Telephone-cring, cring in Bengali Comedy stories by Samir Sinha books and stories PDF | (টেলিফোন - ক্রিং, ক্রিং)

Featured Books
  • स्वयंवधू - 31

    विनाशकारी जन्मदिन भाग 4दाहिने हाथ ज़ंजीर ने वो काली तरल महाश...

  • प्रेम और युद्ध - 5

    अध्याय 5: आर्या और अर्जुन की यात्रा में एक नए मोड़ की शुरुआत...

  • Krick और Nakchadi - 2

    " कहानी मे अब क्रिक और नकचडी की दोस्ती प्रेम मे बदल गई थी। क...

  • Devil I Hate You - 21

    जिसे सून मिहींर,,,,,,,,रूही को ऊपर से नीचे देखते हुए,,,,,अपन...

  • शोहरत का घमंड - 102

    अपनी मॉम की बाते सुन कर आर्यन को बहुत ही गुस्सा आता है और वो...

Categories
Share

(টেলিফোন - ক্রিং, ক্রিং)

টেলিফোন - ক্রিং, ক্রিং

সমীর সিন্ হা

'জীবন সমুদ্রে', এতখানি পথ চলে এসে এখন বুঝতে পারি সমুদ্রের কি নিদারুণ উচ্ছলতা, জীবনে 'হাসি' 'খুশি' বিশেষ করে প্রান খোলা হাসির কি মহান অনুভূতি তা সে যে অনুভব করছে সে তা জানে কখনো সুযোগ পেলে তা একবার পরোখ করে দেখবেন ?

পেশাগত কারণে জীবনে অগুনিত মানুষের সঙ্গে মেলামেশা একদিন 'ত্যাগী স্যারের' সাথে দেখা 'চা' খেতে খেতে উনি উনার 'উইকিপিডিয়া' থেকে উনার টেলিফোন ডিপার্টমেন্টের 'বদ্দীলাল বাবুর' উপাখ্যান শোনালেন ;

শীতের প্রাকসন্ধ্যায়, হাতে 'নরেন্দ্রর' দোকানের স্পেশাল আদ্রাক দেওয়া গরমাগরম চা এর চুসকী নিতে নিতে 'টেলিফোন উপাখ্যানে' হারিয়ে গেলাম যে কখন বোঝাই গেল না ।

একদা সবারই প্রায় জানা আমাদের টেলিফোন লাইন ও শেট সমন্ধে, সেই বিশাল দীর্ঘ আবেদন আর লম্বা প্রতিক্ষা অবশেষে'

- আলালের ঘরে দুলাল' - 'টেলিফোন সেট' ।

সেই রকমই, এক সরকারি চাকুরে 'লম্বদর বাবু' নিয়ম মেনে ফোনের আর্জি অনেক শক করে করেছিলে ।

ওনার নিজের বলতে একটা সাজানো গোছানো বাড়ি আর একটা ছোট খাটো অতিকায় বিনা ডায়েটিং করা আলুভাত মারখা চেহারা যার খোরাক যোগাতে যোগাতে দিন জেরবার, অকালে বাবা-মা চলে গেলেন, সময় থাকলেও আর বিয়ে করার সময় হয়ে ওঠে নি 'ওনার' ।

তাই নিদারুণ একাকিত্বের ওনার সময় কেটে যায় দিন দিন, প্রতিদিন অফিস আর বাড়ি করে, আর এমনই পোড়া কপাল যে রাতে বাড়ি ফিরে আত্মীয়দের সঙ্গে যে কথা বলবেন তার অবকাশ নেই কারণ বাড়িতে ফোন এর অভাব আজকালকার মতন তো নয় যে যখন ইচ্ছা মোবাইল করে নেও- অপরিচিতকে পরিচিত করে নেও! এক পলকে!

