The first letter of the monsoon in Bengali Love Stories by rokse akter books and stories PDF | বর্ষার প্রথম চিঠি

Featured Books
Categories
Share

বর্ষার প্রথম চিঠি

 গল্পের নাম "বর্ষার প্রথম চিঠি"

সেদিন ছিল জুনের এক ভিজে সকাল। আকাশে মেঘ জমে ছিল রাত থেকেই, আর রিমঝিম করে বৃষ্টি নামছে কলেজ রোডে। অনামিকা ছাতাটা হাতে নিয়ে বেরিয়েছিল ক্লাসে যাবার জন্য, কিন্তু জানত না সেদিন তার জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে।

পথের পাশে, পুরনো লাইব্রেরির সিঁড়িতে বসে ছিল একটি ছেলে—মলিন শার্ট, চোখে কাচ ফ্রেমের চশমা, হাতে একটা নোটবুক। অনামিকার চোখ তার চোখে আটকে গেল কিছু মুহূর্তের জন্য।

"ছাতা আছে তো? একটু দাঁড়ান, আমি এগিয়ে দিচ্ছি," ছেলেটি বলল।

নামটা ছিল অর্ণব।

সেই এক ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে, দু’জনের গল্প শুরু হয়। বই, গান, সিনেমা আর বৃষ্টির ভেজা দুপুরে তারা হারিয়ে যেতে থাকে। একদিন, দুইদিন… ছয়মাস পেরিয়ে যায়। কিন্তু কখনোই কেউ সরাসরি কিছু বলেনি।

একদিন বর্ষা নামে শহরে। আবার সেই বৃষ্টিভেজা রাস্তা, আর অনামিকার হাতে আসে এক চিঠি—অর্ণবের লেখা।

"তুমি ছাতার নিচে দাঁড়ালে, আমি জানতাম—আমার জীবনে তুমি একটুকরো রোদ হয়ে এসেছো। তুমি কি আমার এই বর্ষা হয়ে থাকতে পারো? আমি অপেক্ষা করব, সিঁড়িটার ঠিক ওই কোণায়..."

অনামিকা ছুটে যায় লাইব্রেরির দিকে, চোখে জল আর মুখে হাসি।

সিঁড়ির কোণায় দাঁড়িয়ে ছিল অর্ণব—হাতে ছাতা, আর পেছনে বর্ষার ছায়া।

অবশ্যই, নিচে "বর্ষার প্রথম চিঠি" গল্পটির পরবর্তী অংশ (চূড়ান্ত অধ্যায়) দিচ্ছি। এই অংশে আমরা জানব কীভাবে অনামিকা ও অর্ণবের গল্প গড়ে ওঠে…বর্ষার প্রথম চিঠি – শেষ অধ্যায়

সিঁড়ির কোণায় অর্ণবকে দেখে অনামিকা এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে পড়ে। চারপাশে কেবল বৃষ্টির শব্দ, কিন্তু তার বুকের ভেতর যেন ঝড় চলছে।

অর্ণব হাসে। বলল,— “তুমি এসেছো, তাই না? ভাবছিলাম, হয়তো আসবে না।”

অনামিকা একটু হেসে বলল,— “যদি না আসতাম, তাহলে কি আবার একটা চিঠি লিখতে?”

অর্ণব চুপ করে থাকে। তারপর ব্যাগ থেকে আরেকটা খাম বের করে বলল,— “এইটা লিখে রেখেছিলাম। যদি না আসো, তাহলে বর্ষার শেষে নদীতে ভাসিয়ে দিতাম।”

অনামিকা খামটা খুলে পড়ে—

“আমার জীবনের সব গল্পে, বৃষ্টির মত তুমি হঠাৎ এসে ধুয়ে দিলে সব কষ্ট। এখন আমার প্রতিটা ঋতুতে তোমাকেই চাই… শুধু তুমি থাকবে, এই একটাই স্বপ্ন।”

তার চোখ ভিজে যায়। সে ছাতার ভেতর

অবশ্যই, নিচে "বর্ষার প্রথম চিঠি" গল্পটির পরবর্তী অংশ (চূড়ান্ত অধ্যায়) দিচ্ছি। এই অংশে আমরা জানব কীভাবে অনামিকা ও অর্ণবের গল্প গড়ে ওঠে…বর্ষার প্রথম চিঠি – শেষ অধ্যায়

সিঁড়ির কোণায় অর্ণবকে দেখে অনামিকা এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে পড়ে। চারপাশে কেবল বৃষ্টির শব্দ, কিন্তু তার বুকের ভেতর যেন ঝড় চলছে।

অর্ণব হাসে। বলল,— “তুমি এসেছো, তাই না? ভাবছিলাম, হয়তো আসবে না।”

অনামিকা একটু হেসে বলল,— “যদি না আসতাম, তাহলে কি আবার একটা চিঠি লিখতে?”

অর্ণব চুপ করে থাকে। তারপর ব্যাগ থেকে আরেকটা খাম বের করে বলল,— “এইটা লিখে রেখেছিলাম। যদি না আসো, তাহলে বর্ষার শেষে নদীতে ভাসিয়ে দিতাম।”

অনামিকা খামটা খুলে পড়ে—

“আমার জীবনের সব গল্পে, বৃষ্টির মত তুমি হঠাৎ এসে ধুয়ে দিলে সব কষ্ট। এখন আমার প্রতিটা ঋতুতে তোমাকেই চাই… শুধু তুমি থাকবে, এই একটাই স্বপ্ন।”

তার চোখ ভিজে যায়। সে ছাতার ভেতর

অবশ্যই, নিচে একটি অল্প কিন্তু হৃদয়ছোঁয়া সমাপ্তি অংশ দিচ্ছি, যেন গল্পটি আরও মিষ্টি ও স্মরণীয় হয়ে ওঠে:বর্ষার প্রথম চিঠি – শেষ ঝরার আগে

সন্ধ্যা নামছিল ধীরে ধীরে। শহরের বাতিগুলো বৃষ্টির জলে ঝাপসা দেখাচ্ছিল। অর্ণব আর অনামিকা হাঁটছিল রাস্তার পাশে, ছাতার নিচে খুব নিঃশব্দে।

হঠাৎ অনামিকা থেমে গেল। চোখে কিছুটা ভেজা, কিন্তু মুখে এক চিলতে হাসি।

সে বলল,— “জানো অর্ণব, তোমার লেখা ওই চিঠিটা আমি বালিশের নিচে রাখি। যখন খুব একা লাগত, ওটা পড়ে ঘুমিয়ে পড়তাম।”

অর্ণব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,— “তোমার একা লাগত?”

অনামিকা একটু নিচু গলায় বলল,— “তুমি কথা না বললে, প্রতিটা দিন