Quotes by Yogi Krishnadev Nath in Bitesapp read free

Yogi Krishnadev Nath

Yogi Krishnadev Nath

@krishnadebnath709104
(3.8k)

আজ থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম মহামন্ত্রের সার্ধশত বর্ষ উদযাপন। এই দুটি শব্দ শুধু গান নয়, শুধু সাহিত্য নয়, এটি ভারতের আত্মার শাশ্বত আহ্বান। একটা জাতির মহাজাগরণের গভীরে যে আগুন প্রথম জ্বলে উঠেছিল — সেই আগুনের নাম ছিল বন্দে মাতরম।

যখন দেশ স্বাধীন ছিল না, যখন আশা ছিল না, যখন মানুষের বুকের মধ্যে কেবল ক্ষোভ আর অন্ধকার, তখন এই দুটি শব্দ কোটি কোটি ভারতবাসীর কণ্ঠে পরিণত হয়েছিল মুক্তি যুদ্ধের ধ্বনি হিসেবে। এই গান ছিল সাহস, আত্মমর্যাদা, আর বীরত্ব নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর এক অদম্য শক্তির নাম।

বন্দে মাতরম — মা মাটির প্রতি এক অনড় অর্পণ। মাটি মানে শুধু ভূমি নয়, মাটি মানে স্মৃতি, ইতিহাস, সভ্যতা, শিকড়, অস্তিত্ব, স্বর। যে গান গত দেড় শতাব্দী ধরে ভারতকে বাঁচিয়ে রেখেছে — আজ সেই গানের ১৫০ তম জন্মদিন। এই গান আমাদের নতুন প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেয়: স্বাধীনতা কখনো তৈরি জিনিস ছিল না — এটা অর্জিত জিনিস। এটা বিলাস নয় — এটা কর্তব্য।

আজকের দিনে আমরা যখন বিভক্ত, ক্লান্ত, দিশাহারা; তখন আবারও এই মহামন্ত্র আমাদের মনে করিয়ে দেয়— আমরা এক অদ্বৈত চেতনার সন্তান। আমরা সেই মাটির মানুষ, যে মাটি একদিন পৃথিবীর মানচিত্র পাল্টে দিয়েছিল। বন্দে মাতরম শুধু অতীত নয়, আগামীকেও তৈরি করার শপথ।

আজ এই সার্ধশত বর্ষ উদযাপনের লগ্নে আমরা প্রণাম জানাই বঙ্কিমচন্দ্রকে — যিনি এই মন্ত্রের মধ্য দিয়ে ভারতকে চিরজাগরণের শপথ দিয়েছিলেন। আজ আমরা সবাই অন্তর থেকে একবার অন্তত বলি— বন্দে মাতরম। 🙏🌼🙏

Read More

মানুষের রাজত্ব আর কতদিন ?

এক সময় পৃথিবী ছিল ডাইনোসরদের। কোটি কোটি বছর তারাই ছিল এই গ্রহের একচ্ছত্র অধিপতি, রাজা। আমরা আজকের মানুষ — আমাদের অস্তিত্ব তো সেই হিসেবের তুলনায় এক মুহূর্ত মাত্র। তবুও আমরা এতটা আত্মবিশ্বাসী, এতটা অহংকারী — যেন পৃথিবীটা চিরকাল থেকে আমাদেরই ছিল এবং আমাদেরই থাকবে !

কিন্তু প্রকৃতি তো কখনোই কারো নামে স্থায়ী মালিকানা স্বত্ব লিখে দেয় না। ভেবে দেখো না, এক সময় এই পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তেই রাজাদের শাসন ছিল। আজকে এঁরা কোথায় ? পরিবর্তনই তো এই সংসারের চিরন্তন সত্য।

এই মানুষ পৃথিবীকে যতটা উন্নত করেছে, ঠিক ততটাই ক্ষতিও করেছে, বরং কিছুটা বেশিই। প্রযুক্তি, যুদ্ধ, অতিরিক্ত ভোগ বিলাস, পরিবেশ ধ্বংস, মাটিকে পুড়িয়ে ফেলার মতো অর্থনৈতিক লোভ....! শুধু কি তাই ? নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার মূলে রয়েছে যে খাদ্য, এরা সেই খাদ্যের জেনেটিক কোড পর্যন্ত বদলে দিয়েছে। প্রাকৃতিক শস্যের বীজকে ল্যাবরেটরির মধ্যে জেনেটিক মডিফিকেশন করে তৈরি করেছে হাইব্রিড — যাকে শরীরের ইমিউন সিস্টেম ঠিকমতো চিনতেই পারে না। এই সবকিছু মিলিয়ে মানুষের আত্মবিনাশ এখন শুধু “সম্ভাবনা” নয়, একটা কার্যকর চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে।