তাই, একদিন জলদি অফিস পৌঁছে টেলিফোনের অ্যাপ্লিকেশনটা করেই ফেললো 'লম্বদর বাবু'।

শুরু হলো প্রতীক্ষার অমোঘ কাহিনী তা সে যত খানি কম বলা যায় ততই ভালো রোজ নিয়ম করে অফিস থেকে টেলিফোন দপ্তরে ফোন, অ্যাপ্লিকেশন স্টেটাস এক বার করে পরোখ করা এ যেন পিং-পং খেলা কখনো স্টেটাসের পরিণাম কমে যাওয়া আবার কখনো বা একই জায়গায় ঘোরা ফেরা করা মাঝে মাঝে মনে হয় 'চাকরি' পাওয়া এর থেকে সোজা যেখানে পাস ফেল সহজেই নির্ধারিত হয় সময় থাকতেই ।

এই ভাবে সময় কেটে যায় আপন গতিতে, মাস পাঁচেক এর পর এক সময় 'লম্বদর বাবুর' ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ শোনা গেল পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যেও

- জানেন চক্রবর্তী বাবু এই টেলিফোন দপ্তরটী ঠিক যেন জিমনাসটিকসর খেলা দেখতে না দেখতে পা পিছলে পড়ে রিং থেকে ।

তাই 'লম্বদর বাবু' ঠিক করলেন এই ফোন - ফোন খেলার জবনিকা টানতে ডিপার্টমেন্টের সর্বোচ্চ অফিসারকে চিঠি লিখে জানাতে ;

ব্যাস্ ঘটল তুমুল আলোরন 'লম্বদর বাবু' কে শান্ত করতে দপ্তর থেকে এল 'এ. জিমের' এর ফোন লম্বদর বাবুর অফিসে।

- 'স্যার' অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত আপনার ফোন আমি নিজে গিয়ে লাগিয়ে আসবো আগামী কাল, আমার নাম - 'শ্রীমান বদ্দীলাল', আপনার এলাকার টেলিফোন আধিকারিক ।

'লম্বদর বাবু' - আগামী কাল তো 'রবিবার' ছুটির দিন !

'বদ্দীলাল বাবু' - তাতে কি 'স্যার ? জানেন নি তো প্রয়োজনে আমরা সারা সপ্তাহ-ই কাজ করি আল্টিমেট আপনার ফোন ইনস্টলমেন্ট বলে কথা, বাকি কথা কাল হবে বলে ফোন রাখলেন, আর ফোনের অপর প্রান্তে 'লম্বদর বাবু' স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ঠিক যেন 'যুদ্ধ জয়ের' - 'ইংরেজ ভারত ছাড়ো' ।

সেই দিন রাতে অতিরিক্ত উৎসাহে আর ভালো করে রাতের খাওয়াটা খাওয়া হয়ে ওঠেনি 'লম্বদর বাবুর' তাতেই হল বিপদ যে শরীরের 'দশ' 'দশ' খানা ডিম, 'শের খানেক সঙ্গে দুধ, কিলো খানেক' কচি পাঠার নরম নরম মাংস ও শেষে হাফ কেজি রসমালাই বাঁসা বাধে সেখানে কিনা দুধ, মুড়ি ও কলা কতই বা জায়গা করে নিতে পারে বলাবাহুল্য ।

তাই সকাল থেকেই মনটা যেন `কেমন যেন `আন - চান করে চলেছে! আজ 'রবিবার' কোথায় একটু বেশি করে আরাম করে নেওয়া জরুরি তা না কি সকাল থেকে তোড়জোড় শুরু বাড়িতে নুতন 'ফোন' নামক মেহমানকে নিয়ে যার উপস্থিতিতে 'সামাজিক স্টেটাসের' এর যে পরিবর্তন অব্যসাম্ভাবিক তা বিলক্ষণ 'লম্বদর বাবু' মনে মনে ভেবে মজা পেলেন ।

ওদিকে, 'বদ্দীলাল বাবু' এমনই 'ইনসোমেনিক' আর প্রত্যেক নুতন ফোন সংযোজন এর খবর ওনাকে আর বেশী 'ইনসোমেনিক' করে তোলে কারনটা খুবই স্বাভাবিক - 'উপরি-ঠৌকন' প্রাপ্তি উনি এরই খুশীতে 'হ্যাপি- হরমোন' এতো বেশি ক্ষরিত করে ফেলেন তাই ঘুমের দেশে যেতে যেতে প্রায়শই পথ হারিয়ে ফেলেন !

