Mermaid Lover - 5 in Bengali Love Stories by Queen Of Hell Sania books and stories PDF | Mermaid Lover - 5

Featured Books
  • ભાગવત રહસ્ય - 210

    ભાગવત રહસ્ય -૨૧૦   સીતા,રામ અને લક્ષ્મણ દશરથ પાસે આવ્યા છે.વ...

  • જાદુ - ભાગ 10

    જાદુ ભાગ ૧૦ રાતના લગભગ 9:00 વાગ્યા હતા . આશ્રમની બહાર એક નાન...

  • આસપાસની વાતો ખાસ - 20

    20. વહેંચીને ખાઈએડિસેમ્બર 1979. અમરેલીનું નાગનાથ મંદિર. બેસત...

  • સોલમેટસ - 24

    આગળ તમે જોયું કે રુશી એના રૂમે જાય છે આરામ કરવા. મનન અને આરવ...

  • ફરે તે ફરફરે - 80

     ૮૦   મારા સાહિત્યકાર અમેરીકન હ્યુસ્ટનના મિત્ર સ્વ...

Categories
Share

Mermaid Lover - 5

লীলা কথা বলতে বলতে এবার ফোনের দিকে দেখল আর হেসে বলল"ওকে আন্টি এবার আমি যাই আমাকে যেতে হবে আবার তোমার বাচ্চাকেও তো আনতে হবে তোমার ছোট কচি বাচ্চা।"

আন্টি এবার আরো খিলখিলিয়ে হাসলেন আর ওকে যেতে বললেন।

লীলা নিজের স্কুটি স্টার্ট করে এগিয়ে গেলো। এদিকে বিদ্যুৎও খুব জোরে চমকাচ্ছে আর ঝড়ো হাওয়া হচ্ছে।

লীলার বাড়ির পিছন থেকেই একটা রাস্তা চলে গেছে সোজা জঙ্গল থেকে হয়ে লীলা ভাবোলো ওই রাস্তা থেকে যাবে ওটা শটকাসস হবে।

ও হাই স্পিডে স্কুটিটা ভাগিয়ে নিয়ে গেল ওই জঙ্গলের রাস্তা থেকে। আশেপাশে অনেক লম্বা লম্বা গাছ হয়েছিল আর হালকা অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল জায়গাটা। বিরাট বড় বড় গাছের জন্য তার ওপর যা কালো মেঘ করেছে আর বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। আপনি মানুষের মধ্যে এই জঙ্গলের প্রতি ভয় জন্মে যাবে।

কিন্তু লীলার এই সবে কোন যায় আসে না ও মাস্ত এগিয়ে যাচ্ছিল আর ওর ভিজে চুল যেটা হাওয়ায় উড়ছিল। ওকে খুবই আকর্ষণীয় লাগছে এখন তার ওপর ও ওর ফেভারিট পর পারফিউম লাগিয়ে এসেছিল ওর শরীর থেকে আলাদা একটা খুবই মিষ্টি ‌ সুগন্ধ আসছিল।

_____*
অন্যদিকে বাস স্টপ এর কাছে অনেক গুনি বিলাস বহন সাদা গাড়ি এসে দাঁড়ালো যার মধ্যে থেকে অনেক বডিগার্ড বের হলো।

তারপর আর একটা খুবই সুন্দর সাদা গাড়ির ডোর খুলল। আর যার মধ্যে থেকে আয়ুস বার হলো । কিন্তু এখনো আয়ুস নিজের মুখটাকে বোরিং বানিয়ে রেখেছিল যেনো কিছুই ভালো লাগছে না সবকিছু ওর জন্য বিরক্ত কর।

সামনের রাস্তা দেখে আয়ুশের চোখ গভীর হয়ে গেল সামনে একটা ছোট্ট রাস্তায় এগিয়ে গেছে যেটা থেকে ওদের গাড়ি যেতে পারবেনা মুশকিল ভাবে একটা স্কুটি কিনবা বাইক সাইকেল এই রাস্তা থেকে এগিয়ে যেতে পারে।

আর তখনই খুবই জরে বৃষ্টি পড়তে লাগলো আর খুবই জোরে বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো। আস্তে আস্তে বৃষ্টির বেগ বাড়তে থাকল আর খুবই জোরে বৃষ্টি হতে লাগলো।

