The Author Joy Bandyopadhyay Follow Current Read বউল বাতাস - 3 By Joy Bandyopadhyay Bengali Poems Share Facebook Twitter Whatsapp Featured Books Chasing butterflies …….4 Chasing butterflies ……. (A spicy hot romantic and suspense t... One Letter a Day One Letter a DayArthur Penhaligon, at seventy-eight, lived... Conflict of Emotions - 14 Conflict of Emotions (The emotional conflict of a girl towar... Wings of Tomorrow - 12 Chapter 12:- School day 1Part 1The morning sun streamed brig... THE BOY WHO LOVED IN SILENCE - 7 The First Look, The First StepShe stood near her classroom,... Categories Short Stories Spiritual Stories Fiction Stories Motivational Stories Classic Stories Children Stories Comedy stories Magazine Poems Travel stories Women Focused Drama Love Stories Detective stories Moral Stories Adventure Stories Human Science Philosophy Health Biography Cooking Recipe Letter Horror Stories Film Reviews Mythological Stories Book Reviews Thriller Science-Fiction Business Sports Animals Astrology Science Anything Crime Stories Novel by Joy Bandyopadhyay in Bengali Poems Total Episodes : 6 Share বউল বাতাস - 3 3.3k 6.9k কাঠএকদিন ছিলাম নামগোত্রহীন তোমার মনেসবুজের আভা ছিল, ছিল ঈষৎ বল্কল, একটুকরোজীবনের অনুভূতি। পূর্বরাগের বোধহয় পূর্বাভাসপ্রাণের প্রতিশ্রুতি অবছন্ন ছিল অনন্কুরিতবীজের গর্ভে। আর দিকে ছিল রক্ত জমাট,বিষাক্ত আস্বাদন, প্রেমের প্রথম বহিঃপ্রকাশ।শিরা থেকে ধমনীতে চোরাস্রোতে বহমানআদিম রিপু। অনাথ শিশুর শিরঃচ্ছেদেরআয়োজনে প্রেমিকার স্তনে মাতৃদুগ্ধপান।নিস্তব্ধ মধ্যরাতে শুকতারার পাশে কোনোঅজানা নক্ষত্রপাত। বলিষ্ঠ এক নটিনিররুদ্ধশ্বাস কুশলতায় হাজার হাতের করতালিশুনে পল্লবিত তরুশাখায় তরতাজা উন্মাদনা-শুধু চোরাবালিতে নিমজ্জিত হবার আগে,ভ্রষ্ট সমাজের জ্বলন্ত চিতায় আমারনামে রেখো একটুকরো কাঠ।।চিতার কাঠআমার জন্য দুটুকরো কাঠ রেখো শমীনিজেকে শুদ্ধ করি কাঁচা আগুনে জ্বলেনিষ্কলুষ বীর্য যেটুকু সুপ্ত শরীরের গোপন রক্তেতার সবটুকু যেন অঙ্কুরিত হয় নিষ্কর্ষিত জমিতেকঠিন শীতের ছোঁয়া আর উষ্ণ বাতাস পেয়েছি সারা জীবনপায়ের নীচে পাই নি শুধু ভিজে মাটির ছোঁয়াদুহাত ছড়িয়ে নিয়েছি আঘ্রাণ আগুনরঙা ফুলেরধমনী জুড়ে নিমজ্জিত ছিল প্রাণের স্পন্দন।স্বল্পায়ু এই জীবনপথে সবটাই ছিল তোমাকে আগলে রাখাহয়তো তোমার অনুভূতি স্পর্শ করেনিভরসাহীন গহীন রাতে ধরেছি তোমার হাত আজ আমাকে মৃত্যু দাও প্রিয়াকিছুই চাইনি আমি, তোমার সোনালি ভোর তোমারই থাকআমার চিতাতে শুধু দুটুকরো কাঠ দিয়োঘৃতশুদ্ধ শরীরে চন্দনের প্রলেপ নাই বা হলোবৃষ্টিভেজা সোঁদা মাটির গন্ধে ভরুক উত্তরীয়রক্তস্নাত বীভীষিকায় শুরু হোক শ্মশান পূজোবলি চড়ুক সকল রিপু নির্মমতা সাঙ্গ হোকমাদলের তালে চলকে উঠুক মজ্জাগত অভিযোগঅস্তাগত সূর্য মিশে যাক ছায়াপথে আসুক দারুণ দুর্যোগ রিক্ত বাসনা, সুপ্ত কামনা থেঁতলে যাক উন্মাদ ঘোড়ার ক্ষুরেচোখের জলে ভিজুক কাঠ, জ্বলুক চিতা আমার হাড়েনিভেই যখন গেলাম প্রিয়া, নিভতে এবার দাও মোরেশ্মশান জুড়ে লাগুক আগুন, জ্বলুক চিতা আমার হাড়ে।।