অবশেষে এল সেই মহেন্দ্র ক্ষন, 'লম্বদর বাবু' বাড়িতে চা জলখাবার আয়োজন করে বাড়ির বারান্দায় 'জগিং' ভঙ্গিমায় পায়চারি করতে ব্যস্ত অতি উৎসাহে !

হঠাৎ বাড়ির কলিংবেলটা বেজে উঠল হালকা সুরে 'ভোর হোল দোর খোল' আওয়াজে ; তখন মনে পড়লো সেই কবে যেন ব্যাটারিটা বদল করা হয়েছিল তা মনে পড়ে না?

ঔই বিশাল শরীর নিয়ে লম্বদর বাবু' সিড়ি বেয়ে নিচের তলায় এসে স্বশব্দে দরজা খুলতে যেতে মনে পড়ল কবজায় জং ধরছে তাই এই আতনাৎ 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' ।

কোনক্রমে দরজা খুলে 'লম্বদর বাবু' দেখলেন এক পঞাশউদ্ধ, চুল উস্কখুস্ক চোখে ঘষা কাচের চশমা 'প্রোফেসর-শঙ্কু' মারখা ভদ্রলোক বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে, অনেকটাই পাড়ার 'জটিল-দার' মত দেখতে.....

মনে হলো উনি একটু হতবাক আমাকে দেখে বিশেষ করে আমার চেহারাটা দেখে ।

পরক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়ে বুঝতে পারলেন না তাড়াহুড়ো করে নামার সময় পায়জামা পরতে ভুলে গিয়েছিলেন শুধু একটা 'আন্ডার প্যান্ট' আর 'গেঞ্জি' পরে কখন দরজার সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন একদম টেরই পাইনি।

বোধহয় এই রুপ 'বদ্দীলাল বাবু' স্বপ্নেও কখনো ভাবেন নি !!

শেষমেশ, 'লম্বদর বাবু' নুতন অতিথিকে নিয়ে উপরের বৈঠকখানায় নিয়ে এলেন আর হুঙ্কার করে কাজের মাসিকে বললেন-

- 'দু-গ্লাস' জল আর সঙ্গে টেলিফোনর ফাইলটা নিয়ে আসতে!

এদিকে 'বদ্দীলাল বাবুর' উত্তেজনায় যেন পেখম মেলে ধরে কারণ টা খুবই স্বাভাবিক কিছু উপরি উপঠৌকন প্রাপ্তি আর যার জন্য এখানে ওনার নাটকীয় প্রবেশ তাই উনি বললেন 'তাড়াতাড়ি করুন আমার আবার একটু তাড়া আছে' ।

'লম্বদর বাবু' বিনম্র ভঙ্গিমায় বললেন 'স্যার' আপনাকে একটু চা যোগ করে যেতে হবে কাজের শেষে, যথারীতি ফাইল 'বদ্দীলাল বাবুর' হাতে এসে পৌঁছতেই উনি অফিসিয়াল কোড খুঁজতে শুরু করলেন অনুমোদিত চিঠির মধ্যে.... কিন্তুু হায় পোড়া কপাল ডিপার্টমেন্টের অক্ষমতা প্রতি দিনই প্রায় ঝলসে ওঠে কোথাও না কোথাও আজ তারই প্রতিফলন দেখা গেল এখানে, তা সে যাই হোক একথা তো আর গ্রাহকে বলা যাবে না আর এও বলা যাবে না যে আজ আপনার টেলিফোন লাগানো যাবে না....সময় লাগবে ।

কারনটা, 'বদ্দীলাল বাবুর' এতক্ষণে বুঝেই ফেলেছেন এমনিতেই 'লম্বদর বাবুর' ফোন লাগাতে লাগাতে বেশ কয়েকটি মাস অতিক্রান্ত তার উপর 'গোদের উপর বিষফোঁড়া' এই শিশু সুলভ ভুল - এই সব নিয়ে যখন জোর জল্পনা চলছে মনের মধ্যে হঠাৎ উনি সজাগ হলেন 'লম্বদর বাবুর' আওয়াজে ....

