Unique Love in Bengali Love Stories by Utopian Mirror books and stories PDF | ভালোবাসা এমনও হয়

Featured Books
  • स्वयंवधू - 31

    विनाशकारी जन्मदिन भाग 4दाहिने हाथ ज़ंजीर ने वो काली तरल महाश...

  • प्रेम और युद्ध - 5

    अध्याय 5: आर्या और अर्जुन की यात्रा में एक नए मोड़ की शुरुआत...

  • Krick और Nakchadi - 2

    " कहानी मे अब क्रिक और नकचडी की दोस्ती प्रेम मे बदल गई थी। क...

  • Devil I Hate You - 21

    जिसे सून मिहींर,,,,,,,,रूही को ऊपर से नीचे देखते हुए,,,,,अपन...

  • शोहरत का घमंड - 102

    अपनी मॉम की बाते सुन कर आर्यन को बहुत ही गुस्सा आता है और वो...

Categories
Share

ভালোবাসা এমনও হয়

গাড়ীর পেছনের সীটে মা বসেছে তবে একেবারে সীটের মাঝখানে। এটা মা প্রায়ই করে। বেশী গরম লাগলে সে এসি বরাবর বসে। তাতে নাকি এসির পুরো ঠান্ডাটা মার গায়ে লাগে, মার মাথা ঠান্ডা থাকে। এখন মা পেছন থেকে সামনের দুই সীট দুই হাত দিয়ে ধরে দু'সীটের মাঝখানে প্রায় ঝুলে আছে। পুতুনি একবার বলেছিল, ---মা সোজা হয়ে বসো, গাড়ী ব্রেক করলে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাবে।মা ধমকে তাকে চুপ করিয়ে দিয়েছে।অবশ্য ওরা দু'ভাইবোন চুপ করেনি হিহি করে হেসেছে।হাসির জন্য আবার ধমক তবে এবার পুতুনিকে নয় এবার ধমক খেলো ইউভান। ড্রাইভ করতে করতে কেন সে হাসাহাসি করছে ! মা বিরক্ত কন্ঠে বললো,--- একটাও ফকির পাওয়া যাচ্ছে না কেন রে ? দেশ থেকে কি ফকির মিসকিন সব উধাও হয়ে গেল ? নাকি এদেশের ফকিররা সব লটারি জিতে বড় লোক হয়ে গেল ? ইউভান গাড়ী চালাতে চালাতে সামনের রাস্তায় চোখ রেখেই বললো,--- আমি কি করে বলবো বলো তো মা ? মা সমান বিরক্তর সাথেই বললো,--- তাহলে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস যে একটাও ফকির খুৃঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ? ইউভান অসহিষ্ণু গলায় বললো,---- মা.. প্লিজ ! তুমি ফকির কেন খুুঁজতেছো একটু বলবা ? --- আজকের মধ্যেই মানতের টাকা ফকিরকে দান করতে হবে। নাহলে মানত পূরণ হবে না। তাই ফকির খুৃঁজে বেড়াচ্ছি গাধা ! পুতুনি খিল খিল করে হেসে গড়িয়ে পড়ছে মার ফকির খোঁজার কথা শুনে।মা প্রায়ই মানত করে।নামাজ,রোজা আর ফকিরকে টাকা পয়সা দান করা মার মনতের মধ্যে পড়ে। একবার মা মানত করেছিল পুতুনির জন্য। এদিকে ক্যান্টনমেন্টে কোন বাসায় ফকির আসতে পারেনা। তখন পুতুনির নানুবাড়ী ধানমন্ডি গিয়ে মা মানতের টাকা দান করে এসেছিল।