Samay Ghurni - 4 in Bengali Science-Fiction by Srabanti Ghosh books and stories PDF | সময় ঘূর্ণি - 4

Featured Books
  • તલાશ 3 - ભાગ 51

    ડિસ્ક્લેમર: આ એક કાલ્પનિક વાર્તા છે. તથા તમામ પાત્રો અને તેમ...

  • ખોવાયેલ રાજકુમાર - 16

    તે રાત્રે હું સૂઈ શકી નહીં. ખરેખર, શરૂઆતમાં હું શાંત પણ રહી...

  • સેલ્ફ રિસ્પેક્ટ

    આત્મ-સમ્માનની વાર્તાએક સુવિશાળ નગરના એક ખૂણામાં એક ગરીબ ઝૂંપ...

  • કાપડનો પાઠ

    કાપડનો પાઠयत्नेन संनादति सर्वं सुसंनादति यत्नतः। सङ्गति सत्स...

  • કાગળ - ભાગ 4

    અંધકાર નાં ગર્ત માં વિલુપ્ત થતા પ્રકાશ વચ્ચે પ્રેમ પથ પર બે...

Categories
Share

সময় ঘূর্ণি - 4

সময় ঘূর্ণি ⌛✍️


|| ৪ ||
|| অন্তিম পর্ব ||

অনিলাভ আর অর্নিলা দেখে, এক যুবক—সাদা পাঞ্জাবি, ধূসর প্যান্ট পরা—হেঁটে আসছেন। ডানহাতে একটা ফাইল, বাঁহাতে একটা ঘড়ির খোলস। চোখে একরাশ স্বপ্ন, আর একটা চিঠি। যেটা তার প্রেমিকার কাছে লেখা, যাকে সে ভুলে গিয়েছিল… সময়ের ভুলে।

--“দাদু তখন জানতেন না… যে ঘড়িটা কাজ করবে না। কিন্তু আমি জানি, কেন সেটা একবার মাত্র কাজ করেছিল। কারণ, তুমি তখন ছিলে সেই ভবিষ্যতের হৃদয়… যার সাথে এটা সংযুক্ত ছিল।” অর্নিলা হাসে।

হঠাৎ ১৯৮৬-র রাস্তায় একটা শব্দ, একটা বেগুনি রঙের ছায়া ফুটে ওঠে।

--“ওরা এসে গেছে! এটাই ওদের প্রথম ‘রিভার্স ইনফিল্ট্রেশন’। ওরা অতীতেও এখন ঢুকতে পারছে।” ভয়ে অর্ণিলা চিৎকার করে ওঠে।

তারা দৌড়ে পালায়। এবার গন্তব্যে ফিরে আসা ২০২৫ সালে।

কিন্তু ঠিক ফিরে আসার আগে…
একটা স্পার্ক, একটা সিদ্ধান্ত…

অর্ণিলা ঘুরে দাঁড়িয়ে যায়, “আমার দাদুকে আমি মরতে দিতে পারি না।”

অনিলাভ চেঁচিয়ে ওঠে, “তুমি পালাও ! নাহলে টাইমলুপ ভেঙে যাবে!”

--“ভালোবাসা যদি একটা ক্র্যাক হয় টাইমচক্রে… তবে আমি সেই ফাটল দিয়েই ঢুকব।” অর্নিলা পিছনদিকে দৌড়ে যায়।

… এবং অর্ণিলা হারিয়ে যায় ১৯৮৬-তে। অনিলাভ, একা ফিরে আসে।

২০২৫ এ শোভাবাজারের সেই পুরনো বাড়ির ঘরটার ভিতরে মরচে ধরা টাইমমেশিনের দরজা খুলে যায়।

টাইম মেশিন থেকে বেরিয়ে এসে অনিলাভ কাঁপা হাতে নিজের মুখ ছুঁয়ে দেখে। সব ঠিক আছে… কিন্তু সব বদলে গেছে।

অর্ণিলা নেই। কেউ তাকে চেনে না। ডকুমেন্টে তার নাম মুছে গেছে।

তবে কি সে কোনওদিন ছিল না?

অনিলাভ ফিরে যায় কফি হাউসের সেই টেবিলে। তুলে নেয় একটা কাগজ। তার নিজের হাতের লেখা… কিন্তু তার লেখা নয়।
"Time changes. Love imprints."

📜✍️

অনিলাভ একা বের হয় “Time Nexus” খুঁজতে। যেখানে বাস্তব, স্বপ্ন আর হারানো হৃদয় একসাথে দাঁড়ায়। ভবিষ্যতে সে আবার পাবে অর্ণিলাকে…
নাকি টাইম নিজেই করবে বিদ্রূপ?

তবুও সে হাঁটে…
যেন একটা অন্ধকার গুহায় ঢুকে পড়েছে, যার দেয়ালে শুধু ফিসফাস শব্দ।

Time Nexus এমন একটা জায়গা, যেখানে সব টাইমলাইন এসে মেলে। যেখানে প্রতিটি পথের শেষে শুধু একটাই প্রশ্ন, তুমি কি ভুলে যাবে, নাকি ফিরে পাবে?