যদি ভবিষ্যতে একদিন মানুষ হারিয়ে যায়, তখন কী হবে?
এই পৃথিবী মোটেও থেমে থাকবে না। কারণ এই Self-evolving planet তার নতুন অধিপতি তৈরি করতে খুব বেশি সময় নেবে না।

সম্ভবত ভবিষ্যতের বুদ্ধিমান প্রাণী ডাঙায় জন্মাবে না — জন্মাবে সাগরের অভ্যন্তরে। সমুদ্রের প্রাণীরা এখনো মানুষের মতো বেমানানভাবে পৃথিবীকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে না। তাদের অভিযোজন ক্ষমতা land species এর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। extreme pressure, light-less zone, chemical imbalance — সবকিছু সহ্য করে বেঁচে থাকার মতো ক্ষমতা তাদের মধ্যে রয়েছে।

হয়তো পরবর্তী dominant species জলেই তৈরি হবে। হয়তো তাদের কাছে আমাদের সভ্যতা হবে ইতিহাসের এক অদ্ভুত ভুল। হয়তো তারা আমাদের নিয়ে গবেষণা করবে — যেমন আমরা আজ ডাইনোসরকে নিয়ে করি।

মানুষ ভাবতে ভালোবাসে সে চূড়ান্ত। কিন্তু প্রকৃত সত্যি হলো — আমরা এক ক্ষণস্থায়ী অধ্যায় মাত্র। প্রকৃতি কারো উপর চিরকাল রাজত্ব চাপিয়ে রাখে না।

যে অভিযোজিত হয় — প্রকৃতি তাকে এগিয়ে দেয়।
যে ধ্বংস করে — প্রকৃতি তাকে ইতিহাসে পরিণত করে।

মানুষের রাজত্বও একদিন শেষ হবে।
তারপর শুরু হবে নতুন অধ্যায়।
নতুন সভ্যতা।
নতুন ভাষা।
নতুন জগত।

সম্ভবত সাগরের নীচে — যেখানে আমাদের অহংকার পৌঁছাতে পারে না।

Read More

আজ ২১শে অক্টোবর প্রকৃত স্বাধীনতার দিন 🇮🇳

আজ ঐতিহাসিক ২১শে অক্টোবর। ১৯৪৩ সালের এই দিনেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে জন্ম নিয়েছিল আজাদ হিন্দ সরকার - ভারতের প্রথম স্বাধীন সরকার।

এই দিনটিই আসলে ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস। কারণ এই দিন থেকেই শুরু হয়েছিল সেই সংগ্রাম, যেখানে স্বাধীনতার দাম মাপা হয়েছিল রক্তে, চোখের জলে আর আত্মবলিদানে।

৩০ হাজারেরও বেশি সৈনিক আজাদ হিন্দ ফৌজের পতাকার নিচে প্রাণ দিয়েছিলেন মাতৃভূমির মুক্তির জন্য। তাদের কেউ যুদ্ধক্ষেত্রে ঝরে পড়েছিলেন, কেউ বিদেশের কারাগারে পচে মরেছিলেন - কিন্তু মাথা নত করেননি একবারও।

দুঃখের কথা হলো, এই আত্মত্যাগের ইতিহাস আজও অধিকাংশ ভারতবাসীর অজানা। চক্রান্ত করে, রাজনৈতিক সুবিধার জন্য, এই পবিত্র অধ্যায়কে ইতিহাসের পাতায় চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।

কিন্তু ইতিহাসকে চেপে রাখা যায় না, যেভাবে আগুনকে লুকিয়ে রাখা যায় না ঘাসের নিচে। একদিন না একদিন, সত্যের ধোঁয়া উঠবেই। আর তখন ভারতবর্ষ আবার উচ্চারণ করবে সেই অমর ধ্বনি --
“জয় হিন্দ!”
“নেতাজি জিন্দাবাদ!”