মা রাস্তা ঘাটে ফকির মিসকিনদের প্রচুর টাকা দান করে। পুতুনি ভেবে পায়না মানত নিয়ে মা এতো সিরিয়াস কেন হয়ে যায় ? ওরা মীরপুর ক্যান্টের দিকে বেরিয়েছিল কারণ ইউভানের ধারণা ছিল কালশির ওদিকটায় ফকির পাওয়া যাবে। মাকে সে কথায় বলেছিল ভাই।কিন্তু আজ তেমন কোন ফকির নেই এদিকটায়।ইউভান গাড়ী থামিয়ে মাকে বললো, কি করবো এবার ? মা ধমকে উঠে বললো, ----কি করবি মানে ? তোর ফকির কই ? ইউভান সাথে সাথেই প্রতিবাদ করে উঠলো,--- আমার ফকির মানে ? মা তুমি কি বলো এইসব ? --- তুইই তো বললি এখানে ফকির এভেইলেবল ! ---- মা ! এই দুপুর রোদের মধ্যে এখানে ফকির থাকে নাকি? ---- তাহলে বললি কেনো এখানে ফকির বসে থাকে ? ---- ভার্সিটি যাওয়ার সময় মাঝে মধ্যে দেখেছি তাই বলেছি... পুতুনি মহা খুশী এরকম একটা মিশনে সে নিজে সরাসরি যুক্ত আছে বলে। মা আর ভাই এর কথাবার্তা সে খুব এনজয় করছে। এভাবে ফকির খুঁজে খুঁজে যে টাকা দান করা যায়,জানতোই না পুতুনি।মা আর ভাই এর এমন কনভারসেশন শুনতে সে অভ্যস্থ। কারন মা তার পাগলামি (বাবার ভাষায়) টাইপ কাজ গুলো ভাই এর সাহায্যে নিয়েই করে। কারন ভাই তার বাধ্য ছেলে। মাকে কোন ব্যাপারে না বলতে পারে না। আহারে ভাইটা ! এরই মধ্যে বাবা পুতুনিকে ফোন করে জানতে চাইছে,---- মামনি কি অবস্থা ? ফকির পাওয়া গেলো ? পুতুনি ফোন কানের কাছে নিয়ে ফিস ফিস করে বলছে,---- বাবা খুব সিরিয়াস অবস্থা ! ফকির পাওয়া যাচ্ছে না। মা ভাইকে বকছে। ভাই কি করবে বুঝতে পারছে না.. হিহিহি।---- ও তাই নাকি ? তাহলে তো সমস্যা ! ---- হুম বাবা বেশ সমস্যা। এখন ফোন রাখি। মা এখন কি করবে কে জানে ! মা তখন বিরক্ত কন্ঠে বলছে, ----একটা কাজ যদি শান্তিতে করতে পেরেছি তোর জ্বালায় ! এখন ফকির খুৃঁজে খুঁজে মরি আরকি !সাথে সাথেই ইউভান ঘাড় ঘুরিয়ে প্রতিবাদ করলো,---- আমি মোটেও কোন অশান্তি করিনি মা ! এখানে ফকিরকে বসে থাকতে দেখেছি তাই বলেছিলাম তোমাকে,এখন সব দোষ আমার? মা কঠিন গলায় বললো,----ঘাড় ঘুরাবি না ড্রাইভ করার সময় কতোবার বলেছি! ----মা আমি এখন ড্রাইভ করছি না। অনেকক্ষণ থেকেই এখানে গাড়ী থামিয়ে বসে আছি। এখন কি করবো তাই বলো।হঠাৎ পুতুনি চিৎকার করে উঠলো,----মা ঐ দ্যাখো একটা ফকির বসে আছে ! মনে হয় এখনই এসেছে। --- কই কই বলে মা খুব আগ্রহ করে সামনে তাকালো। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো,---- না হবে না। এতো শক্ত সমর্থ ফকিরকে মানতের টাকা দিব না। একেবারে অসহায় ফকির লাগবে।