ভো কাট্টাভো কাট্টা পেটকাটিটালাট খেতে খেতে দিগন্ত ছুঁতে চায়-আমি চাই না ভাটার টানে ভাসতেচাই না এক বোঝা আবেগ বয়ে বেড়াতে। জমাট বাঁধা কান্না বুক থেকে গলে গলে পড়েঅমাবস্যার অন্ধকারে মোমের বাতির মতো-হিসেব কষে মহাজনী সুদ, চোখের কোণে আগুনপায়ের তলায় সরষে দিয়ে, উচ্ছসিত ফাগুন। প্রাসাদের নির্বাসিত ঘরে ঘরে প্রেতাত্মার কান্না-রাত ভোর হলে সর্বনাশের শেষ। ঝুরি ভরা বটের পাতায় চাপ চাপ স্মৃতিমুখের বলি রেখায় হিমেল স্রোত-বানের জলে ভেসে যায় লখীন্দরের লাশ-বেহুলার কপাল পুড়ে দারুণ সর্বনাশ। জীবনে হাতরানো কিছু রঙ তবু-কিছুতেই চাই না আমার প্রতিচ্ছবির মুখে।আপোশজীবনের সাথে আপোশ কোরো নাজীবনবিমুখী হয়ে যাবে-আপোশ কোরো না নিজের সাথে,নির্ভীক হয়ে বাঁচো- স্ফুর্তির সাথে বাঁচো। অনেক ভয় চারিদিকে, মাকড়সার জাল পাতা,অক্টোপাসের মতো হামাগুড়ি দিয়ে আসে,অজগরের মতো বেঁধে ফেলতে চায় আষ্টেপৃষ্টে,হায়নার মতো দল বেঁধে ছিঁড়ে খেতে চায় বুকটাকে-যে বুকে তোমার অদম্য সাহস;নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অটুট বিশ্বাস । জর্জরিত হতে পারো দুঃখ-রাগ-বিতৃষ্ণায়তার সাথে তবু হাত মিলিও না, আপোশ কোরো না তার সাথে।অবসাদ এক বিভ্রম, মুখোশ পরা শয়তান -তোমাকে বাঁচাতে পারো তুমিই-দুহাতে নিজেকে আঁকড়ে ধরো-রঙ-বেরঙের আপোশী ছদ্মবেশ ধারণ করার চেয়ে,উলঙ্গ থাকা বরং ভালো।রোজ একটু একটু করে মরতে যদি হয়,আপোশহীন জীবন একবার বাঁচো-মৃত্য দিয়ে সাজানো অমূলপ্রত্যক্ষ এই সমাজেক্যাকটাসের মতো সদর্পে বাঁচো।নষ্ট হতে দাওতোমায় ছেড়ে নষ্ট হবার পণ করেছিলুম, প্রিয়তমাতুমি আমারনষ্ট হবার সবটুকু সাধ আঁচল ঝেড়ে দিয়েছিলে।আত্মশ্লাঘা, উন্মাদনা, প্রতিহিংসার প্ররোচনা হাড়, মাংস, মজ্জায় ছড়িয়ে ছিল—শালুক ফুল বুকে নিয়ে লজ্জাহীন ঘুমিয়েছিএকাকী আমি রাতচরা পাখি।আত্মার আত্মীয় যারা হয়েছিল সুদুর পরিহাসীপ্রখর প্রেমে ছিল তরল পরিযাতনা—আধপোড়া সিগারেটে এখনো লেগে আছেতোমার পূর্ণস্বাদ যৌবনের মগ্নতা।এতদিনে বুঝতে পারি আমায় ঘিরে কি চাও তুমিসন্ধ্যার আলো আঁধারিতেমুখে বিচিত্র রঙ আমার —বিদুষকের চোখের জল নিয়ে,এবার নষ্ট হতে দাও আমায়।সবুজ আবেগনিশিত খঞ্জরের সুতীব্র ছোবলসুপটু ঠোঁটের কোণে —বড় বিপজ্জনক খেলা শিশির ভেজা ঘাসে পা ডুবিয়েরোদ চুপিচুপি এসে দাঁড়ায়কৃষ্ণচূড়ার ডালে, ফাগুনের হাওয়া শিরশিরে প্রলোভন ছড়ায় মনেবুড়িয়ে যাওয়া নদীর ভাঙ্গা ঘাটেসবুজ রঙের আবেগ আর আকুলতানিয়ে, কেউ আর হাতছানি দিয়ে বলে নাএকটিবার এসে ভেজো এই অমলিন বৃষ্টিতে।অব্যবহৃত যৌবন যখন আত্মসমর্পিতবৈধব্যের ধূসরতায়—কার কাছে গচ্ছিত রেখে যাবোএই উপেক্ষিত জীবন !খোলা হাওয়ায় আটকে থাকা ঘুড়িশাপিত জিভ বের করে ভেংচি কাটে।বয়ঃসন্ধির স্বপ্ন লাট খায় অবচেতন ঘুমেকাঁচা হাতের প্রেমনিষ্ঠ চিঠিতে জমাট বাদামী ধুলোপেলব আঙুলের মাদকতায় জড়িয়ে যায় হাতসেলফোনের আলোয় দেখা মায়াবী মুখসব অভিব্যক্তি জট পাকিয়ে যায়,চূড়ান্ত সংঘাতের মধ্যরাতে—তবু ভালো থেকো অরক্ষিত হাতছানি,নিশিত খঞ্জরের সুতীব্র ছোবল আরসুপটু অস্থিতিশীল ঠোঁটের কামড় বাঁচিয়ে। ‹ Previous Chapterবউল বাতাস - 2 › Next Chapter বউল বাতাস - 4 Download Our App