তার সাথে সাথে ঝড়ও হতে লাগলো আর আস্তে আস্তে সেই ঝড়টা একটা টাইপুনের রূপ নিতে লাগলো।



যেটা দেখে বডিগার্ড গুনি, দৌড়ে ছাতা নিয়ে চলে এলো আয়ুস এর কাছে আয়ুস এর মাথায় ছাতা রেখে বলল"ছোট বস এত ঝরঝরে কিভাবে যাবেন আর এইখান থেকে মনে হচ্ছে যাওয়া ও যাবে না আমরা কি আপনার প্রাইভেট জেট এখানে নিয়ে আসবো।"

কথাটা শুনে একই বোরিং ফেস বানিয়ে আয়ুস বলল"কোনো প্রয়োজন নেই আমি এখান থেকে একাই যাবো তোদের আসতে হবে না আমি আমার খেয়াল রাখতে পারি। "

একটা বডিগার্ড যে হেড বডিগার্ড লাগছিল ও এসে বিনা এক্সপ্রেশন সিরিয়াস ফেস বানিয়ে বললো"বাট লিটল বস বিগ বস কিন্তু এটার জন্য আমাদের ক্ষমা করবে না আপনি তো জানেন উনি আপনাকে কতটা ভালোবাসেন! কতটা কেয়ার করেন আপনার একটুখানি আঘাত লাগলেও উনি পাগল হয়ে যায় তো প্লিজ এমন কিছু করো না লিটল বস যাতে আপনার আঘাত লাগে"

আয়ুস মুখের এক্সপ্রেশন চেঞ্জ না করেই বলল"এটা একটা গ্রাম এখানে আমার কোন শত্রু নেই। না তো কারো সাথে কারো মতলব আছে তোর এখান থেকে যা আমি নিজের খেয়াল রাখবো। এমনিতেও আমি একাই ১০০ জনকে হারিয়ে দিতে পারি"

তুমি বলে পকেটে হাত দিয়ে ভিজে ভিজে এগিয়ে যেতে লাগলো আয়ুস আর বডিগার্ড দের কাছেও কিছু করার ছিল না ওদেরও লিটল বসের হুকুম মানারই ছিল।


খুবই জোরে বৃষ্টি পড়ছে কিন্তু আয়ুস এসবের পরোয়া না করে পকেটে হাত দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এত বৃষ্টি হচ্ছে, এত জোরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে তার ওপর এই অন্ধকার গভীর জঙ্গল কিন্তু ভয়ের বিন্দুমাত্র নাম নেই ওর মুখে।

এদিকে ওর সিলভার চুল যেটা ও বেঁধে রেখেছিল ভিজে গেছে আর এত জোরে বৃষ্টি পড়ছে যে ওর চুলের বাধন ও ফুলে গেছে আর ওর লম্বা সিলভার চুল ওর ঘাড়েতে ছড়িয়ে পরল। ওকে আরও আকর্ষণীয় লাগছে আর ওর গাল ঠোঁট সব লাল হয়ে গেছে বৃষ্টির ঠাণ্ডা আবেশে।

ওকে এখন ভীষণ আকর্ষণীয় লাগছে যে কোন মেয়ের হৃদয় চুরি করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ওর সামনে কোনো সুন্দর মেয়ে কিংবা ছেলে আসলে ও নিজেই খুন করে ফেলবে কারণ ও নিজের থেকে সুন্দরদের একদম অপছন্দ করে।

_________*

অন্যদিকে এত জোরে বৃষ্টি হচ্ছে যে একটা ভাঙা ঘরের নিচে দাঁড়িয়ে পড়েছে লীলা। ২০-১৫ মিনিট পর বৃষ্টি থামল কিন্তু এখনো হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছে। আর ও যে ভাঙ্গা ঘরেতে দাঁড়িয়েছিল ওর সামনেই বিরাট বড় একটা চাপা ফুল গাছ ছিল যার সুগন্ধ হয়েছে চারিদিকটা সুগন্ধী তো হয়েছিল কিছু চাঁপা ফুল এসে ওর মাথায় ও পড়েছে ওর ওর সুন্দর ঘন লম্বা কালো চুলে কিছু ফুল আটকে গেছে এতে ওর সৌন্দর্য বেড়ে গেছে। ওকে এখন পরীর থেকে কম কিছু লাগছে না।