Read More

নিঃশব্দের পথ

জীবনের কিছু মুহূর্ত আসে,
যখন শব্দ থেমে যায় —
যখন ব্যাখ্যার আর কোনো মানে থাকে না,
আর তখন শুধু সত্যের নীরব পদচারণাই বাকি থাকে।

এই ছবিটিতে এক মানুষ হাঁটছে —
কুয়াশা আর আলোর ভেতর দিয়ে।
না তাড়াহুড়ো করছে, না ফিরে যাচ্ছে —
শুধু এগিয়ে চলেছে নিঃশব্দে।

তার পেছনের দুনিয়া কুয়াশায় মিশে যাচ্ছে,
আর সামনে কী আছে সে জানে না —
তবু সেই দিকেই তার যাত্রা,
কারণ সেখানে আছে বাস্তব, আছে সত্য।

এই হল সেই মানুষের পথ,
যে সত্যকে বেছে নিয়েছে।
এমন সত্য নয়, যা প্রশংসা পায়,
বরং সেই সত্য, যা প্রায়ই একা হাঁটে —
নিঃশব্দে, দৃঢ়ভাবে, কারও চোখে না পড়ে।

তার প্রতিটি পদক্ষেপ ভেদ করে কুয়াশা,
প্রতিটি নিঃশ্বাস যেন বলছে —
“কেউ না হাঁটলেও আমি হাঁটব,
কারণ আমার পদক্ষেপ আলোর পথে।”

তার চারপাশের নীরবতা কোনো শূন্যতা নয় —
ওটাই তার শক্তি,
ওটাই তার আত্মার গর্জন,
যার সাক্ষী লাগেনা।

একদিন যখন জনতার সব শব্দ মিলিয়ে যাবে সময়ের ভেতর,
এই নীরব পদচারণার প্রতিধ্বনি
সব চিৎকারের চেয়েও জোরে শোনা যাবে।

কারণ যারা নিঃশব্দের পথে হাঁটে,
তারা কখনও একা হাঁটে না —
তারা হাঁটে সত্যের সঙ্গে।

— যোগী কৃষ্ণদেব নাথ

Read More

কিছু লেখা প্রকাশের জন্য পৃথিবীর সব দরজা খোলা থাকে না...
তাই খুলেছি নিজের দরজা — নিজের সাইট।
এখন থেকে আমার সমস্ত ভাবনা, স্বাস্থ্য, আধ্যাত্মিকতা, ইতিহাস ও সাহিত্য—
সব কিছু থাকবে এখানেই। সুগার থেকে মুক্তির উপায় "মিষ্টি নামের তিক্ত রোগ" এবং "এখনও নেতাজীকে কেন এত ভয় ?" লেখাগুলোও এখানেই থাকবে।

ভিজিট করো: ykdonline.in

Read More

একটি শিরোনামহীন কবিতা....

তিনি পারতেন…
হাসিমুখে মঞ্চে বক্তৃতা দিতে,
রাজনীতির খেলায় ঘুঁটি সাজিয়ে রাখতে,
গান্ধীজীর ইশারায় চলে
প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি দখল করতে।

তাঁর হাতে ছিল সম্মান, প্রভাব,
ছিল নিজের জীবন গড়ে তোলার অবাধ সুযোগ।
কিন্তু তিনি বেছে নিলেন আগুনের পথ—
যেখানে নেই আলোকিত কোনো করিডোর,
যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপে লুকিয়ে থাকে মৃত্যু,
যেখানে প্রতিটি নিশ্বাসে
শুধুই দেশমাতৃকার আহ্বান।

তিনি জানতেন—
এই পথ মানে নিজের অস্তিত্ব বিসর্জন,
এই পথ মানে চিরকালের আড়াল।
তবু তিনি গেলেন।
কেউ তাঁকে ঠেলে দেয়নি,
তিনি নিজেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেই অন্ধকারে।

আজ আমরা সেই স্বাধীন দেশের মানুষ,
তাঁর ত্যাগের ফসল খেয়ে
নিজেদের ছোট্ট স্বার্থের জন্য
পদে পদে অপমান করছি তাঁকে।
ক্ষমতার লোভে ভুলে যাচ্ছি
যে মানুষ বেঁচে থেকেও মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিলেন
শুধুমাত্র আমাদের জন্য।

তাহলে প্রশ্ন জাগে—
নেতাজীর এত আত্মত্যাগ কি এই দেশের জন্য ?
যেখানে মাটির চেয়ে টাকা বড়,
যেখানে নীতির চেয়ে স্বার্থ বড়,
যেখানে ইতিহাসের নায়ককে
কেবল ফটো আর মূর্তির মধ্যে বন্দি করা হয় ?