অনিলাভ জানে, অর্ণিলা নেই, তবু সে বেঁচে আছে তার মধ্যেই। আর যেহেতু টাইম একটা লুপ, তাহলে ভালোবাসা হতে পারে তার মধ্যকার "লুপহোল"।

📜✍️

কিন্তু ChronoCorp তাকে পাকড়াও করে ফেলে। টাইম গ্যাজেট কেড়ে নেওয়া হয়।

ওর চোখের সামনে এক ফাঁকা পর্দায় অর্ণিলার মুখ দেখা যায়। একটা স্ট্যাটিক টাইম জোনে আটকে আছে সে।

--“তুমি একা পেরোতে পারবে না, অনিলাভ।” বলে তাদের একজন, “তুমি যাকে খুঁজছো, তাকেও লাগবে। কারণ Time responds to resonance.”

ওহ, তাহলে ওদের বিজ্ঞানও জানে, দুজন মানুষের মিলনেই সময় সক্রিয় হয়?


⌛ ✍️ 


অনিলাভকে পৌঁছে দেওয়া হয় সেই ঘরে, ১৯৮৬-র এক ছায়াসন্ধ্যায়।

অনিলাভ দেখে, অর্ণিলা এখনও বেঁচে, কিন্তু শুধুমাত্র সেই দিনটিতে, যেখানে সে আটকে আছে।

তারা একে অপরকে দেখে। দুজনের কপালে ঘাম। অতীত পুড়ছে, ভবিষ্যৎ কাঁপছে।

অনিলাভ বের করে সেই কাঠের ঘড়ি। যেটা একদিন ওদের হৃদয়কে টাইম-চক্রের সঙ্গে বাঁধতে শিখিয়েছিল। এবার তা দুজনের কব্জিতে একসঙ্গে বাঁধা হয়।

--“এটাই তো আমাদের সত্যি, তাই না?” অনিলাভ হাসে।

--“ভবিষ্যৎ, যেখানে তুমি আমি একসাথে ঘুমাই। আর একটা ছেলে বলে, সে আমাদের খুঁজে পাবে।” অর্নিলা ওকে আলিঙ্গন করে।

একটা ছোট যন্ত্র ওদের হাতে, যেটা হয়ত একমাত্র কাজ করে একটা শেষ মুহূর্তের আবেগে।তারা জানে, একবার ভুল করলে দুজনেই ছিঁড়ে যাবে টাইমস্ট্রিমে।

তবু…
অর্ণিলা চোখে চোখ রাখে, “তুমি ফিরে আসবে তো?”

--“না… আমরা এবার একসাথে যাব।”

তারা চোখ বন্ধ করে, একে অপরকে চুম্বন করে।

সেই চুম্বনে—
ভালোবাসা, স্মৃতি, প্রতিজ্ঞা, ভবিষ্যৎ— সব একসঙ্গে ফেটে পড়ে। টাইম গ্যাজেট অগ্নিময় হয়ে ওঠে।

আলো ছড়ায়… ক্যালেন্ডারগুলো জ্বলে যায়… বাক্সঘড়ির কাঁটা থেমে যায়… তারা হারিয়ে যায়—

কিন্তু ChronoCorp এর টাইম জোন পাল্টে যায় এতে। এক‌ই সঙ্গে সেটাও যেহেতু এ্যাক্টিভ ছিল, অথচ উল্টোদিকে, ChronoCorp এর সকলের যাত্রা শুরু হয় অতীতের দিকে। যেখানে থেকে আর কেউ ফিরে আসার কোনো লুপহোল নেই।

📜✍️

২০৩০, আবার কলকাতা।

নতুন সকাল। কলকাতা ধীরে ধীরে জেগে উঠছে।
কিন্তু টাইম জোন একটু নড়েচড়ে গেছে, গলির মোড়ে টাঙানো ঘড়িগুলো এক সেকেন্ড পিছিয়ে আছে।

একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে, অনিলাভ আর অর্ণিলা আবার বসে আছে একটা ডাইনিং টেবিলে।

দু’জনে চুপচাপ। আর সামনে দাঁড়িয়ে একটা বাচ্চা ছেলে, ওদের ছেলে অনিরুদ্ধ। হাতে স্কুল ব্যাগ ।

--“আমি স্কুলে যাব?” অনিরুদ্ধর মুখে হাসি।

--“কিন্তু দেরি হচ্ছে অনিরুদ্ধ !” অনিলাভ তার হাত ধরে।

ছেলেটা ফিরে তাকায়। চোখে ঠিক অর্ণিলার দীপ্তি। গলার স্বরে অনিলাভের ধৈর্য, “আমি বড় হয়ে এমন একটা ঘড়ি বানাবো… যেটা পরে আমি তোমাদের ছোটবেলায় যাব। দেখব তোমরা কিভাবে স্কুলে যেতে।”

অর্ণিলা হেসে ওঠে। অনিলাভ নিঃশব্দে কাঁপে।

আর ব্যালকনির কোণে রাখা পুরনো কাঠের ঘড়িটা টিক…টিক… করে বেজে ওঠে। যেন সময় নিজে আবার শুরু করল হাঁটা।

❤️সমাপ্ত

সময় ছায়া — এক চুম্বনে গলে যাওয়া টাইমলুপের গল্প।
ভালোবাসা যখন সময়কে হার মানায়।
💙⌛✍️

কেমন লাগল চতুর্থ তথা অন্তিম পর্বটা? 
রেটিং রিভিউ দিয়ে জানাতে ভুলবেন না।