ওর স্কুটির কাছে গেলো আর স্কুটি স্টার্ট করে আবারো রওনা দিল কিন্তু কিছুটা দূরে যেতে ও কিছু দেখতে পেল। আজ কোটি থামিয়ে দিল। কেউ একজন আসছে।

আস্তে আস্তে ভালোভাবে ক্লিয়ার হতে লাগলো যে আসছে তার পরনে ছিল হোয়াইট শার্ট হোয়াইট কোট আর হোয়াইট প্যান্ট। আর ওর চুলের কালার সিলভার ছিল যেটা ওর কাঁদে ছড়িয়ে আছে ও পুরো ভিজে গেছে ওর গাল হালকা লাল হয়েছিল ওর ঠোঁটো লাল হয়েছিল। আর ওর নীল চোখ যেটা সবথেকে আকর্ষণীয় ছিল।

লীলা ওকে দেখে চিনতে পেরে গেল আরোহী আন্টির লিটেল বয় আয়ুস।

লীলা খুশি হয়ে গেল আর আয়ুস কে হাত দেখিয়ে বললো "হাই হ্যালো শুনছো"

এই বলে লীলা দৌড়ে দৌড়ে ওর সামনে এলো আর আয়ুস বোরিং ফেস বানিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল। যেটা দেখে লীলা মনের মধ্যে বলল"এতো ফটো ছাড়াও ভীষণ হ্যান্ডসাম তবে মুখের এক্সপ্রেশন চেঞ্জ হয়নি পাগল একটা তারপর কাটা আছে মনে হয় মাতাল আর এই পাগলটাকে বিয়ে করার কথা বলছে মা হুট দরকার নেই বাবা আমি কোন পাগলকে দেখতে পারবো না"

মনের মধ্যে এটা বললেও লীলা মুখে একটা মিষ্টি হাসি রাখল আর বলল"এই যে তুমি আয়ু তো আরোহী আন্টির লিটল বয়"

কথাটা খুবই আস্তে বললেও আয়ুস শুনে ফেলেছে। কথাটা শুনে আয়ুস এর ভুল জুড়ে গেলো । আরো গম্ভীর ভাবে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটার দিকে তাকালো যে স্বর্গের পরীক থেকে কম কিছু লাগছে না পরনে ছিল ব্ল্যাক শালোয়ার সুড মাথায় অনেক সাদা চাপা ফুল পড়েছিল আর চুলগুলি খোলা এখনো ভিজেছিল ওর চুলকুনি যেটা ওর শরীরের সাথে লেপ্টে আছে।

আর ঘন লম্বা চোখের পাপড়ি যেগুলি ওর চোখে ভীষণ সুন্দর করছে আর ঠোঁট একদম গোলাপের পাপড়ির মতন গোলাপি হয়েছিল। যেটা লিপ লস লাগানোর জন্য।

একপক্ষকে তো আটকেই পড়লো আয়ুস এর চোখ এই মেয়েটার ওপর। কিন্তু লীলা আয়ুস কে আয়ুস এর হুসে ফিরিয়ে বলল"এক্সকিউজ মি মিস্টার আয়ু আমি কিছু বলছি শুনতে পাচ্ছ না বৃষ্টি চলে আসবে ফের তাড়াতাড়ি চলো তোমাকে বাড়ির ড্রপ করে দিয়ে আমাকে কোথাও যেতে হবে।"

কথাটা শুনে আয়ুস ওর আকর্ষণীয় কন্ঠে বলল"আয়ু নামে আমাকে শুধু আমার মা ডাকতে পারে। আর কেউ না"

এই বলে আয়ুস সামনে এগিয়ে গেল যেটা দেখে লীলা মাথা হিলিয়ে দিল কারণ আয়ুস এর কথার মাথা মুন্ডু ওর মাথায় ঢোকেনি।



(তো কি হতে চলেছে এরপর?জানবার জন্য পরের পর্ব পড়তে হবে)