বলেই হ্যান্ড ব্যাগ থেকে বিশ টাকার একটা নোট বের করে ভিক্ষুকের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ইউভানকে বললো,----গাড়ী ঘুরা আমি অন্য কোথাও গিয়ে ফকির খুঁজবো ! ইউভান মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। অসহায় কন্ঠে বললো,---- মা তুমি কি বলো তো ! যেখানে ফকিরই পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে তুমি চয়েস করছো ? ---- তুই গাড়ী ঘুরা ! ----- কই যাব ? ----- ফিরে চল্ ! যেতে যেতে মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে করতে যাব।----- গিয়ারে হাত রেখেই মার দিকে ঘুরে তাকালো ইউভান ---- মানে ? তুমি একটু পর পর গাড়ী থামিয়ে মানুষকে জিজ্ঞাসা করবা ফকির কোথায় পাওয়া যাবে ? ---- হ্যাঁ---- মা প্লিজ ! ---- তুই
গাড়ী চালা.. এতো কথা বলিস না।ইউভান গাড়ী ঘুরিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের দিকে রওনা হলো। মাটিকাটা চেক পোস্টের কাছে আসতেই মা পিছন থেকে বলে উঠলো, RP কে জিজ্ঞসা কর ফকির কোথায় পাওয়া যাবে? ইউভান অবাক হয়ে বললো,--- মা..আঙ্কলরা কিভাবে জানবে ফকির কোথায় থাকে? আমি ফকিরের কথা জিজ্ঞাসা করতে পারবো না..প্লিজ মা ! ভ্রু কুঁচকে মা বললেন, --- তোকে জিজ্ঞাসা করতে হবে না, গাড়ী স্লো কর.. আমি জিজ্ঞাসা করবো। --- ওহ্ মা ! তুমি সিম্পলি ইম্পোসিবল ! মাটিকাটা চেক পোস্টে এমপি'র ( মিলিটারি পুলিশ) সামনে এসে গাড়ি থামিয়ে ফেললো ইউভান।পিছন থেকে গ্লাস নামিয়ে মা জানতে চাইলো, ----এক্সকিউজ মি... ক্যান্টনমেন্টের আশেপাশে কোথায় ফকির পাওয়া যেতে পারে ? এমপি সালাম দিয়ে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে দ্রুত বললো,---- সরি ম্যাডাম.. ক্যান্টনমেন্টের কোথাও সেভাবে ফকির নেই তবে সেন্ট্রাল মসজিদে শুক্রবারে জুম্মার দিনে কিছু সময়ের জন্য ফকির থাকে কিন্তু আর আশে পাশে কোথাও পাওয়া যায় কিনা ঠিক বলতে পারছি না ম্যাডাম..সরি ম্যাডাম।---ওকে, থ্যাঙ্কস।মা গ্লাস তুলে দিয়ে ইউভানকে বললো, চল্। --- মা এবার কাকে জিজ্ঞাসা করবো বলো? তারচেয়ে বরং আজ বাসায় ফিরে চলো, কাল ভালো করে জেনে শুনে বের হবো।--- না আজই ফকিরকে টাকা দিতে হবে।মাটিকাটা পার হয়ে সিএমএইসের সামনে থেকে কিছুদূর এগিয়ে এসে একটা রিকসার পাশে গাড়ী স্লো করে জানতে চাইলো ইউভান,--- মামা.. ক্যান্টের আশেপাশে ফকির কোথায় বসে জানো ? খানিকটা অবাক হয়ে রিক্সাওয়ালা বললো, --- কচুক্ষ্যাতে যাইতে পকেট গেডের কাছে ফহিরগো বইস্যা থাকতে দেখছি মামা.. উইদিকে গ্যালেগা পাইবেন।--- ওক্কে... থ্যাঙ্কু মামা।ইউভান গাড়ী স্টার্ট করতেই মা বিরক্ত কন্ঠে বলে উঠলো,--- মামা মামা করছিলিকেন ? ঐ লোক তোর কোন কালের মামা ? পুতুনি খিল্ খিল্ করে হেসে উঠলো মার কথা শুনে।