপ হতে পারে! যেটা আমি একদমই সহ্য করতে পারবো না।"

আয়ুস বিরক্তির সাথে বলল"আমার কোনো যায় আসে না!"

(তো কি হতে চলেছে এরপর? জানবার জন্য পরের পর্ব পড়তে হবে)