নেতাজী যদি আজ ফিরে তাকান,
হয়তো তাঁর বুক ফেটে উঠবে কান্নায়।
হয়তো আবারও বলবেন—
“আমি দেশকে মুক্ত করেছিলাম
শুধু শাসকের হাত থেকেই নয়,
মানুষের ভেতরের দাসত্ব থেকেও।
কিন্তু তোমরা কি মুক্ত হয়েছ ?
তোমরা কি সত্যিই আমার আত্মত্যাগের যোগ্য" ?

"যদি তোমরা আমাকে সত্যিই ভালোবাসো,
তাহলে মূর্তিতে ফুল দিও না,
বক্তৃতায় করতালি দিও না।
আমার রক্তের ঋণ শোধ করো
দেশের প্রতি সত্যিকারের সততা দিয়ে"।

"স্বাধীনতা মানে শুধু পতাকা ওড়ানো নয়,
স্বাধীনতা মানে দুর্নীতি ভাঙ্গা,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো,
নিজেকে দেশের জন্য বিলিয়ে দেওয়া"।

"বল তো, আজ তোমরা কি প্রস্তুত ?
তোমরা কি আমার আত্মত্যাগের যোগ্য ?
তাহলে এগিয়ে আসো—
কারণ আমি নেই, তবুও আমি আছি,
তোমাদের বুকের ভেতর আগুন হয়ে,
তোমাদের রক্তের মধ্যে প্রতিজ্ঞা হয়ে"।

Read More

মহানবমীর সকাল

সপ্তমীর আলো ঝলমলে রাত পেরিয়ে,
অষ্টমীর উল্লাসও ফুরিয়ে গেলো ধীরে ধীরে।
আজ মহানবমী— উমা বিদায় নেবেন কাল।
মনে হয় আকাশও যেন জানে এই সত্যি,
তাই ভোররাত থেকেই বৃষ্টি হয়ে কাঁদছে অবিরাম।

শঙ্খ-ঘন্টায় ধ্বনিত আরতির শব্দ মিশে গেছে
জলভেজা বাতাসে।
ঢাকের আওয়াজও আজ যেন ভারী,
প্রতিটি তাল যেন বলে— “বিদায় আসছে, বিদায় আসছে।”

শিউলি ফুলে ভরা আঙিনা ভিজে গেছে বৃষ্টির জলে,
যেন তারাও জানে, এই আনন্দের উৎসবের
অন্তরালেও লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত বিষণ্নতা।

আমরা জানি, কাল উমা ফিরে যাবেন শ্বশুরবাড়ি,
আমাদের হৃদয় ফাঁকা করে রেখে।
তবুও আজকের নবমীর পূজা,
আজকের এই ভেজা-ভেজা সকাল—
শুধুই প্রার্থনা,
মা যেন আশীর্বাদ দিয়ে যান প্রতিটি ঘরে,
প্রতিটি মনে,
যাতে আগামী বছর আবার ফিরে আসার অপেক্ষা
আমাদের সহ্য হয়।

আজ বৃষ্টি মানেই শুধু প্রকৃতির কান্না নয়,
আজ বৃষ্টি মানে আমাদের হৃদয়ের অশ্রু,
যা মিশে যাচ্ছে উমার পদচিহ্নে—
বিদায়ের সুরে,
আবার তাঁর আগমনের প্রত্যাশায়।

Read More

খুব শীঘ্রই ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হতে চলেছে আমার প্রথম বই—
**“মিষ্টি নামের তিক্ত রোগ : ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায়”**।

