বিবাহবিভ্রাট - 3

  • 105

আজকে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে আমাদের প্রজনন বিজ্ঞানীরা যেমনভাবে দিনরাত গবেষণায় রত,- কিভাবে, কোন জিনের সাথে কোন জিনের ক্রশ করালে উন্নত মানের গরু, ঘোড়া, গাধা, কুকুর, ধান, গম, ফুল ইত্যাদির জন্ম দেওয়া যায়,- ঠিক তেমনি আমাদের দেশের আর্য্য ঋষিগন অতি সুপ্রাচীন কালেই তাদের গভীর সাধনালব্ধ পর্যবেক্ষণ ও জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের বিবাহ ব্যাপারে কতগুলি নীতি-বিধি প্রচলন করেছিলেন৷ যে নীতি-বিধি অনুযায়ী বিবাহ হলে সুসন্তানের জন্ম হয় এবং সাংসারিক স্থিরতা অনেকটাই বজায় থাকে । বিবাহের মূল উদ্দেশ্য,-" উন্নয়ন আর সুপ্রজনন" পূরন হয়।  আমাদের বেদে, পুরানে, বিভিন্ন শাস্ত্রে সেইসকল বিধিগুলির উল্লেখ রয়েছে। আমাদের দেশে সেইসময় ঘটকরা খুবই বিচক্ষন,জ্ঞানী, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন ও বিবাহনীতি সম্পর্কে খুবই ওয়াকিবহাল ছিলেন।