--- মা সবাই এখন মামাই ডাকে। রিক্সওয়ালা, ফুচকাওয়ালা,বাসের হেলপার,ড্রাইভার এরকম সবাই এখন মামা, হাসতে হাসতে বললো ইউভান।দু'ভাইবোন হাসতে হাসতে মাকে রাগিয়ে দিচ্ছে। মা গজ্ গজ্ করছে, ---- কি সময় চলে এসেছে বুঝিনা বাবা। রাস্তার অচেনা লোকগুলো নাকি ওদের মামা ! পুতুনি বললো,--- আমরাও আমাদের স্কুলের সামনের বাদামওয়ালা, আমড়াওয়ালাকে মামা ডাকি মা।মা মৃদু ধমক লাগালো,--- তুই চুপ কর ! যা দেখছে তাই শিখছে ! পুতুনি নিঃশব্দে হাসছে। জোরে হাসলে মার বকা খেতে হবে। কফি গ্লোরির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পুতুনির খুব আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করলো কিন্তু এখন এসব ইচ্ছের কথা বলায় যাবেনা ! ওরা কচুক্ষেতের পকেট গেইটের কাছে চলে এসেছে। ইউভান গাড়ী থামিয়ে মাকে বললো, --- চলো নেমে দেখি কোন ফকির আছে কিনা? গাড়ী থেকে নামতেই চোখে পড়লো দু'জন ফকির বসে আছে। ইউভান মাকে নিয়ে এগিয়ে গেলো। পুতুনিকে গাড়ীতেই বসতে বললো। মা খুশী হয়ে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে ফকির দু'জনের দিকে এগিয়ে গেলো।হঠাৎ কোত্থেকে হুইল চেয়ারে বসা দু'জন ফকির এসে হাজির এবং একটু বৃদ্ধ আরও দু-তিন জন। ইউভান হাসতে হাসতে বললো,--- এখন খুশী তো ? দ্যাখো কতোজন এসে হাজির হয়েছে এবং সবাই বৃদ্ধ অসহায়। এবার তুমি মনের সুখে মানতের টাকা দান করো। ইউভান দাঁত বের করে হাসতে লাগলো নিঃশব্দে। কারন এখন যা ঘটবে সে ব্যাপারে তার মাতাজির কোন ধারনায় নাই।মা খানিকটা শঙ্কিত গলায় বললো,---- এতো জন কোত্থেকে এলোরে ? ইউভান দাঁত বের করে হেসে বললো,---- আমি কি জানি ! তবে তোমার তো খুশি হওয়ার কথা।অনেক জন অসহায় ফকির পেয়েছো, এখনতাড়াতাড়ি কাজটা শেষ করো মাতাজি ! ইউভান দেখলো মা খুশী মনে রাস্তার পাশে বসে থাকা দুই বৃদ্ধা মহিলাকে পাঁচশো টাকার দুইটা নোট দিয়ে বললো,--- আমি যার জন্য মানত করেছি তার জন্য দোয়া করবেন যেন সে সবসময় ভালো থাকে। দু'জনই দোয়া করতে লাগলো তবে একজন মহিলা হাত তুলে বলতে লাগলো,---- হে আল্লাহ! তুমি এই মাইয়াডার সোয়ামিরে ভালো রাইখো সবসময়। ইউভান হাসি চেপে বললো,---- তুমি কি বাবার জন্য মানত করেছিলে ? ---- চুপ কর ! আমি কি তাই বলেছি ? ---- ফকির সাহেবা জানলো কেমন করে মা ? মা ততোক্ষণে হুইল চেয়ারে বসা ফকিরদেরও টাকা দিয়ে ফিরে যাবার জন্য ঘুরে দাঁড়াতেই আরও দু-তিন জন ফকির এসে হাজির।তারাও হাত পেতে টাকা চাইলো।