The Genie - 1 in Bengali Horror Stories by Saikat Mukherjee books and stories PDF | আত্মা - 1

Featured Books
  • You Are My Choice - 41

    श्रेया अपने दोनो हाथों से आकाश का हाथ कसके पकड़कर सो रही थी।...

  • Podcast mein Comedy

    1.       Carryminati podcastकैरी     तो कैसे है आप लोग चलो श...

  • जिंदगी के रंग हजार - 16

    कोई न कोई ऐसा ही कारनामा करता रहता था।और अटक लड़ाई मोल लेना उ...

  • I Hate Love - 7

     जानवी की भी अब उठ कर वहां से जाने की हिम्मत नहीं हो रही थी,...

  • मोमल : डायरी की गहराई - 48

    पिछले भाग में हम ने देखा कि लूना के कातिल पिता का किसी ने बह...

Categories
Share

আত্মা - 1

যুবতী একটি মেয়ে পানিতে ডুব দেবার সাথে সাথেই একটা কালো কুচকুচে সাপ তার কোমর থেকে বুক অবদি প্যাচিয়ে নিল। সাপের মাথাটা তুরেছার ভিজে যাওয়া টান টান বুকের সাথে মিশে
আছে। কুচকুচে কালো সাপটা ল্যাজ দিয়ে মানুষের হাতের মতো স্পর্শ করছে যুবতী মেয়ের বিশেষ অঙ্গগুলো।

তুরেছা সহ বেশ কয়েকজন যুবতী মেয়ে মরা নদীতে গোসল করতে এসেছে। নদগাও মূলত একটা নদীর চর, গ্রামের মাঝখানে নদী থেকে আলাদা হয়ে বিলের মতো একটা অংশ রয়ে গেছে। তাই গ্রামের মানুষ এটাকে মরা নদী ডাকে।

তুরছা ওর মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছে। মামাতো বোন সহ পাড়ার বেশকিছু যুবতী মেয়েরা মিলে নদীতে নেমে সাঁতার কাটছে, হৈহল্লা করছে। মরা নদীতে তারা প্রায়ই গোসল করে, তবে নিয়মিত গোসল করে নদগায়ের পুরুষেরা। সারাক্ষণ এই নদীতে জেলেরা মাছ ধরে, রাত হলে মাঝিরা গান গায়। সবার খুব চেনাজানা
পরিচিত একটা নদী।

তুরেছা নিজের শরীরে সাপ দেখে চিৎকার দিতে দিতে কিনারায় এসে অজ্ঞান হয়ে যায়। অন্যন্য মেয়েদের খানিক্ষণ সময় লাগলো বিষয়টা বুঝতে। যখন সবাই দেখতে পেল তুরেছার শরীরে একটা
সাপ অস্থির হয়ে সর্বাঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন সবাই চিৎকার শুরু করল। তুরেছা তখনও অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে আছে, সাপটা ধীরে ধীরে কাপড়ের ভেতর ঢুকে গেল, ল্যাজ আর মুখ দিয়ে সারাটা শরীর স্পর্শ করছে৷

উপস্থিত যুবতী মেয়েরা সাপ সাপ রব তুলে চিৎকার করে যাচ্ছে। দৃশ্যটা দেখে তুরেছার মামাতো বোন মীরাও
অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে৷ ধীরে ধীরে
এলাকার মানুষ লাঠিঝাটা নিয়ে জড়ো হয়েছে তুরেছার চারপাশে। সাপটা তুরেছার কাপড়ের ভেতরে মিশে থাকায় কেউ মারার জন্য বিশেষ সুবিধা
করতে পারছে না। তুরেছার মামা ওয়াব উদ্দিন একটা লাঠি দিয়ে ধীরে ধীরে সাপকে নাড়া দিলেন, সাপটা তুরেছার বুকের দিকে মাথা বের করে তাকাল।
সাথে সাথে উপস্থিত সবাই ভয়ে কয়েক পা পিছিয়ে গেছে । ওয়াব উদ্দিন সাহেব সাহস করে লাঠি দিয়ে নাড়া দিতে দিতে "যাহ হিসসস যাহ" শব্দ করছেন। হঠাৎ
করে সবাই আবিষ্কার করলো সাপটা আর তুরেছার শরীরে নেই। উপস্থিত সবাই দারুণ অবাক হল, সাপটা সবার চোখের সামনে থেকে কিভাবে উধাও হল!