ডায়াবেটিস আজ আমাদের সমাজের সবচেয়ে নীরব ঘাতকগুলোর একটি। এই বইয়ে আমি শুধু রোগের চিকিৎসা নয়, এর আসল কারণগুলোকে খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছি। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত অনুশীলন এবং জীবনযাপনের নানা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি— ডায়াবেটিস কোনো অনিবার্য রোগ নয়; সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চললে এর কবল থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এই বই পাঠকের জন্য হবে—
- ডায়াবেটিস সম্পর্কে গভীরতর উপলব্ধি।
- কর্টিসল, খাদ্যাভ্যাস, ফাস্টিং ও গাট হেলথের মতো বিষয়ের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ।
- বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য লাইফস্টাইল পরিকল্পনা, যা ডায়াবেটিসকে শুধু নিয়ন্ত্রণই নয়, মুক্তির পথে নিয়ে যেতে পারে।

আমার বিশ্বাস, এই বই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের নতুন আশা দেবে, আর যারা এখনো সুস্থ আছেন তাদের জন্য হবে এক মূল্যবান দিশারি— যাতে ভবিষ্যতে এই রোগের ফাঁদে না পড়তে হয়।

অপেক্ষা করুন, খুব তাড়াতাড়িই আপনাদের হাতে পৌঁছে যাবে “মিষ্টি নামের তিক্ত রোগ”।

Read More

🪷মহাষ্টমী🪷

আজ মহাষ্টমী।
ঢাকের আওয়াজে, শঙ্খের ধ্বনিতে, ধূপধুনোর গন্ধে ভরে উঠেছে চারপাশ।
এ যেন কেবল উৎসব নয়,
এ এক চিরন্তন আহ্বান—
শক্তির, ভক্তির, মায়ের অপরাজেয় রূপের।

সকালের অঞ্জলিতে হাতজোড় করে দাঁড়ায় ভিড়।
ফুলের পাঁপড়ির মতো বিশ্বাস ঝরে পড়ে মায়ের পদতলে।
সবার মুখে একটাই ডাক— “জয় মা দুর্গা" !

কত স্মৃতি জেগে ওঠে এই দিনে—
শৈশবের নতুন জামার গন্ধ, প্যান্ডেলের আলোয় ছুটে চলা,
অঞ্জলির পর খাওয়া খিচুড়ি প্রসাদের স্বাদ,
আর সিঁদুরে রাঙানো মায়ের ভেজা কপাল।
মহাষ্টমী মানেই পরিবারের মিলন, ভক্তির ঢেউ, ঐতিহ্যের উজ্জ্বলতা।

দেবী দশপ্রহরণধারিণী, হাতে হাতে অস্ত্র,
অশুভ শক্তিকে বিনাশ করার প্রতীক।
তিনি কেবল দেবী নন, তিনি সাহস, তিনি প্রেরণা।
তিনি শেখান—
অন্যায়ের সামনে মাথা নত করো না,
অন্ধকার যত গভীরই হোক, আলো জ্বলে উঠবেই।

মহাষ্টমী তাই কেবল দেবীর পূজা নয়—
এ আমাদের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলার দিন।
ভালোবাসা, ন্যায় আর সাহস—
এই তিনের মিলেই দেবীর প্রকৃত রূপ।
প্রতিটি ঢাকের আওয়াজ আজ মনে করিয়ে দেয়—
আমাদের ভেতরেই দেবীর শক্তি লুকিয়ে আছে।

Read More

# হাইব্রিডের জোয়ারে

হাইব্রিডের জোয়ারে ভেসে
হারায়নি শুধু দেশি বীজের ধান,
হারিয়ে গেছে বাঙালির সেই
জারি সারির মত আটপৌরে গান।

মাটির গন্ধ মাখা দোতারার সুর
চাপা পড়ে গেছে আজ ইস্পাতের গর্জনে,
মাঠে বসে বাঁশি বাজালেও রাখাল
শোনা যায় না তা মাইকের কম্পনে।

কৃষকের ঘামে ভিজে ওঠা ক্ষেত
হারিয়ে ফেলেছে বাতাসের কাব্য,
আজ ধানও সংখ্যা, গানও সংখ্যা
সবই এখন লেহ্য পেয় চোষ্য চব্য!

তবুও কোথাও গোপনে বেঁচে থাকে
আমার মায়ের সেই গানের ভাষা,
এ তো শুধুই গান নয় ভাই
গানের থেকেও আরও কিছু খাসা।

জানি না আর ফিরে পাব কিনা
আতপ চালের সেই মিষ্টি ঘ্রাণ,
যেখানে গানেই মিশে থাকে
আমার অস্তিত্ব, আমার প্রাণ।

Read More