মা শঙ্কিত চোখে ইউভানের দিকে তাকালো কারণ মানতের টাকা দেয়া শেষ। এখন ব্যাগে যা আছে তাই দিতে হবে। ব্যাগ হাতড়ে পেয়ে গেল আরও দেড় হাজার টাকা। তিনজন ফকিরকে টাকাগুলো ভাগ করে দিয়ে দ্রুত গাড়ীতে এসে বসলো।মায়ের এমন নাজুক অবস্থা দেখে ইউভান ও পুতুনি হাসছে। এসব জায়গায় মূহুর্তের মধ্যে অনেক ফকির এসে জড়ো হয়ে যায় এটা মায়ের ধারনাতেই ছিলো না। তবে মায়ের সঙ্গে যতোই মজা করুক ওরা জানে ওদের মা সিলভানা লিয়ানা অসম্ভব ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন,স্মার্ট এবং খুবই অভিজাত একজন মানুষ ।মাকে ওরা খুব ভালোবাসে,এডম্যায়ার করে।ওদের জীবনের সবখানেই ওদের মা। মা ছাড়া কিছুই ভাবতে পারেনা ওরা। মা অনেক মানবিক। মানুষকে সাহায্য করে অকাতরে। ওদের সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠা ও সুস্থ মানসিক বিকাশে মা মূখ্য ভূমিকা রেখেছেন ওরা জানে। তবে মার অনেক ছেলেমানুষী কান্ডকারখানা আছে যা নিয়ে দিনরাত বাড়ীতে তারা সবাই আনন্দিত ও কপট আতংকিত থাকে।এই যেমন আজ মা ফকির খুঁজতে গাড়ী নিয়ে বেরিয়েছে তাদের
দু'ভাইবোনকে নিয়ে। তার নাকি আজকেই ফকিরকে টাকা দান করতে হবে। মানত করে এতো দেরী করাটা মোটেও নাকি ঠিক হচ্ছে না।বাবা কতো কিছু বলে ক্ষেপালো মাকে বেরোনোর আগে কিন্তু মা তাতে একটুও পাত্তা না দিয়ে ওদের দু'ভাইবোনকে নিয়ে বেরিয়ে এসেছিল।বাবা মাকে রাগাবার জন্য বলেছিলো, --- আমাকেইবা বাদ দিচ্ছো কেন ? আমাকেও নিয়ে চলো। মা বিরক্তির সঙ্গে বলেছিল,---- কক্ষনো না ! তুমি গাড়ীতে বসে বক্ বক্ করে বিরক্তি প্রকাশ করবে আর আমার মেজাজ খারাপ হতে থাকবে, আমার কাজে ব্যাঘাট ঘটবে।তারচেয়ে বরং তুমি বাসায় থাকো..কফি খাও.. মুভি দেখো।তোমার প্রিয় জেমস বন্ড অথবা বাংলা মুভি।বাসায় ফিরে মা খুব শান্তি শান্তি চেহারা করে বললো,--- যাক! বড় একটা কাজ শেষ হলো। জানো কি হয়েছে? আমার যা টাকা দান করার কথা ছিল তার চেয়েও বেশি টাকা দিয়েছি। কারন হঠাৎ করেই অনেকগুলো ফকির জড়ো হয়ে গিয়েছিল ওখানে।বাবা দুষ্টু হেসে মাকে বললো,--- ভালো তো ! তোমার মানত শক্ত পোক্ত হয়েছে।যে উদ্দেশ্য মানত করেছো সেটা জোরালো ভাবে পূরণ হবে... --- এ আবার কি কথা ? সবকিছুতেই তোমার মজা করতে হয় তাই না ? ওদের বাবা দু'চোখ ভরা দুষ্টুমি নিয়ে মিষ্টি করে বললো,--- মজা করছিনা। মানত কি আমার জন্য ছিল ? মা গভীর চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে বললো,--- আমার বয়েই গেছে তোমার জন্যে....পুতুনি ও ইউভান গভীর আনন্দ নিয়ে যার যার রুমে চলে গেল। ওরা এই ভালোবাসা দেখে দেখেই ভালোবাসতে শিখেছে.. এখনো শিখছে।