'স্যার, টেলিফোন কতক্ষনে লাগবে? জানেনই তো আজ এই নুতন টেলিফোন উপলক্ষে একটা ছোট্ট জলপান পার্টির বন্ধুদের নিয়ে সঙ্গে রেখেছি রাতেই বুঝতেই তো পারছেন !

এই কথা শোনামাৎ 'বদ্দীলাল বাবুর' মূর্ছা হওয়ার মত অবস্থা আর বিশেষ কিছু ভেবে বলার আগেই মুখ থেকে বেরিয়ে গেল - 'কিছু মনে করবেন না আপনার ফোন আজ লাগানো সম্ভব নয় আপনার এই চিঠিতে কয়েকটি 'এই' 'এই' জায়গায় অসঙ্গতি রয়েছে বলে 'বদ্দীলাল বাবু' ব্যাখ্যা করে বললেন তাই -'স্যার' 'আই অ্যাম সরি' আমার কথা শেষ হতে না হতেই ' লম্বদর বাবুর' ধৈর্য্যর বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ শোনা গেল উনি আমাকে বললেন আপনি এ. জিএম

-আমি বললাম-'হ্যাঁ '।

-তাহলে, এই ফোন অনুমোদন এর চিঠি সই করলেন কি ভাবে 'কারণ' টেনে - বলুন তো আমাকে?

এর পরের উপ্যাখান যত টা না বলা যায় ততই ভালো ।

'লম্বদর বাবুর' আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আপনি এখানে বসুন বলে ভয়ঙ্কর ধরনের 'হুঙ্কার; করতে করতে রূম থেকে বেরুলেন...

ব্যপারটা' বদ্দীলাল বাবুর' মোটেও সুবিধে বলে মনে হল না, অগ্যতা উনি ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে তৈরি হয়ে চুপচাপ বসে রইলেন আর নিজের স্বাস - প্রশ্বাস গুনতে শুরু করলেন ।

ঠিক তখনই 'লম্বদর বাবু' এক হাতে 'জলের জাগ' অন্য হাতে একটা লম্বা 'ব্যাটকে' হাতিয়ার করে 'বদ্দীলাল বাবুর' দিকে স্বশব্দে ধেয়ে এলেন কোন কিছু বোঝার আগেই পিঠের উপর তা স্বশব্দে 'গর্জে' ওঠার আগেই কোনো ক্রমে 'বদ্দীলাল বাবু' তা ট্যাকেল করে অসাধারণ ভঙ্গিতে দোতলার সিঁড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে সন্তর্পণে কখন যে নিচের তলার আঙিনায় পৌঁছে গেলেন তার রহস্য ভেদ বোধ হয়,

সয়ং 'বদ্দীলাল বাবুও'এখনও করতে পারেন নি !!

এরপর উনি কোনো ক্রমে পিছন ফিরে দেখেন 'লম্বদর বাবু' উনার সুবিশাল চেহারা নিয়ে হাতের ব্যাট টা হাতিয়ার করে `রে `রে রে` করে ছুটে আসছেন বেশ খানিকটা দূরে বলে আপাত মনে হল এরই ফাঁকে 'বদ্দীলাল বাবু' ছুটতে ছুটতে রাস্তার পাশে 'রবিবারের' ভিড় ভাড় কাটিয়ে 'কমিউনিটি হলে' এর মধ্যে ঢুকে পড়লেন নিরদিদ্বায় কোনো এক পুরস্কার বিতরনী সভায় একেবারে দর্শকাসনে আর চুপচাপ খুঁজতে থাকলেন 'লম্বদর বাবুর' ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে না যাওয়া চেহারা.....

