The Toxic Love of a Toxic Lover - 2 in Bengali Short Stories by Queen Of Hell Sania books and stories PDF | বিষাক্ত প্রেমিকের বিষাক্ত প্রেম - 2

Featured Books
  • જીવન પથ - ભાગ 33

    જીવન પથ-રાકેશ ઠક્કરભાગ-૩૩        ‘જીતવાથી તમે સારી વ્યક્તિ ન...

  • MH 370 - 19

    19. કો પાયલોટની કાયમી ઉડાનહવે રાત પડી ચૂકી હતી. તેઓ ચાંદની ર...

  • સ્નેહ સંબંધ - 6

    આગળ ના ભાગ માં આપણે જોયુ કે...સાગર અને  વિરેન બંન્ને શ્રેયા,...

  • હું અને મારા અહસાસ - 129

    ઝાકળ મેં જીવનના વૃક્ષને આશાના ઝાકળથી શણગાર્યું છે. મેં મારા...

  • મારી કવિતા ની સફર - 3

    મારી કવિતા ની સફર 1. અમદાવાદ પ્લેન દુર્ઘટનામાં મૃત આત્માઓ મા...

Categories
Share

বিষাক্ত প্রেমিকের বিষাক্ত প্রেম - 2

একটা বছর উনিশের মেয়ে যে এক হাতে ছাতা আর অন্য হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে মল থেকে বার হলো।

মেয়েটা একবার আকাশের দিকে তাকালো আর নিজের মনে মনে বলল"আই থিংক আজ আর বৃষ্টি থামবে না বাট আমি কার নিয়ে এসেছি"

এই বলে মেয়েটা স্মাইল করল আর পার্কিংয়ে গিয়ে নিজের গাড়ির কাছে গেলো আর গাড়ি নিয়ে রওনা দিলো বাড়ির জন্য।

এদিকে বৃষ্টি এত জোরে হচ্ছে যে গাড়ি চালানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে ।এবারে মেয়েটা রাগের সাথে গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে বলল"বিরক্তিকর একটু আসতে তো বৃষ্টিটা হোক। আমি যখন বাড়ি পৌঁছে যাবো তখন যত খুশি জোরে বৃষ্টি হোগ ।তখন আমি কিছু বলবো না ।বাট এখন আমি গাড়িতে আছি বাড়িতে পৌঁছাচ্ছে নি ততক্ষণ তো আসতে হতে পারিস বৃষ্টি"

মেয়েটা রাগের সাথে কথা গুলি নিজেকেই নিজে বলল।

এটা আর কেউ না "মাহি" ছিল আমাদের গল্পের নায়িকা।

কিছুক্ষণ পর যেনো বৃষ্টি আরো বেড়ে গেলো আর আকাশ ফেটে বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো।

এবারে মাহির ও বেশ ভয় করছে কারণ এত জোরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে যে কারোর ভয় করবে।

বেশ কিছুটা রাস্তায় গিয়ে মাহির গাড়ি আপনি বন্ধ হয়ে গেলো ।আর মাহি বিরক্তির সাথে গাড়ির দিকে তাকালো আর বলল,
"এসব কান্ড আমার সাথে কেনো হয় আমি কি খারাপ কাজ করেছি আমার বেকার লাইফ আর এইখানে সামনেই ভূত বাংলো ছাড়া তো আর কিছুই নেই এই এক জ্বালা"

এই বলে মাহি রাগের সাথে গাড়িটা ওখানে রেখে ছাতা হাতে নিয়ে বার হয়ে গেলো। সামনেই একটা বাংলো ছিলো। বাংলো টা অনেক পুরাতন ছিলো এতে কেউ থাকে না মাহি অফিস থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় এখান থেকে যায়।

তবে মাহি ভুত-প্রেত বিশ্বাস করে যার জন্য ওর এখন ভীষণ ভয় করছে। ওর খালি মনে হচ্ছে কোনো ভূত এসে ওর যদি ঘাড় মটকে দেয় তখন কি হবে।