শরীর থেকে বের হয়ে যেতে কেউ
দেখেনি। ওয়াব উদ্দিন সাহেব সহ বেশ কয়েজন মহিলা তুরেছার কাছে গিয়ে মুখে পানি ছিটিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে ধাক্কা দিলেন। খানিক্ষণ পর তুরেছা চোখ মেলে বড় বড় করে চারদিকে তাকাচ্ছে৷
কিন্তু সবার কাছে অদ্ভুত লাগছে একটা সাপ এতক্ষণ
থাকার পরেও মেয়েটাকে কামড় দিলো না! সাপ তাহলে কি করল মেয়েটার সাথে ?

তুরেছার সারাদিন যাচ্ছে ভয়ে ভয়ে, বিছানার এককোণে গুটিশুটি খেয়ে শুধু বিড়বিড় করে সাপ সাপ করছে।
সারাক্ষণ পাশে বসে সাহস দিচ্ছেন নানী - মামীরা। মামাতো বোনরা সবার গালি শুনে মন খারাপ করে
বসে আছে। তুরেছার বাড়িতে খবর দিতে সবাই সংকোচবোধ করছেন, খবর না দিয়ে সবকিছু স্বাভাবিক হলেই সবাই বাঁচেন।

ঘরের দরজার চিঠকানিতে কে জানি অনেক্ষণ ধরে নাড়াচ্ছে। ফকির হবে মনে করে কেউ প্রথমে যায়নি। কিন্তু চিঠকানি নাড়ানোর বিরক্তিকর আওয়াজে
তুরেছার মামী ওঠে গেলেন। দরজা খুলে দেখলেন একজন বৃদ্ধ লোক দাড়িয়ে আছে।

কি চান এখানে ? মা চারটা ভাত দিবেন, পোলাপান বিয়ে করে বউ নিয়া
আলাদা হইয়া গেছে। খাওন - দাওন দেয়না, তাই রাগ করে কাজ - কামের লাইগা বাহির হইছি৷ এখন খুব ক্ষিধে লাগছে। চারটা ভাত দেন মা, খাওয়া - দাওয়া করে কোনো কাজ থাকলে করে দিয়ে যাবো। আপনাগো কাজের লোক লাগলেও আমারে রাখতে পারেন। শুধু থাকা খাওন দিলেই হবে মা।

ভদ্র মাহিলা খানিক ভাবলেন, কাজের লোকের অবশ্য দরকার। আর এই লোকটি বলছে শুধু থাকা খাওয়া দিলেই হবে৷ তাই আবার ঘরে গিয়ে স্বামী
ওয়াব উদ্দিনকে জানালেন।
ওয়াব উদ্দিন সাহেবের কেন জানি লোকটিকে সুবিধার মনে হচ্ছে না, তিনি কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে বিদায় করতে চাইলেন। টাকা দেবার সময় লোকটির
চোখের দিকে তাকানো যায়নি। ভয়ংকর বিকৃত চেহারা মনে হয়েছে৷

রাত প্রায় সাড়ে দশটা, তখনও তুরেছা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয় নি। তারপরও সবার চেষ্টায় তাকে নিয়ে খেতে বসেছেন। হঠাৎ করে তুরেছা লক্ষ করলো তার কোলে একটা সাপ কুন্ডলী পাকিয়ে
বসে আছে, সে সাপ সাপ বলে চেচিয়ে চেয়ার থেকে উঠলো। ওয়াব উদ্দিন টেবিলের নীচে তাকিয়ে দেখলেন একটা কালো বিড়াল মেউ মেউ করছে। সবাই তুরেছাকে বিড়ালটা দেখিয়ে স্বাভাবিক
করে আবার খেতে বসালেন। আশ্চর্য ব্যাপার বিড়ালটা আবার তুরেছার কোলে উঠে বসে আছে সে টেরও পায়নি। আবার চেচিয়ে উঠলো। হঠাৎ তখন নানির খেয়াল হল এই কালো বিড়াল আর
কোনোদিন তারা দেখেননি। এটা হঠাৎ কই থেকে উদয় হল ? তাছাড়া কালো বিড়ালের চেহারা খারাপ জ্বীন ধারণ করে বলে তিনি শুনেছেন।

এদেরকে দেখলেই তাড়িয়ে দেবার আদেশ আছে ধর্মে। তিনি ওয়াব উদ্দিনকে বললেন, এই বিড়ালকে যতদূর সম্ভব তাড়িয়ে দিয়ে আয়। ওয়াব
উদ্দিনেরও মেজাজ গেল বিগড়ে, সে লাঠি হাতে বিড়ালকে তাড়া করে একেবারে নদীর পাড়ে দিকে দিয়ে এসেছে। দু'একটা লাঠি আঘাত অবশ্য
বেড়ালের গায়ে লেগেছে, তাঁর ধারণা বিড়াল ল্যাংড়া হয়ে গেছে।

চলবে...