'ভাগ্য' উনার সহায় ছিল ঐদিন কোনো ক্রমে অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরলেন.....

পরের দিন যথারীতি 'বদ্দীলাল বাবু' আফিস পৌঁছলেন গত দিনের ইতিহাস বুকে করে আর মনের মধ্যে একটা অজানা আশঙ্কা সবসময় বিচলিত করে রেখেছে ওনাকে যা শত চেষ্টা করেও উনি ভুলতে পারছেন না তাই আজ সকাল থেকে কমকরে পাঁচ ছয় কাপ চা খাওয়া হয়ে গেছে ওনার আর যে লোক প্রতিদিন সকালে আফিস এসে এই সময়ে মধ্যে কমকরে দুই থেকে তিন বার টেলিফোন আফিসে বিরাজমান ভক্তদের সাধনার জন্য বানানো মন্দিরে এসে সাধনা করতেন, আজ এক বারও উনি বেরোন নি।

উনার `পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট` রীতিমত হতবাক তাই 'মোদক বাবু' আর তর সামলাতে না পেরে 'বদ্দীলাল বাবুকে' জিজ্ঞাসা করে বসলেন....

'স্যার' আপনার শরীর টরীর ঠিক আছে তো?

এই কথা শোনা মাএ 'বদ্দীলাল বাবু' `হাউ `মাউ করে এক নিঃশ্বাসে উনার অ্যাসিস্ট্যান্টকে গতকালের ইতিকথা রোমন্থন করলেন তাই শুনে 'মোদকবাবু' বললেন 'স্যার' এই টেলিফোন উপাখ্যান-র ইতি টানতে হবে আপনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যদি বলেন তো কালই স্টাফ পাঠিয়ে এই কেসের ফ্যায়শালা করে ফেলি?

আপনি শুধু আমাকে হুকুম করুন?

এর পর বদ্দীলাল বাবু ঘন্টা খানেক সময় নিয়ে অফিসিয়ালি 'লম্বদর বাবুর' নামের পূর্বের চিঠি সংশোধন করে উনার পি. এর হাতে দিলেন অগ্যতা 'মোদক বাবু' যাবতীয় ফোনের ডকুমেন্ট তৈরি করে তিন জনের টিম রেডি করে 'লম্বদর বাবুকে' ফোন করে পরের দিনই ফোন লাগানোর অনুরোধ করলেন অবশেষে বিস্তর `বাকবিতন্ডার পর,'লম্বদর বাবু' বললেন ঠিক আছে কাল আপনারা বিকেল পাঁচটা থেকে ছয়টার নাগাদ আমার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দিন আমি না হয় `হাফ-ডে' করে বাড়ি চলে আসবো ।

ইতিমধ্যে 'বদ্দীলাল বাবুর' উপাখ্যান উনার ডিপার্টমেন্টে মধ্যে 'ভাইরাল' হয়ে গেছে আর যে তিন জন কাল 'লম্বদর বাবুর' বাড়ি যাবেন বলে চিহ্নিত হয়েছেন উনারা একে অপরের সাথে শলাপরামর্শে ব্যস্ত কি ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেবেন সেই বিষয়ে ।

পরে দিন, 'বদ্দীলাল বাবু' আফিসে এলেন প্রতিদিন মাফিক এসেই উনার সহকর্মীদের সাথে এক প্রস্থ মিটিং সারলেন আর বললেন ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই প্রশাসনিক সাহায্যের জন্য থানার সঙ্গে উনি কথা বলে রেখেছেন তাই অযথা ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই !!