মাহি এসব ভাবতে ভাবতে ভয়ের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আবারো খুবই জোরে বিদ্যুৎ চমকালো আর মাহি ভয়েতে দৌড় মারলো আর ওই বাংলোটাই ঢুকে পড়ল।

এই বাংলাটার সামনে বিরাট বড় আম গাছ ছিলো। মাহি পাশের বাড়ি বাচ্চাদের সাথে অনেকবারই এই জায়গাটায় এসেছে আম পারার জন্য। তবে যতবার এসেছে ততবারই ওর ভয় লেগেছে। কিন্তু মজাও যে ভীষণ হয়েছে। তবে এই বাড়ির মালিক এখানে থাকে না। মাহি আজ অব্দি কখনো এই বাংলোর ভেতরে ঢোকেনি।

আজ যেনো কিরকম একটা অদ্ভুত অদ্ভুত লাগছে বাংলাটাকে ভেতরেও যেনো মনে হচ্ছে লাইট জ্বলছে যেনো কেউ আছে।

মাহি একবার বাংলোটার বড় দরজায় হাত রাখল সাথে সাথেই হাত সরিয়ে নিলো আর ভয়ে ভয়ে নিজের মনে মনে বলল"মাহি ভয় পাস না কেউ নেই এখানে। আর ভুতেরা থাকলেও কিছু করতে পারবে না তোর কাছে তাবিজ আছে"

এই বলে মাহি ভয়ের সাথে দরজাটাকে আলতো করে ধাক্কা মারলো সাথে সাথে দরজা খুলে গেলো।

দরজা খুলতেই মাহির চোখ কপালে উঠে গেলো কারণ বাংলাটা বাইরে থেকে যতটা ভয়ঙ্কর দেখতে ছিলো ভেতর থেকে তার অপজিট।

বাংলাটা খুবই সুন্দর ছিল ভেতর থেকে। যেনো কোনো রাজা মহারাজাদের। সব জিনিসপত্র অ্যান্টিক আর বিলাস বহন ছিলো।

দেওয়ালে তে নামিদামি পেইন্টিং লাগানো ছিলো আর সব ফার্নিচার গুলিও খুবই অ্যান্টিক আর দামি লাগছিল।

মাহি সব জিনিসকে টাচ করতে লাগল আর মনের মধ্যে বলতে লাগলো"ও গড এখানে কি কেউ থাকে? এত সুন্দর হয়ে আছে এই বাংলাটা। বেশ ভালই হলো এখানে চলে এলাম ।আর মনে হয় দরজার তালা খারাপ হয়ে গেছে যার জন্য দরজা খুলে গেছে। আজ এত বছর এখানে আম চুরি করতে আসতাম বাচ্চাদের সাথে। কখনো জানতেই পারেনি। বাংলোটা এতটা সুন্দর হবে"

এই বলে মাহি আরো ভেতরে চলে গেলো ওর সামনে একটা বড় সিডি ছিলো খুবই বিলাসবহন মাহি ওই সিডি দিয়ে উপরে চলে গেলো।

আর আশেপাশের সব দেখতে লাগলো। কিন্তু পরক্ষণে ই কেউ ওর কাঁধে হাত রাখল আর মাহি ভয়ে পেঁপে উঠল।

পিছনে ঘুরে তাকাতেই মাহি আরো ভয় পেয়ে গেল কারণ ওর সামনে একটা খুবই হ্যান্ডসাম পুরুষ দাঁড়িয়ে ছিলো। মাহির চোখ যেনো কিছুক্ষণের জন্য থেমে গেলো ওই পুরুষটার হ্যান্ডসামনাসে

(তো কি হতে চলেছে এরপর?জানবার জন্য পরের পর্ব পড়তে হবে)

(তো তোমাদের গল্পটা কেমন লাগছে? জানাতে ভুলবেনা) 🥰