অসম্পূর্ণ চিঠি

(1)
  • 69
  • 0
  • 1.7k

কলকাতার লোকাল ট্রেন সবসময়ই ভিড়ভাট্টায় ভর্তি। দুপুরের ট্রেনটা তুলনায় একটু ফাঁকা হলেও জানালার পাশে বসার সৌভাগ্য সবার হয় না। সেদিন ঈশা জানলার ধারে বসে বই পড়ছিল। তার চারপাশের কোলাহল যেন একেবারে দূরের জগৎ, সে একা ডুবে ছিল কাহিনির পাতায়। ঠিক তখনই পাশের সিটে বসে পড়ল এক অচেনা ছেলে। এক মুহূর্তের জন্য ঈশা তাকিয়ে দেখল—চোখে দুষ্টুমি ঝিলিক, ঠোঁটে হালকা হাসি। ছেলেটি হঠাৎই বলে উঠল, “তুমি কি সব সময় বইয়ের ভেতরেই ডুবে থাকো?”

1

অসম্পূর্ণ চিঠি - 1

কলকাতার লোকাল ট্রেন সবসময়ই ভিড়ভাট্টায় ভর্তি। দুপুরের ট্রেনটা তুলনায় একটু ফাঁকা হলেও জানালার পাশে বসার সৌভাগ্য সবার হয় না। ঈশা জানলার ধারে বসে বই পড়ছিল। তার চারপাশের কোলাহল যেন একেবারে দূরের জগৎ, সে একা ডুবে ছিল কাহিনির পাতায়।ঠিক তখনই পাশের সিটে বসে পড়ল এক অচেনা ছেলে। এক মুহূর্তের জন্য ঈশা তাকিয়ে দেখল—চোখে দুষ্টুমি ঝিলিক, ঠোঁটে হালকা হাসি। ছেলেটি হঠাৎই বলে উঠল,“তুমি কি সব সময় বইয়ের ভেতরেই ডুবে থাকো?”ঈশা বিরক্ত হয়ে তাকাল। অপরিচিত কেউ হঠাৎ এমন প্রশ্ন করলে সাধারণত সে উত্তর দেয় না। তবু তার চোখে কেমন যেন এক টান ছিল। ঈশা বইয়ের পাতা উল্টে বলল,“আমি গল্প পড়ি, বিরক্ত করার ...Read More

2

অসম্পূর্ণ চিঠি - 2

Part :2 অচেনা চেনা পথসেদিন ট্রেনে দেখা হওয়ার পর থেকে ঈশার ভেতর কেমন যেন অদ্ভুত অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। সে ছেলেটি হয়তো কাকতালীয়ভাবে এসেছিল, আবার হয়তো আর কখনো দেখা হবে না। কিন্তু মানুষের মনে যে প্রশ্ন একবার ঢুকে যায়, তাকে আর সহজে তাড়ানো যায় না। ঈশার বুকের ভেতরে বারবার বাজছিল সেই অপরিচিত কণ্ঠ— “তুমি কি সব সময় বইয়ের ভেতরেই ডুবে থাকো?”এক সপ্তাহ কেটে গেল। কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দিন। ক্যাম্পাস ভরে গেছে রঙিন পোশাকে, হাসি-ঠাট্টায়। ঈশা তেমন ভিড় পছন্দ করে না। তবু তার এক বান্ধবীর অনুরোধে লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে বের হচ্ছিল, হঠাৎই পিছন থেকে চেনা গলা শোনা গেল।“আচ্ছা, আজও বই?”ঈশা ...Read More

3

অসম্পূর্ণ চিঠি - 3

অজানা ইঙ্গিতঈশার মনে এখনও সেই সন্ধ্যার উষ্ণতা বাসা বাঁধছিল। হাতের স্পর্শ, চোখের ভ্রূণশব্দ, অভ্রের হাসি—সবই যেন অদ্ভুতভাবে তার মনকে রেখেছিল। কিন্তু সে জানত না, সেই মুহূর্তের সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে আরও কিছু—অভ্রর অতীতের অন্ধকার।পরের দিন কলেজে ঈশা চেষ্টা করছিল নিজের মনকে স্বাভাবিক রাখতে। তবে মন চলে যেত বারবার গান, সেই চোখ, সেই হাসির কাছে। এমন সময় হঠাৎ ক্লাসের মাঝে অভ্র সামনে এসে দাঁড়াল।“তুমি আজ বেশ চুপচাপ,” অভ্র মৃদু গলায় বলল।ঈশা কিছু না বলে তার দিকে তাকাল। চোখে কিছুটা বিরক্তি, কিছুটা কৌতূহল।অভ্রের মুখে সেই দুষ্টু হাসি ভেসে এলো—“আজকে কি কোনো গল্প পড়ছো না?”ঈশা হেসে বলল,“গল্পের মাঝে হারানো আর তুমি—দুটোই একসাথে ...Read More

4

অসম্পূর্ণ চিঠি - 4

অজানা রেখাঈশার সকালটা শান্তির মতো শুরু হলো। কিন্তু বুকের ভেতর এখনও সেই উত্তেজনা বাসা বেঁধেছে। রাতের স্বপ্নের চিঠি, অভ্রর রহস্যময় দৃষ্টি—সবই যেন বারবার ফিরে আসছে। কলেজের ক্লাসে বসে বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিল, কিন্তু মনোযোগ কেমন যেন বিচ্ছিন্ন।সেই সময় অভ্র ক্লাসে প্রবেশ করল। হঠাৎ তার চোখ পড়ল ঈশার দিকে।“আজও মন তোমার কোথায়?” সে মৃদু হেসে বলল।ঈশা চোখ কুঁচকে তাকাল, “আমার মন সবসময় নিজের মধ্যে থাকে।”অভ্র বসে গেল পাশে। কিছুক্ষণ নীরবতা। তারপর হঠাৎ বলল,“কিছু সময় কিছু সত্যি প্রকাশ পায় না, কিন্তু মানে হারায় না।”ঈশার মনে কেমন যেন কাঁপুনি। সে জানল—অভ্র কেবল মজা করছে না, কিছু বলার আছে।ক্লাস শেষে অভ্র বলল,“চল, ক্যাফেটেরিয়াতে চা ...Read More