ঠিক ছটা নাগাদ টেলিফোন দপ্তরের টিম 'লম্বদর বাবুর' বাড়ির সামনে পৌছলো যথারীতি 'কলিং বেল বেজে উঠল 'ভোর হোল দোর খোল' আওয়াজে সবাই একদম 'স্পিকটি নট', হঠাৎ এক মাঝ-বয়সী মহিলা এসে দরজাটা অতি কষ্টে খুললেন এবং বললেন 'বাবু উপরে শুয়ে আছেন আপনাদের অপেক্ষায়' ।

এই কথা শুনে টিম মেম্বারা একে ওপরের মুখের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে ।

উপরে তলায় উঠে সবার মনে হল'- 'এভারেস্ট জয়ের স্বাদ' কারনটা খুবই স্বাভাবিক হঠাৎ-ই সবাই আবিষ্কার করলেন 'লম্বদর বাবুকে' বিছানায় শুয়ে আছেন যেন একটা ছোট খাটো দ্বীপ আর সঙ্গে একটা 'হকি স্টিক্' যেটা উনার বিছানায় পাসে শোয়ানো ।

পায়ের আওয়াজ শুনে 'লম্বদর বাবু' ভারী গলায় বললেন শুনুন' বিছানার পাশে ফোনটা লাগাবেন?

কথাটা শুনে প্রমাদ গুনতে শুরু করল সবাই তাই কোনো রকম কথা না বাড়িয়ে যে যার কাজে সে তার শুরু করে দিলেন, ঘন্টা খানেক পরে নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহক পরিষেবা সঠিক কিনা যাচাই করতে 'লম্বদর বাবুকে' অনুরোধ করলেন টিম মেম্বারা কোনক্রমে পিছনফিরে 'লম্বদর বাবু' জবাব দিলেন, আজ শরীরটা ভালো নেই তাই আপনারা নম্বর মিলিয়ে ফোন চেকিং করিয়ে দেন না?

অগ্যতা টিম মেম্বারা উনার ইচ্ছা পূরণ করতে বাধ্য হলেন শেষে সবাই মিলে একই সঙ্গে বলে উঠলেন 'স্যার' - এবার তাহলে আমার চলি কোন অসুবিধা হলে আমাদের টেলিফোন দপ্তরে ফোন করবেন আমরা সদেয় আপনার সাথে আছি ও ভবিষ্যৎতে থাকবো !

যেই না বলা 'লম্বদর বাবু' টিম মেম্বারদের উদ্দেশ্যে বললেন - দরজার হ্যাঙ্গার থেকে জামাটা নামিয়ে উনার কাছে নিয়ে আসতে যেই না একথা বলা সবাই একসাথে বলে উঠল 'স্যার' এবার আমার এবার চলি...

'লম্বদর বাবু,' উনার অতিকায় চেহারা সামনে বিছানার উপর রেখে বাধা দিয়ে বিকট শব্দে বলে উঠলেন?

- যা বলছি, শুনতে পারছেন না?

- জামাটা নামিয়ে আনুন!

এবার টীমের মনোবল ভেঙে যাওয়ায় আওয়াজ শোনা গেল প্রত্যেকের কথার মধ্যে একটাই প্রশ্ন এরপর কি ঘটবে এই ভেবে?

কোন ক্রমে উনার কাছে জামাটি পৌঁছে গেল সেটা কি ভাবে পৌঁছল তা কেউ বলতে বলতে পারলো না ওই মুহূর্তে...

'লম্বদর বাবু',এর পর যা করলেন তা বোধহয় উনার অতি বড় সমর্থকও হজম করতে পারবে না।

- উনি উনার জামার পকেট থেকে একটা 'পাঁচশো' টাকার নোট বের করে সবাইকে উনার - কাছে আসতে বললেন যেই না এই কথা শোনা সবাই প্রায় একসাথে বলে উঠল 'না 'স্যার' - এর কোন প্রয়োজন নেই ।

'লম্বদর বাবু,' বললেন যা বললাম তা শুনবেন' 'নাহলে আমাকে কি উঠতে হবে?

খুশি হয়ে মিষ্টি মুখ করবেন আপনারা সবাই প্লিজ রাখুন এটা।

আর ঠিক তখনই 'লম্বদর বাবুর' নুতন ফোনে সেই অতি আকাঙ্ক্ষিত সুমধুর আওয়াজ শোনা গেল ক্রিং - ক্রিং- ক্রিং!!!

===সমাপ্ত ===